পেট ফাটার ক্রিম – পেট ফাটা দাগ দূর করার উপায় জেনে নিন

পেট ফাটার ক্রিম – পেট ফাটা দাগ দূর করার উপায় – গর্ভাবস্থায় পেট ফাটা দূর করার উপায়
বন্ধুরা অনেক সময় দেখা যায় আমাদের মায়েরা যখন গর্ভবতী হয় তখন তাদের পেটে চামড়া ধীরে ধীরে ফেটে যায় এবং সেই জায়গা ট অনেক বিশ্রী দেখা যায়। এছাড়াও আরো অনেক কারণে মানুষের পেটের চামড়া ফেটে যেতে পারে কিন্তু যদি আমরা সঠিকভাবে এগুলোর চিকিৎসা করতে পারি তাহলে অবশ্যই খুব সহজেই এই পেট ফাটা দাগ দূর করা যাবে । যদি আপনি আজকের পোস্ট শেষ পর্যন্ত পরেন তাহলে পেট ফাটা দাগ দূর করার উপায় এবং পেট ফাটার ক্রিম সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন ।
কেন পেট ফাটা দাগ হয় ?
বন্ধুরা আমরা অনেকেই জানিনা যে এই পেটের মধ্যে ফাটা দাগ কেন হয় বা অনেক সময় মানুষের মনে ভুল ধারণা থেকে যায় । আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি আমাদের শরীরে যখন কোন চামড়া টান পড়ে যায় তখন সেই স্থানটি আগের অবস্থায় ফিরে গেলে ওখানে ফাটা দাগ ধরে যায় । অর্থাৎ যখন আমাদের মায়েরা গর্ভবতী হয় তখন তাদের পেটের চামড়ায় কিন্তু আলাদা একটা টান পড়ে। , অর্থাৎ তাদের পেটের চামড়া টান করে পেট ফুলে যায় কিন্তু যখন বাচ্চা বেরিয়ে আসে তখন পেটের চামড়া গুলো আবার আগের অবস্থা ফিরে যায় তখন সেই বাড়তি চামড়াগুলো আস্তে আস্তে সেখানে ভাঁজ হয়ে যায়।
আর কিছুদিন পর এই ভাজ হওয়া চামড়াগুলো ফাটা দাগ হয়ে সেখানে বিশ্রী অবস্থা সৃষ্টি করে । সবার যে এরকম ফাটা দাগ হবে এমনটা কথা নয়। কারণ আমাদের শরীরের চামড়াগুলোকে ফাটা থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হরমোন কাজ করে থাকে কিন্তু যখন শরীরের মধ্যে এই হরমোন গুলো তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে না তখন এই ফাটা দাগ গুলো মারাত্মক আকার ধারণ করে ।
যদিও এগুলোকে ঠিক করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র পাচার করা যায় আবার বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে সমাধান করা যায় কিন্তু সেগুলোতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যায় । তাই আপনাদেরকে অবশ্যই ঘরোয়া উপায়ে পেট ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বুঝতে হবে যেটা আমি আজকের পোস্ট এ আপনাদেরকে বোঝাবো । যদি আপনারা ঘরোয়া ভাবে পেট ফাটার ক্রিম দিয়ে এগুলোর চিকিৎসা করার চেষ্টা করেন তাহলে এখানে কোন ধরনের সাইড ইফেক্ট পরবে না বা আপনার কোন ক্ষতি হবে না ।
পেট ফাটা দাগ দূর করার উপায়
বন্ধুরা যদিও অপারেশনের মাধ্যমেও ডাক্তাররা এ ধরনের ফাটা দাগগুলো দূর করে থাকে কিন্তু যদি আপনি আপনার পেটে অস্ত্র পাচার করেন তাহলে সেখানে সাইড ইফেক্ট পড়তে পারে তাই আপনাকে অবশ্যই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এগুলো ঠিক করতে হবে । চলুন তাহলে এখন আমরা বেশ কিছু পেট ফাটা দাগ দূর করার উপায় জেনে নেই।
সঠিকভাবে খাদ্য খাওয়া : পেট ফেটে দাগ হয়ে যাওয়া যেহেতু সম্পূর্ণ ত্বকের একটি ব্যাপার আর এই ত্বককে ঠিক রাখতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ভালো ভালো খাবার যুক্ত রাখতে হবে । এখানে আপনি ভিটামিন সি ভিটামিন ডি ভিটামিন ই এগুলো পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও শাকসবজি ডিম ভালো ভালো আমিষ জাতীয় খাদ্যগুলো গ্রহণ করতে পারেন। এই খাদ্যগুলো ঠিক মতো খেলে আপনার ত্বক ভালো মতো ভিটামিন এর যোগান পাবে এবং সে নিজেকে সরিয়ে নিতে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করবে ।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: পানি আমাদের ত্বক এবং হাড়ের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস । আমাদের ত্বককে ঠিক রাখতে রক্ত অনেক কাজ করে থাকে আর এই রক্তের মধ্যে ৫৫% থাকে পানি। যদি আপনি শরীরকে ঠিকমতো পানি যোগান দিতে না পারেন তাহলে শরীর কখনোই তার সমস্যাগুলোকে ঠিক করতে পারবেনা । এজন্য আপনাকে এই পেটফাটা দাগ দূর করতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে । এখানে আপনি চাইলে চিনি ছাড়া চা ও খেতে পারেন। তবে হ্যাঁ কখনোই পানি খুব বেশি পরিমাণে খাবেন না যতটুকু খেলে আপনার পিপাসা দূর হয়ে যাবে ততটুকু খাবেন কিন্তু বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন ।
হাঁটাচলা করুন: আমরা যদি নিয়মিত হাঁটাচলা করতে পারি তাহলে আমাদের শরীরের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন আগের থেকে বেশ বেড়ে যায় । আর যদি ত্বকের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় তাহলে এই ফাটা দাগগুলো আরো তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে । এইজন্য ডাক্তাররা রোগীকে সবসময় সামান্য পরিমাণে হাঁটাচলা করতে বলেন বা অল্প অল্প ব্যায়ামও করতে পারেন । তো আপনি চাইলে আপনার পেটের মধ্যে থাকা ফাটা দাগগুলোকে দূর করার জন্য স্বল্প পরিমাণে আপনার সাধ্যমত হাঁটাচলা করতে পারেন ।
ঠিকমতো গোসল করা: গোসল করার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন এক্ষেত্রে আপনি প্রথমে হালকা গরম পানি দিয়ে আপনার শরীরকে ভালো মতো ধুয়ে নিলেন এরপরে আবার ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন । যদি আপনি এভাবে হালকা গরম বা হালকা ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে যেটা ফাটা দাগ দূর করবে ।
এছাড়া যদি আপনি এইভাবে সন্তান হওয়ার আগে থেকেই গোসল করতে পারেন তাহলে এই ফাটা দাগ হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম হয়ে যাবে ।
বিভিন্ন তেল মালিশ করা: শুনে অবাক হয়তো হবেন, কিন্তু এটাই সত্যি যদি আপনি ফাটা দাগগুলোতে নিয়মিত তেল মালিশ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই দাগ তাড়াতাড়ি চলে যাবে। তবে হ্যাঁ এখানে চাইলে আপনি জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন বা বাদামের তেল ও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আমি আপনাকে কিছু পেট ফাটার ক্রিম সম্পর্কে জানাবো এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করলেও আপনার পেট ফাটা দাগ গুলো বেশ ভালোভাবে সেরে যাবে।
গর্ভাবস্থায় পেট ফাটা দূর করার উপায়
উপরে আমি বলেছি বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে এই পেট ফাটা দাগ হওয়ার সমস্যাটা বেশি দেখা যায় । কারণ তাদের পেটে দীর্ঘদিন ধরে ভারী বস্তু সংরক্ষণ করার ফলে আস্তে আস্তে পেট বড় হয় এবং চামড়া প্রসারিত হয় । কিন্তু যখন সেই সন্তান বেরিয়ে আসে তখন চামড়া সংকুচিত হয় যার ফলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ভাজ পরে এবং এই ভাঁজগুলো থেকে পড়ে ফাটা দাগ সৃষ্টি হয় । তবে এখন আমি বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে গর্ভাবস্থায় পেট ফাটা দূর করার উপায় আপনাদেরকে জানাবো এই উপায় গুলো অবলম্বন করলে খুব তাড়াতাড়ি পেটের দাগ ঠিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
আমি আপনাকে যেভাবে গর্ভাবস্থায় পেট ফাটা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো এখানে সবগুলো থাকবে প্রাকৃতিক উপাদান যার ফলে এগুলো ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
পড়ুনঃ এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় | চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম | চুলকানি দূর করার ক্রিম
ডিমের সাদা অংশ ও অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে:
পেট ফাটা দাগ দূর করার ক্ষেত্রে ডিমের সাদা অংশটি বেশ কার্যকরী । আপনি একটি ডিম ফাটিয়ে নেয়ার পর কুসুম আলাদা করে নিলে যে সাদা অংশটি পাবেন এখানে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন । যেটা আপনার পেটফাটা দাগের ওপর লাগালে বেশ ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে ।
- তো আপনি সর্বপ্রথম একটি ডিম ফাটিয়ে নিবেন এবং তারপর সেখান থেকে কুসুমটাকে আলাদা করে নিবেন।
- তারপর যে সাদা অংশটি পাবেন সেই সাদা অংশটি আপনার পেটফাটা জায়গায় আস্তে আস্তে ভালো মতো মাখিয়ে দিবেন ।
- মাখানো হয়ে গেলে এখন এভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করবেন যেন সাদা অংশ গুলো আপনার পেটের সাথে ভালোমতো শুকিয়ে যায় ।
- যখন শুকিয়ে যাবে সাথে সাথে পরিষ্কার পানি দিয়ে সেগুলোকে ধুয়ে নিন ।
- ধুয়ে নেওয়ার পর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মোছার পর সেখানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন ।
- এভাবে কয়েক সপ্তাহ করতে থাকুন ইনশাআল্লাহ আপনারা পেটের মধ্যে ফাটা দাগ গুলো আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।
আলুর রস দিয়ে
জেনে অবাক হবেন আলুর রস এমন একটি উপাদান যেটা আমাদের ত্বকের যে কোন সমস্যা দূর করতে পারে । ত্বকের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ছত্রাক সবকিছু এই আলুর রসের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব । তো বন্ধুরা আপনার পেটের মধ্যে যে অংশে ফাটা দাগ হয়েছে সেখানে আপনি আলুর রস ভালো মত লাগিয়ে দিন এবং অপেক্ষা করতে থাকুন যেন সেগুলো পেটের সাথে ভালোমতো শুকিয়ে যায় । শুকিয়ে যাওয়ার পর আপনি পরিষ্কার পানি দিয়ে আপনার পেটের চামড়া ভালোমতো ধুয়ে নিন । এভাবে কয়েক সপ্তাহ করতে থাকলে আস্তে আস্তে আপনার পেটের ফাটা দাগ গুলো ইনশাল্লাহ দূর হয়ে যাবে।
সরিষার তেল ও হলুদ ব্যবহার করে:
সরিষার তেল এমন একটি উপাদান যেটা আমাদের ত্বকের স্ট্রেস গুলো কে দূর করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে বন্ধুরা যদি আপনারা সরিষার তেল এর সাথে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সেখানে আরো বেশ ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব । তো এই হলুদ এবং সরিষার তেল ব্যবহার করে গর্ভাবস্থায় পেট ফাটা দূর করার উপায় নিচে বর্ণনা করা হলো ।
- প্রথমে আপনি কোন পাতিলে কিছু পরিমাণ সরিষার তেল এবং কিছু পরিমাণ হলুদ একসাথে নিয়ে সেগুলোকে ভালোমতো মিশিয়ে নিন ।
- এরপর আপনার পেটে থাকা স্ট্রেচ এর জায়গায় এই মিশ্রণটিকে লাগিয়ে নিন ।
- এভাবে আস্তে আস্তে কিছুক্ষণ মেসেজ করুন এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- তারপর যখন এগুলো আপনার ওখানে শুকিয়ে যাবে তখন ভালোমতো পরিষ্কার পানি দিয়ে সেগুলোকে ধুয়ে নিন ।
- এই পদ্ধতি অবলম্বন করে কয়েক সপ্তাহ ত্বকের যত্ন নিলে অবশ্যই পেটের ফাটা দাগ গুলো দূর হয়ে যাবে ।
চিনি ও লেবু দিয়ে
- লেবু তে থাকে সাইট্রিক এসিড এছাড়া ভিটামিন সি, এবং আমাদের ত্বকের স্ট্রেস দূর করতে বেশ ভালো কাজ করে থাকে ।
- এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি লেবুকে স্লাইড করে কেটে নিতে হবে।
- এরপর স্লাইড করে কেটে নেওয়া অংশের উপর ভালোমতো চিনি মাখিয়ে দিন।
- তারপর লেবুর কাটা অংশটি দিয়ে আপনার পেটে থাকা স্ট্রেচ এর জায়গায় ভালোমতো মেসেজ করতে থাকুন ।
- যখন চিনি ওখানে শুকিয়ে যাবে তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো মতো ধৌত করে নিবেন।
- এভাবে আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চারবার করলে আপনার দাগগুলো দূর হয়ে যাবে ।
উপরে যেভাবে আমি গর্ভাবস্থায় পেট ফাটা দূর করার উপায় আপনাদেরকে বুঝিয়ে দিলাম এইভাবে আপনি কয়েক সপ্তাহ পেটের যত্ন নিলে অবশ্যই এই দাগগুলো খুব সহজে সেরে যাবে ।
পেট ফাটার ক্রিম
অনেকেই আছে যারা ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ভালোমতো করতে পারবে না । তাদের জন্য রয়েছে এই পেট ফাটার ক্রিম , আপনি চাইলে উপরের পদ্ধতি গুলো বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ক্রিম ব্যবহার করেও স্ট্রেচ মার্ক থেকে মুক্তি পেতে পারেন । তবে এর জন্য চাই সঠিক ভালো মানের ক্রিম নাহলে এগুলো ঠিক হবে না ।
ঠিক এই কারণে আমি এখন আপনাকে একটি পেট ফাটার ক্রিম সাজেস্ট করব যেটা নিয়মিত ব্যবহার করলে অবশ্যই এই স্ট্রেচ মার্ক গুলো ঠিক হয়ে যাবে ।
Efero cream
যদিও আমি ক্রিমটির নাম অনলাইন থেকে সংগ্রহ করেছি কিন্তু এই ক্রিমটি ব্যবহার করলে আশা করি মা ও বোনদের পেটের মধ্যে ফাটা দাগ গুলো ঠিক হয়ে যাবে। এই ক্রিমটি আপনারা অনলাইন থেকে অথবা বিভিন্ন মেডিকেল স্টোর থেকে ক্রয় করতে পারবেন । তবে এই ক্রিমটির দাম ৫৫০ টাকার মতো নিতে পারে । কিন্তু অবশ্যই এই সমস্ত ক্রিম ব্যবহারের আগে আপনাকে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে , না হলে আপনার ত্বকের অন্য কোনো সমস্যা হতে পারে ।
তো এই ক্রিমটি ব্যবহারের আগে আপনাকে অবশ্যই স্ট্রেস মার্ক এর জায়গাটি ভালোমতো পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং তারপর দুই থেকে তিন ফোটা ক্রিম নিয়ে সেখানে আলতো ভাবে মেসেজ করুন ।
ক্রিমের মধ্যে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে তাই এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো। সব থেকে ভালো হবে আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে পেটের ফাটা দাগ গুলো দূর করার চেষ্টা করবেন সেটা।
পরিশেষে
আজকের পোস্টে আমরা পেট ফাটার ক্রিম সহ এই পেট ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে যাবতীয় ইনফরমেশন নিয়ে আলোচনা করেছি । এছাড়াও আমরা গর্ভাবস্থায় পেটফাটা দূর করার উপায় নিয়েও আপনাদের কে জানানোর চেষ্টা করেছি। তো বন্ধুরা আমি একটা কথাই আপনাদেরকে বলবো যে কোন কিছু করার আগে অবশ্যই আপনার ত্বক ভালোমতো পরীক্ষা করে নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারন আপনি যেকোনো একটি উপাদান ব্যবহার করলেন কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য সেটা ক্ষতিকর হলো তখন কিন্তু আপনার আরো বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। ঠিক এগুলো কারণে অবশ্যই ত্বক আগে পরীক্ষা করে নিতে হবে ।
আশা করি পোস্টে আলোচিত টপিকগুলো প্রত্যেকে খুব ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন। তবে হ্যাঁ যদি কেউ কোন টপিক বুঝতে না পেরে থাকেন বা কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে প্রশ্ন করবেন । সবসময় চেষ্টা করুন ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে যেকোন সমস্যার সমাধান করার তাহলে সেখানে সাইড ইফেক্ট থাকবে না এবং আপনার জীবন ও অনেক সহজ হয়ে যাবে ।