২৫০+ ৭ই মার্চের কবিতা উক্তি ও স্ট্যাটাস ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম, আপনি কি ৭ই মার্চ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ও ৭ই মার্চের কবিতা জানতে চান? যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্য।

যদি আপনি এখন বাঙ্গালী হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয় জানবেন যে এই ৭ই মার্চ দিন টি আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

এই এই গুরুত্ব বুঝতেই আমরা এই দিনে ৭ই মার্চ নিয়ে উক্তি এবং এই ৭ই মার্চের কবিতা গুলো আবৃত্তি করে থাকি। কিন্তু অনলাইনে অনেক অনেক কবিতা স্ট্যাটাস বা উক্তি আছে, এগুলোর মধ্য থেকে আমরা কিছু সেরা এবং বাছাই করা উক্তি, কবিতা ও স্ট্যাটাস শেয়ার করেছি।

আপনিও যদি বাছাই করা এই ৭ই মার্চ নিয়ে উক্তি গুলো পড়তে চান বা কাউকে জানাতে চান তাহলে আজকের পোস্ট শেষ পর্যন্ত পরুন। কারণ এই পোস্টে আমরা অনেকগুলো ৭ই মার্চের স্ট্যাটাস সহ এই দিনের উক্তি ও কবিতা শেয়ার করব।

৭ই মার্চ নিয়ে উক্তি

৭ই মার্চ নিয়ে উক্তি

বন্ধুরা ৭ই মার্চ এর এই দিনে আমাদের সবথেকে জানা জরুরী যে এই দিন নিয়ে মহা জ্ঞানী ব্যক্তি গুলো কি কি উক্তি বলেছেন। কারণ এটি এমন একটি দিন ,যে দিনে বঙ্গবন্ধু এর দেওয়া ভাষণ আমাদের বাঙ্গালীদের অনেক বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছিল।

আরোও পড়ুনঃ 20+ ৭ই মার্চের কবিতা দেখে নিন (বাছাইকৃত PDF সহ)

তো আপনি যদি ৭ই মার্চ নিয়ে উক্তি গুলো জানতে চান তাহলে নিচের লেখা গুলো পরুন। নিচে আমরা কিছু ৭ই মার্চের উক্তি দিয়ে দিলাম।

✅ উক্তিঃ “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।”- নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু
✅ উক্তিঃ স্বাধীনতা তুমি – শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা
– শামসুর রাহমান
✅ উক্তিঃ এখন যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে চায়, তাহলে সে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্যে মুজিব সর্ব প্রথম তার প্রাণ দেবে।
– বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
✅ উক্তিঃ স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন
– সংগৃহীত
✅ উক্তিঃ স্বাধীনতা তুমি বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর শাণিত কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ
– শামসুর রাহমান
✅ উক্তিঃ “দেশের স্বাধীনতা শুধু বীরত্বের মধ্যে দিয়েই অর্জন করা যায় না।“- মহাত্মা গান্ধী
✅ উক্তিঃ আমি, মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি
– জিয়াউর রহমান
✅ উক্তিঃ ” স্বাধীনতা মানুষের প্রথম এবং মহান একটি অধিকার।“- মিল্টন
✅ উক্তিঃ স্বাধীনতা তুমি – রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার– শামসুর রাহমান

৭ই মার্চের স্ট্যাটাস

৭ই মার্চের স্ট্যাটাস

যেহেতু ৭ই মার্চ দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই দিনের গুরুত্ব বুঝাতে আমরা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রফাইল গুলোতে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিয়ে থাকি।

কিন্তু যদি আপনি আরো সুন্দর স্ট্যাটাস দিতে পারেন তাহলে সেটা কিন্তু আপনার জন্য আরও ভালো হয়। যাইহোক বন্ধুরা আপনি যদি ৭ই মার্চের স্ট্যাটাস গুলো আপনার প্রফাইল শেয়ার করতে চান তাহলে নিচে দেওয়া স্ট্যাটাস গুলো দেখে নিতে পারেন।

স্ট্যাটাসঃ ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর নিষিদ্ধ ছিল ৭ই মার্চের ভাষণ। রেডিও-টিভিতে এই ভাষণ প্রচার করা হতো না কখনো। অনেকেই মাইকে এই ভাষণ প্রচার করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন। আজ সেই ঐতিহাসিক ভাষণ ১২ টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে, ২৫০০ বছরের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ভাষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
স্ট্যাটাসঃ আজ 7 ই মার্চ জাতীয় ঐতিহাসিক দিবসসবাইকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবসের শুভেচ্ছা
স্ট্যাটাসঃ ” আজ 7 এই মার্চ স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যার সেই ঐতিহাসিক ভাষণ এর ফলে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল হাজার 1971 সালের মুক্তিযুদ্ধে।
স্ট্যাটাসঃ ৭ মার্চ আমাদের কাছে এক ঐতিহাসিক দিন। যেদিন ভাষণ রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই আমরা আজকে পেয়েছি 7 ই মার্চ জাতীয় ইতিহাসিক দিবস।
স্ট্যাটাসঃ এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
স্ট্যাটাসঃতুমি বিহনে
শোকবিধূর বিদগ্ধ প্রাণে
অশ্রু ঝরে ঘরে ঘরে,
দেশের জন্য সকলি করে দান
তার জন্য মায়ায় জাগে পরান ।সাধ্য কার এত অল্প দিনে
রক্তের দামে স্বাধীনতা কিনে,
এসেছে সেই ক্রান্তিকাল
বুনন করেছে মুক্তির স্বপ্নজাল।তুমিই তোমার তুল্য
নির্লোভ খাঁটি অমূল্য,
তোমার মত এমন আর কেউ
ছড়াবে না উঠাবে না আর
তুমুল উত্তাল ঢেউ।গগন মণ্ডলে হেনকালে
তোমার মত আর কেউ
জনম জনমে
জন্মাবেনা ইহকালে।

৭ই মার্চের কবিতা

৭ই মার্চ নিয়ে কবিতা

উপরে আমরা ৭ই মার্চ নিয়ে উক্তি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি । কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন আছি ,যারা কবিতা আবৃত্তি করতে পছন্দ করে থাকি। যদি আপনিও কবিতা আবৃত্তি করতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার অবশ্যই উচিত হবে এই ৭ই মার্চের কবিতা আবৃত্তি করা।

যাইহোক আপনি যদি এই দিনে কবিতা আবৃত্তি করতে চান তাহলে আপনার উচিৎ সুন্দর সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করা। এই কারণে নিচে আমরা বেশকিছু বাছাই করা ৭ই মার্চ নিয়ে কবিতা তুলে ধরলাম।

লেখকঃ শরিফুল ইসলাম
সংগ্রহঃ banglarkobita.com

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ
রেসকোর্স ময়দানে
জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল
বিদ্রোহী শ্রোতার জন্য,
একটি কবিতা শুনে
অপেক্ষার উত্তেজনা হবে ধন্য।
দিগন্ত প্লাবিত একখন্ড
আকাশের নিচে,
মিশেছিল প্রানের প্রিয়
ধু ধু মাঠের সবুজে।
কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে
ছুটে এসেছিল এই মাঠে,
মৃত্যু হাতের মুঠোয়, চোখে স্বপ্ন
জয় বাংলার শ্লোগান ঠোটে।
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন এসে
দৃপ্ত পায়ে হেঁটে।
ঝলকে পলকে হৃদয়ে লাগিল দোলা,
তরীতে উঠিল পাল,
জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
চোখেতে লোনা জল।
সোনালী সূর্যের সকল দুয়ার খুলি
কে রোধে সে বজ্রকন্ঠ বাণী,
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে
শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।

লেখকঃ হেলাল হাফিজ
সংগ্রহঃ odhikar.news

কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে

আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা

কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে

ভজন গায়িকা সেই সন্ন্যাসিনী সবিতা মিস্ট্রেস

ব্যর্থ চল্লিশে বসে বলবেন,– ‘পেয়েছি, পেয়েছি’।

কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে

পাতা কুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে

ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে।

কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে

ভূমিহীন মনুমিয়া গাইবে তৃপ্তির গান জ্যৈষ্ঠে-বোশেখে,

বাঁচবে যুদ্ধের শিশু সসন্মানে সাদা দুতে-ভাতে।

কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে

আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে,

সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ

সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে।

লেখকঃ আবুল হাসান
সংগ্রহঃ odhikar.news

লক্ষি বউটিকে

আমি আজ আর কোথাও দেখিনা,

হাটি হাটি শিশুটিকে

কোথাও দেখিনা,

কতগুলি রাজহাঁস দেখি

নরম শরীর ভরা রাজহাঁস দেখি,

কতগুলি মুখস্থ মানুষ দেখি, বউটিকে কোথাও দেখিনা

শিশুটিকে কোথাও দেখিনা!

তবে কি বউটি রাজহাঁস?

তবে কি শিশুটি আজ

সবুজ মাঠের সূর্য, সবুজ আকাশ?

অনেক রক্ত যুদ্ধ গেলো,

অনেক রক্ত গেলো,

শিমুল তুলোর মতো

সোনারূপো ছড়ালো বাতাস।

ছোটো ভাইটিকে আমি

কোথাও দেখিনা,

নরোম নোলক পরা বোনটিকে

আজ আর কোথাও দেখিনা!

কেবল পতাকা দেখি,

কেল উৎসব দেখি,

স্বাধীনতা দেখি,

তবে কি আমার ভাই আজ

ঐ স্বাধীন পতাকা?

তবে কি আমার বোন, তিমিরের বেদীতে উৎসব?

লেখকঃ Hannan Mag
সংগ্রহঃ somewhereinblog.net

নেতা আসবেন ময়দানে, মঞ্চপাতা।
উত্তাল তরঙ্গে কাঁপছে ঢাকা
সুনামীর মত ভেসে এসেছে মানুষ রেসকোর্স ময়দানে
মানুষ আর মানুষ, শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত।
হাজার বছর ধরে অধীর আগ্রহে প্রতিক্ষা করেছে জনতা
নেতার মুখে শুনবে তারা স্বাধীনতার কথা।নেতার আসলেন, সাদা কাপড়ে মোড়ানো ডায়াচ।
কাল ফ্রেমের মোটা চশমা, ডায়াচে রাখা।
পরণে সাদামাটা সাদা পাঞ্জাবী,কাল মুজিব কোট,
ব্যাক ব্রাশ চুল বাতাসে নড়ছে।নেতা জানে মানুষ কি চায়, পোড়খাওয়া মাটির মানুষ
প্রতিটি মানুষের নাড়ির খবর জানে।
আকাশের দিকে হাত,
তর্জনি নেড়ে গর্জে ঊঠে নেতার কণ্ঠ, ব্জ্রকণ্ঠ।শব্দের গাঁথুনিতে মিশাইল ছোড়ে, রাওয়ালপিন্ডি।
কাঁপছে সমাবেশ, কাঁপছে পিন্ডির তকত আসন
কবির কন্ঠে কবিতা, বাজে রণধ্বনি,
এ জাতি রক্তদিতে জানে, সময় আছে সাবধান হও,
বাঙ্গালী মাথা নুয়াবার জাতি নয়।অধীর হয়ে ঊঠছে সমাবেশ, নেতার কণ্ঠে শুনতে চায়
সেই অমোঘবাণী, এই বুঝি ঘোষনা দিবে স্বাধীনতার।
নেতার কোন তাড়াহুড়া নেই, ভয় নেই, নির্ভীক কণ্ঠে
প্রতিটি ছত্র বুঝিয়ে দিচ্ছেন, কার কি করণীয়, রণ কৌশল।
দায়িত্ব অর্পণ করে দিচ্ছেন, যেন মহানায়ক
যুদ্ধ ক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ নকশা এঁকে দিচ্ছেন এক নান্দনিক ভঙ্গিমায়।কেঊ কি দেখেছে, ইতিহাস কি সাক্ষ্য দেয়?
এমন রণ কৌশল, প্রকাশ্যে অথচ, প্রতিটি অক্ষর সত্য,
প্রতিরোধ, সংগ্রাম,যুদ্ধ।জনতা ব্যস্ত ছিল একটা ঘোষণার জন্য,
অথচ হচ্ছেটা কি? নেতাতো বাতলে দিচ্ছেন যুদ্ধের কৌশল!
অবাক কান্ড।
কালের সেরা ভাষণ, ইতিহাসে অমর,
মহাকাব্য রচিত হয়, রেসকোর্স ময়দানে।মানচিত্র বদলে যাবে, ভূমিষ্ঠ হবে, এক নয়া রাষ্ট্র,
ইতিহাস সাক্ষ্যদেয় হয়েছে তাই।
নেতার দেখানো পথে। আজ আমরা স্বাধীন।

লেখকঃ নির্মলেন্দু গুণ
সংগ্রহঃ odhikar.news

সমবেত সকলের মতো আমিও গোলাপ ফুল খুব ভালোবাসি,

রেসকোর্স পার হ’য়ে যেতে সেইসব গোলাপের একটি গোলাপ

গতকাল আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।

আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

শহীদ মিনার থেকে খ’সে পড়া একটি রক্তাক্ত ইট গতকাল আমাকে বলেছে

আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।

আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

সমবেত সকলের মতো আমিও পলাশ ফুল খুব ভালোবাসি, ‘সমকাল’

পার হয়ে যেতে যেতে সদ্যফোটা একটি পলাশ গতকাল কানে কানে

আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।

আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

শাহবাগ এ্যভিন্যুর ঘূর্ণায়িত জলের ঝর্ণাটি আর্তস্বরে আমাকে বলেছে

আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।

আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

সমবেত সকলের মতো আমারো স্বপ্নের প্রতি পক্ষপাত আছে,

ভালোবাসা আছে শেষ রাতে দেখা একটি সাহসী স্বপ্ন গতকাল

আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।

আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

এই বসন্তের বটমূলে সমবেত ব্যথিত মানুষগুলো সাক্ষী থাকুক,

না-ফোটা কৃষ্ণচূড়ার শুষ্কভগ্ন অপ্রস্তুত প্রাণের ঐ গোপন মঞ্জরীগুলো

কান পেতে শুনুক,

আসন্ন সন্ধ্যায় এই কালো কোকিলটি জেনে যাক –

আমার পায়ের তলার পুণ্য মাটি ছুঁয়ে

আমি আজ সেই গোলাপের কথা রাখলাম, আজ সেই পলাশের কথা

রাখলাম, আজ সে স্বপ্নের কথা রাখলাম।

আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি,

আমি আমার ভালোবাসার কথা বলতে এসেছিলাম।

লেখকঃ হুমায়ুন আজাদ
সংগ্রহঃ odhikar.news

আজ এখানে দাড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে

অভিশাপ দিচ্ছি।

আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক কৃষ্ঞপক্ষ

দিয়েছিলো সেঁটে,

মগজের কোষে কোষে যারা

পুতেছিলো আমাদেরই আপনজনের লাশ

দগ্ধ, রক্তাপ্লুত,

যারা গনহত্যা

করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে

আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক

পশু সেই সব পশুদের।

ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের

সারিবদ্ধ দাঁড়

করিয়ে নিমিষে ঝা ঝা বুলেটের বৃষ্টি

ঝরালেই সব চুকে বুকে যাবে তা আমি মানি না।

হত্যাকে উতসব ভেবে যারা পার্কে মাঠে

ক্যাম্পাসে বাজারে

বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভতস গন্ধ দিয়েছে

ছড়িয়ে,

আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না

কামনা।

আমাকে করেছে বাধ্য যারা

আমার জনক জননীর রক্তে পা ডুবিয়ে দ্রুত

সিড়ি ভেন্গে যেতে আসতে

নদীতে আর বনবাদাড়ে শয্যা পেতে নিতে

অভিশাপ দিচ্ছি আজ সেইখানে দজ্জালদের।

কবিতাঃআজকের দিনের স্কুলের বইয়ের পাতা
ক্লাসের পাঠে ভরছে খাতা,
কড়া চোখ শাসায় শীতল উষ্ণ
শিক্ষকের প্রশ্ন-
ওহে বালক,
বল, কে বাংলাদেশের জাতির জনক ?
একেবারে স্পষ্ট উত্তর
নেই এতটুকু নড়বড়‘’উত্তাল ঢেউ গর্জে
বিশ্ব ঐতিহ্যের সেই সাতই মার্চে’’
মুক্তির সিম্ফনি
উঁচিয়ে তর্জনী,জন্মদাতা বাংলাদেশ জন্মের কেন্দ্রবিন্দু
তিনি শেখ মুজিবুর রহমান তিনি বঙ্গবন্ধু ।
পঞ্চাশ বছরে তোমার উপাধি
তোমার চরণ যুগল ধরি
অভিনন্দিত সম্মানিত করি,
পঞ্চাশে মহীরুহ বঙ্গবন্ধু
বিন্দু থেকে সিন্ধু।

৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে কবিতা

৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে কবিতা

উপরে এতক্ষন আমরা ৭ই মার্চের কবিতা জেনে এসেছি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে কবিতা খুজে থাকি। তাদের জন্য নিচে এই ভাষণ নিয়ে কবিতা গুলো তুলে ধরা হলোঃ

কবিতার নামঃ ৭ই মার্চের ভাষণ
লেখকঃ “মোঃসালাহ্উদ্দিন”
সংগ্রহঃ somewhereinblog.net

যখন শুনি সেই বজ্রকণ্ঠের ভাষণ,রক্তে জাগে শিহরণ,
গর্জে উঠেছিল বাঙালি,যুদ্ধ জয়ে সঁপে দিয়েছিল জীবনমরণ।
সাতই মার্চের ভাষণে ছিল স্বাধীনতার ডাক,
জনসমুদ্রের মিছিল দেখে,শত্রুসেনারা হয়ে ছিল নির্বাক।
যুদ্ধের দামামা বেজে উঠে আকাশে বাতাসে,
রক্ত দিয়েছি আরো রক্ত দিবো,,,,,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,ধ্বনি প্রতিধ্বনি হতে থাকে মস্তকে।
যার কাছে যা ছিল,তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে,
সাত কোটি বাঙালি ফেঁটে পড়ে ক্ষোভে।
সাহস,উৎসাহ,তেজ,দিকনির্দেশনা,সবই পেলো এ ভাষণ থেকে,
কার আছে হিম্মত,বাঙালিকে দাবিয়ে রাখে।
আঠারো মিনিটের ভাষণে,ধ্বংস হলো সব কূটচাল,
যুদ্ধ জয়ে বাঙালি হয়েছিল টালমাটাল।
জয় এলো,স্বাধীনতা এলো,এলো ফিরে শেখ মজিব,
সাতই মার্চের ভাষণটিই ছিল,যুদ্ধ জয়ের প্রদীপ।
শেখ মজিব রাজনীতির কবি,তেজদীপ্ত নেতা,স্বপ্নদ্রষ্টা,
ত্যাগে মহীয়ান,বুকে আগলে রেখেছিল দেশটা।
এমন ভাষণ দেশ কাল জয় করে,ইউনেস্কোর পেলো স্বীকৃতি,
বিশ্বের বুকে গর্বিত হলো বাঙালি জাতি।
রেসকোর্স ময়দানের,সেই ঐতিহাসিক ভাষণ যখন শুনি,
মনে হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান আসবে,এক্ষুনি।

কবিতার নামঃ ৭ই মার্চের ভাষণ
লেখকঃ “মোহাম্মদ মাসুকুজ্জামান”
সংগ্রহঃ jagonews24.com

রুদ্র প্রকটে বজ্র অনলে
উত্থিত তর্জনী লক্ষ্যে লাখো জনতা
দিলে ডাক মুক্তির সোপানে।
বক্ষে তোমার দেশমাতৃকা,
ছিল অনুরাগে।
পিতা তুমি আজও অমলিন
অবিনশ্বর।
ছিলে সেদিনও অধীশ্বর,
মুক্তিকামী চেতনার।শব্দের বারুদে ক্রমাগত চয়নে-
দিয়েছিলে জ্বেলে তপ্ত চিঙ্গারে।
সপ্রতিভ সেই মুষ্টিবদ্ধ হাত
সাথে আঙুল একটি ছিল জাগরণ।
‘থাক সঙ্গবদ্ধ, হও এক; বলীয়ান’,
এ যেন তোমার অব্যক্ত কথন
তিমির বেদিতে।কী মহান বাগ্মীতায়
কাগজে লেখা বিনে,
মননের কাগজে লিখিত বাণী-
বুনে ছিলে নেতা অবলীলায়।
শোষিত মানুষের হৃদয় ছুঁতে
৭ মার্চ একাত্তরে।স্বাধীনতার অঙ্কুরিত সেই স্বপ্ন-
বেড়েছিল তোমার পুষ্টিতে,
মাত্র নয় মাসে, ১৬ ডিসেম্বরে।
তপ্ত গ্রীষ্ম পেরিয়ে শীতের আগমনে
স্বাধীন দেশের স্বাধীন বসন্ত-
পেয়েছিল আপামর, মানচিত্র মাঝে
অনেক ত্যাগ রক্তের দামে।

কবিতার নামঃ চেতনাদীপ্ত সে ভাষণ
লেখকঃ “মো. হাসান ঈমাম”
সংগ্রহঃ jagonews24.com

আমি পৌঁছে দেব পৃথিবীর প্রতি প্রান্তরে
রক্তভেজা প্রতিটি জনপদে
আন্দোলনে মনোবল সঞ্চারণে
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সে ভাষণ,
সহসা ভয়-সংকোচ ঝেরে ফেলে
হতাশার মাঝে শোষিত খুঁজে পাবে
শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর যত প্রেষণ।আমি মোহাচ্ছন্ন হয়ে অস্পৃশ্য শিহরণে
কান পেতে শুনবো সে ভাষণ।আমি ছড়িয়ে দেব সে ভাষণ,
যে ভাষণ শোষকের দুর্গে তোলে কম্পন।
যে ভাষণে নিস্পৃহ হৃদয়ও করে শক্তি অন্বেষণ,
মুক্ত বাতাসে জাতির স্বপ্ন সাজাতে
ঘর থেকে মাতৃস্নেহের শৃঙ্খল ছিড়ে
নির্ভয়ে পথে-প্রান্তরে তোলে আলোড়ন,
আমি ছড়িয়ে দেব সারা বিশ্বে
দলিতদের মাঝে সে ভাষণ।যে ভাষণে সুললিত কণ্ঠে মানুষের
অধিকার আদায়ে ঝরে বিনীত নিবেদন,
যে ভাষণ কভু বীরোচিত বাণীতে
দুর্বার দুর্দমনীয় স্বরে করে অধিকার অর্জন।সবাই কান পেতে শোন বজ্রকণ্ঠের সে ভাষণ,
নিষ্প্রভ কর্ণও আজ ফিরে পাবে শিহরণ।আমি কান পেতে শুনি সে ভাষণ-
যে ভাষণ শুনে এক মৃত্যুপুরে
শীর্ণকায় বাহুতে হয় পেশীশক্তির আগমন,
দেশের জন্য বীরদর্পে
যারা মৃত্যুকে করে আলিঙ্গন।যে ভাষণ শুনে শূন্য হাতে
তপ্ত বুলেটের সম্মুখে
হাসিমুখে লাখো বক্ষ চিড়ে
বিশ্বের বুকে এক আলোকরশ্মির প্রজ্বলন,
বিপ্লবী জনতার হাতে বাংলাদেশের জাগরণ।আমি দিন-রাত আত্মচেতনে উদ্বীপ্ত মননে
সদা কান পেতে থাকি শুনতে সে ভাষণ।

FAQ: ৭ই মার্চ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

Faq about 7th march

আমরা আপনাদের কে ৭ই মার্চ নিয়ে উক্তি জানিয়েছি। কিন্তু এই দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিচে তুলে ধরা হলোঃ

a. ৭ই মার্চের ভাষণে কত লোক ছিল?
৭ই মার্চের ভাষণে ১০ লাখ মানুষ উপস্থিত ছিল

b. ৭ মার্চের ভাষণে কয়টি দাবি ছিল?
এই ভাষনে মোট ৪ টি দাবি ছিল।

c. ৭ মার্চের ভাষণ কত মিনিট ছিল?
৭ মার্চের ভাষণ ১৮ মিনিট ছিল।

d. ৭ মার্চের ভাষণে কয়টি শব্দ ছিল?
এই ভাষনে ১১০৮ টি শব্দ ছিল।

e. ৭ মার্চের ভাষণ সর্বশেষ কোন ভাষায় অনূদিত হয়?
৭ মার্চের ভাষণ সর্বশেষ জাপানি ভাষায় অনূদিত হয়।

f. ৭ই মার্চের ভাষণ কয়টি ভাষায় অনূদিত হয়?
ভাষনটি মোট ১৩ টি ভাষায় অনুদিত হয়।

পরিশেষে: আজকের পোস্টে আমরা ৭ই মার্চ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস ও কবিতা জেনেছি। আশা করি এই সকল শেয়ার করা। বিষয় বস্তু গুলো আপনার পছন্দ হয়েছে।

আমরা চেষ্টা করেছি সেরা ও বাছাই করা উক্তি গুলো আপনাদের কে দেওয়ার। যাইহোক বন্ধুরা, যদি আপনাদের কাছে এই পোস্ট টি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর আপনি চাইলে আপনার দেশপ্রেমী বন্ধুর কাছে আমাদের এই পোস্ট টি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

আজকের পোস্টে শেয়ারকৃত কোনো কন্টেন্ট বাংলা ব্লগস্পট এর নিজের নয়। সবকিছু অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি এই কন্টেন্ট গুলো সম্পর্কে কারো অভিযোগ থাকে তাহলে মেইল করুন এখানেঃ  contact@banglablogspot.com

ভালো লাগতে পারে

Back to top button