মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট দেখে নিন

আসসালামু আলাইকুম, আপনার ওজন কম হবে কিনা সেটা সম্পূর্ণ আপনার হরমোনের উপর নির্ভর করে । কিন্তু এই হরমোনের পাশাপাশি আপনি কি খাচ্ছেন বা কিভাবে খাচ্ছেন সেটার উপরও আপনার ওজন বেশ কিছুটা নির্ভর করে থাকে । আমরা অনেকেই ভেবে থাকি যে শুধু মাত্র কম খেলেই হয়তো আমাদের ওজন কমে যাবে । কিন্তু বন্ধুরা কথাটি একদমই ভুল আপনি কম খেলেন ঠিক আছে কিন্তু যদি আপনি সঠিক নিয়ম মেনে কম খাবার খেতে না পারেন তাহলে কখনোই আপনার ওজন কমবে না । ঠিক এগুলো কারণগুলোর জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট সঠিক ভাবে মানতে হবে ।

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট – ওজন কমানোর উপায়

আমরা অনেকেই আছি যারা অনেক চেষ্টা করেও ওজন কমাতে পারে না। তবে বন্ধুরা আমি আপনাকে এমন যাদুকরি মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট দিয়ে দেবো এই চার্ট আপনারা সঠিকভাবে ফলো করলে ইনশাআল্লাহ আপনাদের ওজন আগের থেকে অনেকটা কমে যাবে।  আমি আপনাকে যেভাবে ডায়েট চার্টের কথা বলব এই নিয়মটি যদি আপনি দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত ফলো করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার ওজন বেশ কিছু কমে গেছে।  যখন আপনার ওজন কমে যাবে তখন আপনার মন ও ভালো হবে এবং শরীর ও আগে থেকে বেশ ভালো সুস্থ হয়ে যাবে। তাহলে চলুন যারা আমরা এই ওজন কমাতে চাই তারা মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট পড়া শুরু করে দেই ।

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট দেখে নিন

মেয়েদের জন্য ওজন কমানোর কিছু টিপস

বন্ধুরা অবশ্যই আমরা আপনাকে মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট দিয়ে দেব । কিন্তু এই ডায়েট চার্ট ফলো করার আগে কিছু টিপস জেনে নিন যেগুলো অবলম্বন করলে আপনার ওজন বেশ কিছুটা কমে যাবে । চলুন তাহলে এখন নিচে এই টিপস গুলো পড়ে নেই।

ভাত খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা

আমাদের মেয়েরা মোটা হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে তারা বেশি বেশি ভাত খায়।  তবে হ্যাঁ যেহেতু ভাত বেশি খাওয়ার কারণে মোটা হচ্ছে সেজন্য আবার তাদের ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া যাবে না । আপনারা এক বাটি ভাত দুই বেলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন কষ্ট হলেও। আর বাকি ক্ষুধাটা আপনারা সব সময় পানি, শাকসবজি, মাছ , ডাল এই সমস্ত খেয়ে নিবারণ করবেন।

নিয়মিত হাঁটাচলা করুন

আমাদের ওজন বেড়ে যাওয়ার অনেক বড় একটি কারণ হচ্ছে আমরা সবসময় বসে থাকি অর্থাৎ ভালোমত হাঁটাচলা করি না । আপনারা যদি ঘরে বসে থাকেন এবং হাঁটার সময় না পান তবুও সময় বের করে অন্তত দিনে 30 মিনিট করে হাঁটবেন । এই হাঁটার কাজটা সকালে করলে খুব ভালো হয় । যারা একদমই সময় বের করতে পারেনা তারা চাইলে অন্যান্য কাজ করার সময় আপনার বাড়িতেই হাঁটতে পারেন । এক কথায় খুব বেশি বসে থাকা যাবে না । যদি আপনি নিজে পরিশ্রম না করেন তাহলে আপনার শরীরের ভেতর অনেক চর্বি জমে যাবে যেগুলো আপনার ওজন আরো বাড়িয়ে দিবে ।

পড়ুনঃ চিকন হওয়ার উপায় কি – চিকন হওয়ার ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত

মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া

মেয়েদের অনেক বাজে একটি সভাব হচ্ছে তারা অনেক বেশি মিষ্টি খায় । কিন্তু যতই আপনি মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট মেনে চলেন না কেন যদি আপনি মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ না দেন তাহলে সেই ডায়েট ফলো করে ফলাফল হবে না । মিষ্টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যেগুলো শরীরের ভিতরে গেলে ওজন অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

অনেকেই চা খাওয়ার সময় প্রচুর পরিমাণে চিনি দেন এটা আপনাদেরকে ত্যাগ করতে হবে। এই চিনি খাওয়ার ফলে শুধু ওজন বেড়ে যায় না , আমাদের দেহের ও অন্যান্য অংশের ক্ষতি হয় । যদি প্রচুর পরিমাণ চা খাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে , তাহলে আপনি চিনি ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন ।

ঠিকমতো খাবার খান

যদিও আমরা পোষ্টের পরের অংশে মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট সম্পর্কে আলোচনা করব কিন্তু এখানে আমি খাবার সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত কথা বলে নেই। গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো বেশি খেতে হবে । প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন সবজি মাছ ডিম এগুলো খাবার ।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে রাতের বেলা বেশি খাওয়া যাবে না। আপনি চাইলে সকালবেলা খেতে পারেন কিন্তু যদি রাতে বেশি করে খান তাহলে সেগুলো আপনার শরীর ঠিকমতো হজম করতে পারে না ।  একবারে বেশি করে না খেয়ে আপনি চাইলে বারবার অল্প করে খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে ।

ব্যায়াম করুন

বন্ধুরা ব্যায়াম করার ফলে আপনাদের ওজন অনেক তাড়াতাড়ি কমে যেতে পারে । আপনি যদি শুধুমাত্র ঠিক নিয়ম মেনে ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে অবশ্যই কিছুদিন পর দেখবেন আপনার ওজন অনেক কমে গেছে । মানুষ ওজন কমানোর জন্য প্রথমে এই ব্যায়ামকেই সাজেস্ট করে থাকে । তো আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালবেলা করে হাঁটতে পারেন আবার পুশআপ দিতে পারেন। এছাড়াও যে ধরনের ব্যায়ামগুলো আছে সেগুলো নিয়মিত করলে আপনার ওজন আগে থেকে বেশ কমে যাবে।

কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে আপনি ডায়েট মেনে চলার পাশাপাশি এই ব্যায়ামগুলো করবেন তাহলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন ।

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

বন্ধুরা অনেকেই ভেবে থাকে ডায়েট মানে মনে হয় না খেয়ে থাকা । কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। ডায়েট মানে না খেয়ে থাকা নয়, ডায়েট মানে হচ্ছে আপনি কোন খাবারের নিয়ম মেনে খাচ্ছেন । এখন আপনি আজকে যে পরিমাণ খেলেন কালকেও সেই পরিমাণ খাবেন আবার আর একদিন সেই পরিমাণে খাবেন এই নিয়মকে মেনে চলাকে ডায়েট বলা হয় । যখন আপনি ডায়েট মেইনটেইন করে প্রতিদিন খাবার গ্রহণ করবেন তখন আপনার শরীর আগের থেকে বেশ ভালো উন্নতি হবে।

এ ছাড়াও ডায়েট মেনটেন করার ফলে আপনার শরীর একটা নিয়ম নীতির মধ্যে এসে যাবে । অর্থাৎ আপনার শরীর নিজেই একটা নিয়ম মেনে চলা শুরু করবে । যাই হোক আমি আপনাকে যে মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট টি দেবো এটি আপনি অবশ্যই নিয়মিত তিন থেকে চার মাস ফলো করার চেষ্টা করবেন ।  এখানে আমি সকালের খাবার দুপুরের খাবার এবং বিকেলের খাবার গুলো খুব সুন্দর ভাবে আপনাদের বুঝিয়ে দেব যাতে করে আপনাদের বুঝতে সমস্যা না হয় ।

সকালে খাবারের নিয়ম

মনে রাখবেন আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সকালের খাবারটা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ । কারণ এই সকালে আমাদের শরীর সব থেকে বেশি একটিভ থাকে । আমরা সকালবেলা শরীরের উপর যে কার্যক্রম করব সেটার প্রভাব আমাদের শরীরে সারাদিন থাকবে । তাই অবশ্যই এই সকাল বেলার খাবারের নিয়মটা আপনাকে ভালোমতো মেনে চলতে হবে নিচে সকালে কিভাবে কি খাবেন সেটার পয়েন্ট গুলো দেওয়া হলো ।

  • আপনি প্রথমে সকালে উঠে এক গ্লাস পানিকে হালকা গরম করে নিবেন। তারপর সেখানে পরিমাণমতো পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খাবেন । এই শরবতটি আপনি সপ্তাহে একদিন পরপর গ্রহণ করবেন ।
  • সপ্তাহে এই শরবত গ্রহণ করার পাশাপাশি বাকি যে দিনগুলো থাকবে সেগুলোতে । আদা হলুদ এবং আমলকি সিদ্ধ করা পানি খান।
  • সকালে উঠে ওপরের এই কাজটি যদি আপনি নিয়মিত করতে পারেন তাহলে এটি আপনার ওজন কমাতে যেমন কাজ করবে তেমনি আপনার ত্বককে সুন্দর রাখতেও খুব ভালো সাহায্য করবে ।

সকালের নাস্তা

অনেকেই আছেন আপনারা সকলে উঠে কোন নাস্তা খান করেন না । কিন্তু বন্ধুরা যদি আপনারা এই নাস্তা বাদ দিয়ে অন্য কোন কিছু খাবার খান তাহলে সেটা কখনোই আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে না বরং আপনার ওজন সেটি বাড়িয়ে দেবে। পারলে সকালের খাবার বাদ দিয়ে আপনি বেশি করে নাস্তা করবেন যাতে করে আর আপনাকে ভাত খেতে না হয়  । তো আপনি কিভাবে সকালের নাস্তা করবেন সেটা নিচে দেওয়া হল । সকালে উঠে ওপরে বলার নিয়ম অনুযায়ী আগে শরবত খেতে হবে তারপর এখন যেগুলো বলবো সেগুলো মেনে চলতে হবে।

  • উপরে বলা শরবত খাওয়ার পর আপনি অবশ্যই ৩০ মিনিটের মতো মত অপেক্ষা করবেন ।
  • অপেক্ষা করা হয়ে গেলে এখন আপনি দুটি ভালো রুটি নিবেন সাথে এক বাটি সবজি নিবেন এবং এর সাথে একটি সিদ্ধ ডিম খাবেন ।
  • উপরেরটা বাদ দিয়ে আপনি চাইলে চারটি পাউরুটি সস লাগিয়ে খেতে পারেন এবং সাথে দুটি ডিম চিনি খেতে পারেন। তবে হ্যাঁ কখনোই আপনি রুটিতে সিম লাগাবেন না সব সময় চিনি ছাড়া খাদ্যগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন ।
  • এছাড়াও সকালে বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন আপেল আঙ্গুর কলা এগুলো আপনার ডায়েট চার্টে রাখতে পারেন । তবে হ্যাঁ দশটির বেশি আঙ্গুর খাওয়া যাবে না ।
  • প্রতিদিন সকালে আলাদা আলাদা খাবার খান তাহলে সেটা আপনার শরীরের জন্য বেশ কার্যকরী হবে ।

এটা ছিল সকাল বেলার মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট এখন আমরা নিচে দুপুরবেলার চার্ট আমাদেরকে বুঝিয়ে দেব ।

পড়ুনঃ ১ ২ ইঞ্চি লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

দুপুরের ডায়েট চার্ট

বন্ধুরা যদি আপনি ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে এই দুপুরের খাবারের ক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্ক থাকতে হবে । কারণ এই দুপুরের খাবার কারণেই অনেক মানুষের ওজন বেড়ে যায় এবং সে আগের থেকে বেশি মোটা হয়ে যায় । তো আপনি কিভাবে দুপুরের খাবার কে মেনটেইন করবেন সেটার তালিকা নিচে দেওয়া হল ।

  • যেহেতু আমরা মানবজাতি এবং ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য সেজন্য আমাদেরকে ভাত খেতেই হবে। তবে এই ভাত খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরকে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।
  • আপনি দুপুরবেলা ভাত খান কিন্তু খুবই সল্প পরিমাণে, আপনি একবাটি ভাত নিয়ে সেটুকুই খাবেন এর বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন না ।
  • ভাতের সাথে বাড়িতে যে তরকারি রান্না হচ্ছে সেগুলো তরকারি হিসেবে খেয়ে ফেলুন এখানে অবশ্যই কোন চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা আপনি মাছ ডিম শাকসবজি এগুলো বেশি করে খান ।
  • সব সময় চেষ্টা করুন কম মসলা এবং কম তেল দিয়ে বানানো খাবারগুলো খাবার এতে করে আরো ভালো হবে ।
  • এক বাটি ভাত দিয়ে কারই হবে না , কিন্তু আপনি একবারই ভাত খেয়ে বাকি ক্ষুদা টা তরকারি খেয়ে নিবারণ করবেন, অর্থাৎ ভাত বাড়ে তরকারি বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • দুপুরের খাওয়াটা এভাবেই সেরে ফেলুন ।

উপরে যেভাবে আমি দুপুরের খাবার ডায়েট চার্ট আপনাদেরকে বলে দিলাম এটা ভালো করে প্রতিদিন আপনি নিয়ম মেনে চলুন। এখানে আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে যারা দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান তারা সেটা সম্পূর্ণ রূপে ত্যাগ করুন।  কারণ আপনি যদি খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাতে যান তাহলে এই খাবারগুলো আপনার পেটে কখনোই হজম হবে না আর হজম না হওয়ার কারণে সেগুলো চর্বি রুপে আপনার দেহের অন্যত্র চলে যাবে।  যখন আপনি খাবার খাওয়ার পর হেঁটে চলে বেড়াবেন তখন এই খাবারগুলো সবটুকু আপনার শরীরের শক্তি হিসেবে জমা হবে ।

রাতের ডায়েট চার্ট

অনেকেই এই রাতের এই ডায়েট চার্ট সঠিকভাবে না মানার কারণে তাদের ওজন অনেকটা বাড়িয়ে ফেলেছে । কারণ রাতের খাবারও আমাদের শরীরের জন্য বেশ মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে । তো আপনি কিভাবে রাতের ডায়েট চার্টটি অনুসরণ করবেন সেটা নিচে আপনাদেরকে বলে দিলাম ।

  • রাতে যদি আপনি না খেয়ে শুয়ে পড়তে পারেন তাহলে সেটাই সবথেকে ভালো হয়।
  • যেহেতু আপনি না খেয়ে থাকতে পারবেন না আপনাকে ভাত খেতেই হবে তাহলে আপনি খুবই অল্প পরিমাণে খেয়ে ফেলুন ।
  • অর্থাৎ যদি ভাত খান তাহলে অবশ্যই হাফ বাটি ভাত খাবেন এর বেশি কখনোই না।
  • হাফ বাটি ভাতের সাথে আপনি চাইলে ডিম এবং একটি রুটি খেয়ে নিতে পারেন ।
  • এর সাথে অবশ্যই সবজি রাখার চেষ্টা করবেন।
  • রাতে জটিল খাবারগুলো না খাওয়াই ভালো যেমন মাছ মাংস এগুলো।
  • রাতের এই খাবারটুকু অবশ্যই আটটা থেকে 9:00 টার মধ্যে সেরে ফেলার চেষ্টা করুন।
  • রাতের খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাতে যাওয়া যাবে না কমপক্ষে এক থেকে দুই ঘন্টা অপেক্ষা করে তারপর ঘুমাতে যেতে হবে ।

রাতে খাবার খাওয়ার পর যেহেতু আমরা ঘুমাতে যাই আর ঘুমের সময় আমাদের শরীরে হজম কার্য ঠিকমতো চলে না। যার কারণে এই খাদ্যগুলো ঠিকভাবে হজম হতে পারে না এবং সেগুলো আমাদের দেহে চর্বি হয় । ঠিক এগুলো ঘটনা ঘটে যাওয়ার জন্য এই রাতের বেলা খুব অল্প পরিমাণে খেতে বলা হয়। এক কথায় আপনার শরীরে যেগুলো প্রবেশ করাবেন, সেগুলো যেন সম্পূর্ণরূপে হজম হয়ে আপনার দেহে চর্বি রূপে জমা না হয়ে শক্তি রূপে জমা হয় । শরীরে চর্বি বেড়ে যাওয়ার কারণেই আপনার ওজন এত বেড়ে গিয়েছে তাই সবসময় আপনাকে চর্বি কমানোর জন্য চেষ্টা লেগে থাকতে হবে।

পরিশেষে

বন্ধুরা আজকে আমরা যেভাবে আপনাদেরকে মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট দিয়েছি, যদি এই চার্ট কেউ চার থেকে পাঁচ মাস অনুসরণ করতে পারে তাহলে সে দেখবে তার ওজন অনেক কমে গেছে এবং সে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। যদিও যেভাবে ডায়েট অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে এটি আপনাদের অনুসরণ করতে বেশ কষ্ট হতে পারে। তবে যদি আপনি কয়েক সপ্তাহ কষ্ট করে অনুসরণ করতে পারেন তাহলে পরের সপ্তাহ থেকে আর কষ্ট হবে না এটা আপনার অভ্যাস হয়ে যাবে ।

আর হ্যাঁ যদি আপনাদের ক্ষুধা লেগে যায় তাহলে হুটহাট করে কিছু খাবেন না ক্ষুধা লাগলে আপনি চাইলে ফলমূল গুলো বেশি করে খেতে পারেন এখানে ভাত সবসময় কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আর সব সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে মিষ্টি খাবার গ্রহণ করা যাবে না । উপরের এই নিয়মগুলো মেনে চললে ইনশাল্লাহ আপনি আপনার ওজন খুব তাড়াতাড়ি অনেক কমিয়ে নিতে পারবেন । আশা করি পোস্টে আলোচিত পয়েন্ট গুলো আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন , যদি ভালো লাগে তাহলে চাইলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

ভালো লাগতে পারে

Back to top button