ঈদে মিলাদুন্নবীর রোজা – ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন কি রোজা রাখা যাবে কি?

 আসলামু আলাইকুম , অনেকেই জানতে চায় যে ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন কি রোজা রাখা যাবে কি না, তো এখানে বিভিন্ন আলেমদের মতামত আলাদা আলদা । যার কারনে এই বিষয়টি অনেক বিতর্কিত একটি বিষয় , তবে হ্যা বন্ধুরা আজকের পোষ্টে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবীর রোজা  সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের মাঝে তুলে ধরব , চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
ঈদে মিলাদুন্নবীর রোজা

ঈদে মিলাদুন্নবীর রোজা – ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন কি রোজা রাখা যাবে কি?

অনেকে বলে, নবীজি তার বিলাদত দিবস মানে সোমবার উপলক্ষে রোজা রেখেছেন। আপনিও ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে নবীজির বিলাদত দিবস উপলক্ষে রোজা রাখেন, আপনি অন্যকিছু করেন কেন?
এর জবাবে বলতে হয়, মনে করুন আজকে একজনের জন্মদিন। সে ব্যক্তিটি তবুও উদ্যোগি হয়ে ঐ দিবসটিতে মজা করে না, আনন্দ করে তার পিতা-মাতা, স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং পাড়া প্রতিবেশী। তবুও সে যেহেতু ঐ দিনে বিশ্বে আগত তাই ঐ দিন উপলক্ষে মহান আল্লাহ’র দরবারে সে শুকরিয়া করবে, এটাই স্বাভাবিক।

নবীজির সোমবার উপলক্ষে রোজা দ্বারা এটিও প্রমাণ হয়, তিনি উম্মতদের অনুমতি দিয়েছেন ঐ দিনটি পালন করার জন্য। আবার আবু লাহাবের ঘটনা ব্যাখা করে বলেও দিয়েছেন,ঐ দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পুরষ্কার কতিপয় বড় । সুবহানাল্লাহ।

পড়ুনঃ ঈদে মিলাদুন্নবী উক্তি, ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা, ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ পিকচার

পড়ুনঃ ঈদে মিলাদুন্নবীর রোজা – ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন কি রোজা রাখা যাবে কি? 

পড়ুনঃ ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা – ঈদে মিলাদুন্নবী পিকচার – আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ছবি ২০২২

এখন তাহলে উম্মতগণ ১২ই রবিউল আউয়াল দিনটি পালন করবে ?

আসলে নবীজির বন্ধু, মানে জন্য স্বয়ং রব তায়ালা নবীজির জন্য কেমনে সুখী প্রকাশ করেছেন সেটা্‌ই দেখার বিষয়। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন পাকে হচ্ছে-

অর্থাৎ নবীজির বিলাদত দিবস উপলক্ষে স্বয়ং প্রভু তায়ালা ও ফিরিশতাদের অনুরূপ আমাদের উচিত নবীজির প্রতি দরুদ-সালাম অর্থাৎ অধিক বেশি মিলাদ পাঠ করা ও সন্তুষ্ট শ্রেনীভেদ করা।

“নিশ্চয়ই মহান খোদা তায়ালা এবং যাবতীয় ফেরেশতাগণ রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করো ও আদাব দেয়ার নির্ভুল পদ্ধতিতে সালাম দাও।” (সূরা আহযাব : আয়াত ৫৬)

কেউ যদি বলে, ‘আসুন ঐ দিন রোজা রেখে পালন করি’, তবে আমি বলবো- সে নিতান্তই বোকা। কেননা নবীজি সোমবার রোজা রেখেছেন, ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে তা সত্ত্বেও রোজা রাখেননি।
মহান সৃষ্টিকর্তা তায়ালা আমাদের সেই তৌফিক উৎসর্গ করুন। আমিন।

ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন কি রোজা রাখা যাবে কি?

বন্ধুরা যদিও উপরে আমরা এটা নিইয়ে অনেক আলোচনা করলাম , এতে আশা করি আপনারা সবাই ভালোমত বুঝতে পেরেছেন । আশা করি পোষ্টটি আপনাদের সবারই ভালো লেগেছে , যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

ভালো লাগতে পারে

Back to top button