সালাতুল তাসবিহ নামাজ নফল নাকি সুন্নত

আপনি কি এই সালাতুল তাসবিহ নামাজ নফল নাকি সুন্নত সেটা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই পোষ্ট শেষ পর্যন্ত পড়তে থাক্কুন। আজকের মূল্যবান এই পোশটে আমরা আপনাদের সাথে সালাতুল তাসবিহ নামাজ নফল নাকি সুন্নত সেটা বিস্তারিত বুঝিয়ে দেব চলুন শুরু করা যাক।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ নফল নাকি সুন্নত
সালাতুল তাসবিহ নামাজ নফল নাকি সুন্নত এ বিষয়ে ইসলামি স্কলারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিছু স্কলার মনে করেন যে এটি সুন্নত, অন্যরা মনে করেন যে এটি নফল।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ হলো চার রাকাত নামাজ যা প্রত্যেক রাকাতে তাসবিহ পাঠ করা হয়। তাসবিহ হলো “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” (আল্লাহ মহান, আল্লাহর প্রশংসা, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং আল্লাহ মহান) শব্দটি।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের পদ্ধতি হলো:
১. প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর ১৫ বার তাসবিহ পড়া।
২. রুকুতে যাওয়ার সময় ১০ বার তাসবিহ পড়া।
৩. রুকু থেকে ওঠার সময় ১০ বার তাসবিহ পড়া।
৪. সজদাতে যাওয়ার সময় ১০ বার তাসবিহ পড়া।
৫. সজদা থেকে ওঠার সময় ১০ বার তাসবিহ পড়া।
৬. দ্বিতীয় সজদাতে যাওয়ার সময় ১০ বার তাসবিহ পড়া।
৭. দ্বিতীয় সজদা থেকে ওঠার সময় ১০ বার তাসবিহ পড়া।
৮. দ্বিতীয় রাকাতেও একইভাবে তাসবিহ পড়া।
৯. তৃতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর তাসবিহ পড়ার পরিবর্তে “আল্লাহু আকবার” বলতে হবে।
১০. চতুর্থ রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর তাসবিহ পড়ার পরিবর্তে “আল্লাহু আকবার” বলতে হবে।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি এটি দশদিন পর পর করে, তার সমস্ত পাপ মাফ হয়ে যাবে।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ সুন্নত না নফল এ বিষয়ে ইসলামি স্কলারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিছু স্কলার মনে করেন যে এটি সুন্নত, অন্যরা মনে করেন যে এটি নফল। সুন্নত বলে মনে করা স্কলারদের যুক্তি হলো যে এটি হাদিসে বর্ণিত আছে। নফল বলে মনে করা স্কলারদের যুক্তি হলো যে হাদিসটি দুর্বল।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ আদায় করা সুন্নত বলে মনে করা স্কলারদের পক্ষে যুক্তি হলো যে হাদিসটি বর্ণিত আছে। হাদিসটি ইবনে ‘আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “যে ব্যক্তি দশদিন পর পর চার রাকাত সালাতুল তাসবিহ আদায় করে, তার সমস্ত পাপ মাফ হয়ে যাবে, ছোট পাপ যেমন, বড় পাপ।” (তিরমিযী)
সালাতুল তাসবিহ নামাজ আদায় করা নফল বলে মনে করা স্কলারদের পক্ষে যুক্তি হলো যে হাদিসটি দুর্বল। হাদিসটি ইবনে ‘আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “যে ব্যক্তি দশদিন পর পর চার রাকাত সালাতুল তাসবিহ আদায় করে, তার সমস্ত পাপ মাফ হয়ে যাবে, ছোট পাপ যেমন, বড় পাপ।” (তিরমিযী)
হাদিসটি দুর্বল হওয়ার কারণ হলো যে হাদিসটি বর্ণনাকারীদের মধ্যে একজন হলো আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.)। আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) একজন বড় সাহাবী ছিলেন, কিন্তু তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করতেন। হাদিসটি বর্ণনাকারীদের মধ্যে আরেকজন হলো আবু মালেক আল-আশ’আরি (রা.)। আবু মালেক আল-আশ’আরি (রা.) একজন বড় সাহাবী ছিলেন, কিন্তু তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করতেন।
আশা করি আপনারা এই সালাতুল তাসবিহ নামাজ নফল নাকি সুন্নত সেটা বুঝে গেছেন। তারপরেও যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।