জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা (সহজ ভাষায়)

আসসালামু আলাইকুম আপনারা কি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা করতে চাচ্ছেন ? যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে আজকের এই পোস্ট শুধুমাত্র আপনার জন্য।
১৫ আগস্ট কে বাঙালিরা জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। যদিও ভারতে এই দিনটিকে তাদের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস হিসেবে এই দিনটিকে পালন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার নিজ পরিবার সহ হ’ত্যা করা হয়েছিল।
[su_box title=”১৫ আগস্ট সম্পর্কিত আরও কিছু পোষ্ট” style=”noise” box_color=”#1554dc” radius=”8″]
- বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা ও ছোট কবিতা দেখে নিন ( PDF)
- ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা – ১৫ আগস্ট সম্পর্কে কবিতা
- ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য – ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা
- ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা – ১৫ আগস্ট উপলক্ষে রচনা
- ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস স্ট্যাটাস, পোষ্ট – শোকাবহ আগস্ট নিয়ে উক্তি
- ১৫ আগস্ট নিহতদের নামের তালিকা – ১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন
- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কি বার ছিল বিস্তারিত জেনে নিন
- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বয়স কত ছিল জেনে নিন
[/su_box]
যাইহোক যেহেতু আমরা আজকের পোস্টে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা করব এই কারণে আলোচনার মধ্যে আপনাদের সাথে বাকি বিষয়গুলো শেয়ার করা হবে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা করতে গেলে এটি শেষ হবেনা। অর্থাৎ আমরা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনেকক্ষণ ধরে অনেক কিছু আলোচনা করতে পারব।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনটি ছিল শুক্রবার। আর এই দিনে অনেক বেশি খারাপ এবং লজ্জাজনক একটি ঘটনা ঘটেছিল।
আর সেই লজ্জাজনক ঘটনাটি হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারসহ হত্যা করা হয়েছিল এই দিনটিতে তার নিজ বাড়িতে।
যেহেতু এই শেখ মুজিবুর রহমান ছিল বাংলাদেশ স্বাধীন করার পিছনে অনেক বড় একজন মহানায়ক এই কারণে প্রত্যেক বাঙালি তাকে মন থেকে অনেক শ্রদ্ধা করে।
যার ফলে প্রত্যেক বাঙালি এই জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা করে এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করে থাকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর এর জন্ম হয়েছিল ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। তার জন্ম হওয়ার পর থেকেই তিনি রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন।
তিনি কখনোই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি এবং অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি সবসময় সৎ পথে ছিলেন এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু চিন্তা ভাবনা করতেন।
যখন এই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের এক জায়গায় ছিল পূর্ব পাকিস্তানের এবং পশ্চিম পাকিস্তান হিসেবে। তখন থেকেই তিনি বাংলাদেশ গড়ার অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করেছেন।
বাংলাদেশের মধ্যে এমন একজন ও খুঁজে পাওয়া যাবে না জিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে মন থেকে শ্রদ্ধা করে না । এর প্রধান কারণ হচ্ছে তার ডাকে বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এ দেশকে স্বাধীন করার জন্য।
১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানে বাহিনী আমাদের এই দেশের উপর হামলা করে বসে যখন তিনি রেস কোর্স ময়দানে এমন একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন যে বক্তব্যের কারণে প্রত্যেক বাঙালি এই মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিল।
বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে করার কারণে এ দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছিল। এছাড়াও এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করার পেছনে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
শুধুমাত্র দেশকে স্বাধীন নয় তিনি এদেশের ভালোর জন্য আরও অসংখ্য আন্দোলন এবং কাজ করে গেছেন।
আর এই সকল কারণেই আমরা বাঙালিরা সবসময় শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং মৃত্যু দিনগুলো স্মরণ করে থাকে।
শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম হয়েছিল ১৯২০ সালে এবং তার মৃত্যু হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে। আর এই ১৫ আগস্ট কে প্রত্যেক বাঙালি প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা করতে গেলে আরো একটি বিষয় বলতে হবে যে দুর্বৃত্তরা যখন মুজিবকে হ’ত্যা করেছিল তখন বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ এই হ’ত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছিল।
যার কারণে এই হ’ত্যাকারীদের প্রায় অনেককেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর এই মৃত্যুর কারণে প্রত্যেক বাঙালি মনে অনেক কষ্ট পেয়েছে।
যেহেতু তিনি দেশের জন্য অনেক কাজ করেছে তাই আমরা 15 আগস্ট কে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করার জন্য দেশের প্রত্যেক অফিস আদালতে স্কুল কলেজ সবকিছু বন্ধ থাকে।
এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে তার জন্য দোয়া করা হয়। যাতে আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করে।
আমরা সব সময় বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করব।
শেষকথা
আজকের পোষ্টের সংক্ষিপ্ত ভাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা করা হয়েছে। শোক দিবস আসলে প্রত্যেক বাঙালির মনে অনেক কষ্ট বেদনা রয়ে যায়।
এই শোক দিবস এর দিনে প্রত্যেকে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য আমরা দোয়া করব আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত দান করে।
এছাড়াও আমাদের আজকের এই জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনাটি আপনার কেমন লেগেছে সেটাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন।