৩৫+ বাংলা কবিতা ক্যাপশন প্রোফাইল পিক

আসসালামু আলাইকুম আপনারা কি বাংলা কবিতা ক্যাপশন প্রোফাইল পিক খুজতেছেন ? তাহলে বন্ধু আপনি আজকে একদম সঠিক কনটেন্ট এর মধ্যে চলে এসেছেন।

আজকের এই মূল্যবান পোষ্টের মাধ্যমে পাঠকদের কে আমরা বাংলা কবিতা ক্যাপশন প্রোফাইল পিক গুলো সুন্দরভাবে দিয়ে দেব। আপনারা হয়তো বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরেও ক্যাপশন গুলো মন মত খুঁজে পান নাই।

তো আজকের এই পোস্টে আমরা যে সকল বাংলা কবিতা ক্যাপশন প্রোফাইল পিক গুলো দেবো এগুলো সবগুলো বাছাই করা এবং সবথেকে আকর্ষণীয় ক্যাপশন। তাই অবশ্যই দেখে যাবেন।

বাংলা কবিতা ক্যাপশন প্রোফাইল পিক

যখন আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইল গুলোর জন্য কোন ফটো আপলোড দেই তখন সেখানে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ক্যাপশন দিতে চাই।

কিন্তু আমাদের কাছে ভালো ভালো বাংলা কবিতা ক্যাপশন প্রোফাইল পিক না থাকার কারণে আমরা সেখানে ক্যাপশনগুলো দিতে পারি না। তো আপনার ক্ষেত্রেও এমন হয়ে থাকলে নিচে দেওয়া বাংলা কবিতা ক্যাপশন প্রোফাইল পিক গুলো দেখতে থাকুন।

 

কান্না কেবল লোকায়

বৃষ্টিভরা এক মেঘের কাছে। শান্ত উপত্যকায়…

 

একবালিশ ঘুম জমে আছে চোখে। মেঘেদের গালে টোল…

নীরবতা তো জটিল হয় স্রেফ। কথা আজও সহজ, সরল…

 

মন থেকে মন যাচ্ছে দূরে। একলা হওয়ার পরও…

তবু এ হৃদয়েই চাইছি তোমার জরুরি অবতরণ…

 

হারের কাছে ক্ষত সে। জেদের কাছে খতরা…

অপমানের গায়ে লেগে থাকা বিষণ্ণ ছত্রাক…

 

তোমার মতোই শান্ত। তোমার মতোই তার জেদ-

হঠাৎ তোমায় কুড়িয়ে পেয়ে স্মৃতির খননকার্যে…

 

স্মৃতির আঙুল ছুঁড়ে ফেলে ব্যথাদের ঝিলে,

এসো আজ নৈশভোজ সারি ঘুমের টেবিলে।

 

পারাপার করে বহু লোক। এই মন দূর থেকে সাঁকো।

এ শহরের গন্ধ মেখে ছুটে যায়, যাকে তুমি ‘ট্রাম’ বলে ডাকো।

 

দুচোখের ক্ষত ঢেকে থেমে যাওয়া ঝড়।

যদি না ফিরেই আসে। বৃথা এ অবসর।

 

জানিনা কিসের এই টান। এ কোনো ম্যাজিক তো নয়

সব স্মৃতি মুছে ফেলি। তবু অতীত আজও বিস্ময়।

 

নতুনের মায়া প্রিয়। এতো কোলাহল, রবে…

মানুষও মেতে ওঠে তোমায় ভোলার উৎসবে।

 

মানুষ এক আশ্চর্য জীব। জ্যোৎস্নার গালে-

ভালোবাসা জমিয়ে রাখে। ঘৃণার আড়ালে…

 

দুচোখে রাত নামে। ফিরে আসে ভোর-

ক্লান্তিতে আজও আরাম। মায়ের আদর…

 

উপশম ভেবেছি তোমায়। পৃথিবীকে কোল

তুমি তো শুধু ছায়া নও। মায়ের আঁচল…

 

সুদের ওপর সুদ জমে যোগ হয় আসলে,

ভালোবাসা বাঁধা থাকে মায়েদের আঁচলে।

 

কথা কমে আসে ফের। স্মৃতি জমে তারে

শ্রাবণের বিষাদ হয় স্রেফ, বাইশের ভারে…

 

না থামা বৃষ্টিতে, বিষাদের কোণে…

দুচোখে জল জমে। বাইশে শ্রাবণে…

 

গাছেরা দোভাষী। কাঠুরের মনে…

তুমি এলে বৃষ্টি আসে, এ শ্রাবণে…

 

স্মৃতি থেকে গান হোক। ভালোবাসা, টানে…

শরীরে গোলাপ ঝড়ুক। যুদ্ধবিমানের…

 

 

আবারো খোদাই করে লিখে দিলো ছেনি।

শূন্যতার আজও কোনো দশমিক লাগেনি…

 

এজীবন তো ক্রিকেট’ই। প্রতি বলে বলে ছয়, চার, নো…

খেলছে সবাই। দেখছি আমি, তুমি, আর জব চার্নক…

 

টুকরো হওয়া হৃদয়কুচি অল্প নিয়ে ছড়িয়ে দিও ঘাসে,

ভেতরে বিঁধে থাকা আঘাত যেমন বাইরে থেকে হাসে।

 

এ বুকে মেঘ জমুক । ভিজে যাক চোখের কিনার।

বড়ো হয়ে আমরা কেন প্রকাশ্যে কাঁদতে পারিনা ?

 

ঘুমের থেকে দুহাত দূরে… চোখের মায়ায় জাল বুনে-

তোমায় এবার পলাশ দেবো। এই বসন্তে ফাল্গুনে…

 

সময় থেকে খুলে ফেলে রাতের ছিপি,

পাঠোদ্ধারে বসেছি আজ। তোর শিলালিপির।

 

নিন্দার ঝড় থেমে যাবে। ভাসিয়ে নেবে বানে।

পতনের ধর্মই নীচে নামা। অহংকার জানে।

 

ঝোড়ো হাওয়া থেমে যায়। ভেঙে যায় পাখিদের ঘরও।

যে তোমায় ছেড়ে যেতে চায়। তার থেকে দূরেই সরো।

 

বোকাদের কাছে জ্ঞানী… আর বিবেকের কাছে নির্বোধ

নিজেকে ভাঁজ করে তাই আজ, কাগজের মতো ছিঁড়বো…

 

বয়সের ভাঁজে লুকিয়ে মোহ, স্নেহের আলোকে-

স্পষ্ট হল মুখোশ। আরো এক বিশ্বাসঘাতকের…

 

গাছেদের আয়ু থেকে কেড়ে নিলে কিতাব,

মানুষের বুকে ধীরে ধীরে সেজে ওঠে চিতা।

 

বোবাদের বুকে খোদাই করে, অপেক্ষার জেলে-

স্মৃতির হরফে লেখা আছে কিছু রোদের নভেলে…

 

 

বুকের ভেতর দগদগে ঘা। ঠোঁটে হাসি। আর হাতে রাখা ফুলের তোড়া।

ক্ষতের উপর পরিচিতেরা ছিটিয়েছে নুন। সান্ত্বনা দিয়েছে বহিরাগতরা।

 

বিরহে সেতারের সুর। এ এক অস্থির আবহ…

হঠাৎ ফিরে আসা লোক। চিরকাল’ই ভয়াবহ…

 

অনিদ্রার কাছে রেখে যাবতীয় দেনা, জেগে আছি ঠায়…

যদি কেউ এসে মেলে যায় ঘুম। চোখের বারান্দায়…

 

কোলাহলে ভেঙে যাবে ঘুম। খুলে যাবে দোর-

মানুষের কলরব ফিরে পাবে ঠিক। বিষণ্ণ শহর…

 

হিংসা এক অদৃশ্য পোকা। মানুষের দেহে বাসা বেঁধে, সে-

চিরকাল মানুষকেই ধীরে ধীরে ধ্বংস করে এসেছে…

 

অতীতের সব স্মৃতি পুড়িয়ে আগুনে,

কথার নকশা আঁকি নীরবতা বুনে…

 

মন তো আগন্তুক। জানি চলে যাবে ফের-

তোমার উপকথা লিখে এ ব্যর্থ শায়ের…

 

মুখে আঁটা সেলোটেপ। কথা জমে স্তূপে…

বোবাকে ঠেলেছো খাদে। অন্ধকে কূপে।

 

অপেক্ষা প্রবাহমান। নিশুতি ঘুমের সারি…

রাত জাগা গাছ আজও… সুদূরপ্রসারী।

 

চোখ থেকে নেমে, ঠোঁট বেয়ে, মাটিতে মিশে যাবে-

কয়েকফোঁটা কান্না সহ; মোহ, মায়া, টান, আবেগ…

 

সময় বদলায় দ্রুত। প্রযুক্তি তো সকলেরই প্রিয়…

আধুনিকতার হাতে চিঠি দিয়ে, ফেরেনি কোনও পিওন।

 

এতদিন পর বুঝতে পেরেছি। এই ঢের…

ব্যর্থতায় ফেটে যায় বুক। সাফল্যে নিন্দুকের…

 

পিঠপিছে চালিয়েছো ছুরি। আর হত্যায় ঢেকেছো সব, লজ্জা….

তবুও তুমি শিখে উঠতে পারলেনা। আমায় ভাঙার কলকব্জা…

 

যেকোনো আর্তনাদ শেষে যতবার থেমে গেছে স্বর-

মানুষ তখনই বোবা। নিজেকে বোকা বানানোর পর…

 

নিঃস্ব আগুনের বুকে জমা রেখে প্রিয় কিছু প্রাণ,

খিদের চৌকাঠ পেরিয়ে শুধু মৃতদেহ চেয়েছে শ্মশান।

 

অভিমান ক্রমশই ঘন হয়। ইশারাও বুঝে নেয় বোবা পাখিদের মন।

নিঃশব্দে তুমি মারছো যাকে রোজ। ভাঙছে। তবু করছেনা আত্মসমর্পণ।

 

শুকিয়ে যাওয়া জখম, স্মৃতি ফেরৎ আসে দাগে…

আমার কথা পড়বে মনে? তাকে আবির দেওয়ার আগে…

 

অপমানে গুন হয় জেদ। হৃদয় কেটে ভাগ করে লোকে…

ব্যর্থতা আমায় ভেঙে যায় রোজ। মৌলিক উৎপাদকে…

 

এ জীবনে ডাহা ফেল। শূন্যই প্রিয় হয়। শোকে…

আমি যত কম চাই। তত বেশি দিয়ে যায় লোকে।

 

আকাশের চালান কাটে মেঘ। শুধু ছাড় পায় ফিঙে…

রাস্তা তোর হৃদয়গামী হলে। মন রেখে আসি পার্কিং’এ।

 

মেঘের কাছে শিখেছি জেদ। পাখিদের কাছে ওড়া…

আকাশের গায়ে ছুটে যেতে দেখি যত মহীনের ঘোড়া…

 

আবারো তোমায় করছি প্রপোজ। লিখে দুএক লাইন…

এ জীবনে বেকার ছেলের তুমিই ভ্যালেন্টাইন…

 

এ পন্থা চিরকালই সহজ আর কম হয় শ্রমও…

নিজেকে দুভাগ করে দেখি আয়নায় প্রতিসম।

 

যে জোৎস্নায় আলো পায় এ হৃদয়ের গ্রহ…

সে হাসিতেই লেগে থাক, চাঁদের মোহর…

 

যোগ্য জবাবের পর পতনের ভীড়ে

নিজেকে খুঁজে নিও, প্রেমের আবিরে।

 

ব্যর্থতা এক অজানা মহৌষধী। সব মানুষেরই কাছে-

সাফল্য এক পাহাড়ি ফল। ফ’লে থাকে পরিশ্রমের গাছে।

 

আবেগের সুতোয় জড়িয়ে যাক ভালোবাসা। দুটো মন হয়ে যাক চুরি।

সব প্রেমিকের ছাদে আজ এসে পড়ুক, প্রেমিকার নাম লেখা কাটাঘুড়ি।

 

ছায়া থেকে দূরে। অবসর কোনো এক সময়ের পায়ে।

আমাদের হেঁটে যাওয়া পথ। ঘুম ভেঙে শেষ হয়ে যায়।

 

ছাদের কোণে নির্জনতা। সমস্ত শোক পুষে রাখে কাঁধে।

মেঘের শুনানি শেষে। দূরত্বের ভার গ্রাস করে যাদের।

 

আকাশের বুকে হিংসে। পাড়ায় পাড়ায় রটে যায় দুর্নাম।

নিজের অজানা কথাগুলো আজ। দেওয়ালের কাছে শুনলাম।

 

যদি ঠান্ডা মগজে ঢেলে দাও বিষ। হিংসার মন্ত্রটুকু বলে দাও কানে।

ঘৃণার কাছে আর কবেই বা ক্ষমতা ছিল? সব মুশকিল আসানের…

 

হেরে যাওয়ার চিরকালীন প্রথায়, তোমাকে রেখে দিয়ে মনে

জল ঢেলে গেছি ভালোবাসার চারায়, প্রতিটা বৃক্ষরোপণে।

 

সোহাগের বাসা বেঁধে অন্তরে, রেখেছি তোমায় হৃদয়ের দিকে।

তুমি এসেও ফিরে গেলে, জলের উপর চাঁদ যেমন ক্ষনিকের।

 

দুটি তারে বাঁধা আছে মন। বেজে ওঠে ঝুমুরের তালে…

পাখিরাও শুনে যায় গান। তুমি এসে দোতারা বাজালে।

 

হিংসা এক অদৃশ্য পোকা; মানুষের দেহে বাসা বেঁধে, সে-

চিরকালই মানুষকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে এসেছে।

পরিশেষে: বাংলা কবিতা ক্যাপশন প্রোফাইল পিক

বন্ধুরা আজকের এই পোষ্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা পাঠকদের কে সুন্দরভাবে গুছিয়ে বাংলা কবিতা ক্যাপশন প্রোফাইল পিক গুলো দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

এগুলো আমরা সবকিছু ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে তার মধ্য থেকে বাছাই করে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছিলাম। তো পোস্ট টি কেমন লাগলো সেটা চাইলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিবেন।

বাংলা ব্লগস্পট
বাংলা ব্লগস্পট

বাংলা ব্লগস্পট একটি মাল্টি নিশের বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম। এখানে বাংলা ভাষায় জ্ঞান বিতরণের চেষ্টা করা হয়।

Newsletter Updates

Enter your email address below to subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *