ইয়া মানিউ অর্থ | ইয়া মানিউ এর ফজিলত
আসসালামু আলাইকুম, মহান আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নাম রয়েছে এই নামের মধ্যে ইয়া মানিউ নামটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ । তো যারা আল্লাহ তাআলার এই ইয়া মানিউ অর্থ বা ইয়া মানিউ এর ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজি করে এই ইয়া মানিউ এর ফজিলত জানার চেষ্টা করে থাকেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট । কারণ প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আমরা আজকে এই মূল্যবান পোষ্টের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম ইয়া মানিউ অর্থ এছাড়াও এই নামের অর্থাৎ ইয়া মানিউ এর ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ।
আল্লাহ তাআলার অসংখ্য নাম রয়েছে যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয় আল্লাহ তাআলার কয়টি নাম অনেকেই বলে থাকে আল্লাহ তাআলার ৯৯ টি নাম । কিন্তু বন্ধুরা এটি বলা সম্পূর্ণ সঠিক নয় কারণ মহান আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নাম রয়েছে যাহা বলে শেষ করা যাবে না । তো এই অসংখ্য নাম গুলোর মধ্যে আমরা আজকে ইয়া মানিউ অর্থ এবং ইয়া মানিউ এর ফজিলত আলোচনা করব।
ইয়া মানিউ অর্থ | ইয়া মানিউ এর ফজিলত
Table of Contents
যদিও আল্লাহ তাআলা তার প্রত্যেকটা নামের ডাক শুনতেই অনেক বেশি খুশি হয়ে থাকে। তবুও আল মানিউ এর অর্থ আপনি জানলে এই নামের প্রতি আপনার আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে, এবং ইয়া মানিউ এর ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারলে আপনি আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন আল্লাহ তায়ালার রহমতের প্রতি। চলুন তাহলে আমরা প্রথমে ইয়া মানিউ এর ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করব এবং এর পরে আমরা আল্লাহ তালার সর্বশ্রেষ্ঠ নাম ইয়া মানিউ অর্থ নিয়ে বিশ্লেষিত আলোচনা করুন ।
ইয়া মানিউ অর্থ
বন্ধুরা আল্লাহ তাআলার নামগুলোর অর্থ না জানলে যে আল্লাহ তা’আলা রহমত বর্ষিত করবেন না এমনটি নয়। তবে আমরা জানার জন্য চাইলে আল্লাহর সমস্ত নামের অর্থ গুলো জেনে নিতে পারে এতে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই খুশি হবে । চলুন আমরা তাহলে ইয়া মানিউ অর্থ নিয়ে বিশ্লেষণ করি ।
আল্লাহ তাআলার এই ইয়া মানিউ অর্থ অনেকগুলো রয়েছে তো এই অর্থগুলো আমরা নিচে বর্ণনা করে দিলাম।
★ ক্ষতি ও বিপর্যয়ে বাধাদানকারী: ইয়া মানিউ এর ফজিলত পড়তে গিয়ে আপনারা আল্লাহ তায়ালার এই নামের ফজিলত গুলো অবশ্যই জানতে পারবেন । তবে আল্লাহ তাআলার ইয়া মানিউ অর্থ সম্পর্কে মুহাদ্দিসরা এই ক্ষতি ও বিপর্যয়ে বাধানকারী কথাটি উল্লেখ করেছেন আল্লাহ তা’আলা এই নামের দাঁড়ায় তার সেই মহত্ব গুণ বিপর্যয় অর্থাৎ কারো বিপদে বাধা দানকারী বিষয়টি প্রকাশ করেছেন ।
★ নিষেধ কারী বা বারনকারী: মহান আল্লাহ তায়ালার ক্ষমতা অসীম তিনি সবকিছু করতে পারেন। তো আল্লাহ তাআলার এই ইয়া মানিউ অর্থ প্রকাশ করতে গিয়ে মোহাদ্দিসরা নিষেধ কারী বা বারনকারী এ কথাটি উল্লেখ করেছেন । অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যে যেকোন কিছু নিষেধ করতে পারে বা যে কোন কিছুর বিষয়ে বারণ করতে পারে সেই গুণটাই এই নামের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে ।
★ তিনি একজন প্রতিরোধকারী: আল্লাহ তাআলার ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদেরকে আর বিশ্লেষণ করতে হবে না। তিনি অসীম তিনি সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক আর তিনি আমাদের বিভিন্ন কাজ থেকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম । এবং আল্লাহতায়ালা যে কোন বিষয় প্রতিরোধকারী হিসেবে আসতে সক্ষম তাই আল্লাহ তা’আলা এই নামের মাধ্যমে প্রতিরোধকারী বিষয়টাকেউ স্পষ্ট করে দিয়েছেন ।
পড়তে পারেনঃ জান্নাতের হুরদের নাম ও বর্ননা
★ রক্ষাকর্তা: মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন এই পুরো সৃষ্টি জগতকে কিভাবে রক্ষা করেছেন তা আমরা সূরা বাকারার ভিতর আয়তাল কুরসি নামক আয়াত অংশে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারি । আল্লাহ তা’আলা নির্ঘুম ভাবে কোন পরিশ্রম ছাড়াই পুরো সৃষ্টি জগতকে রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছেন । তো এই ইয়া মানিউ অর্থ বলতে গিয়ে মুহাদ্দিসগণ রক্ষাকর্তা নামটিও প্রকাশ করেছেন ।
উপরে শুধু আমি ইয়া মানিউ অর্থ কয়েকটি বললাম আল্লাহ তালার একটি নামের অসংখ্য অর্থ রয়েছে যেগুলো আমাদের সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা কখনোই সম্ভব নয়। তো আমরা এই ইয়া মানিউ অর্থগুলো পড়েই কিন্তু কিছু কিছু ইয়া মানিউ এর ফজিলত সম্পর্কে বুঝে গেছি । তবুও যেহেতু আপনারা ইয়া মানিউ এর ফজিলত বিস্তারিত পড়তে এসেছেন চলুন আমরা এর পরবর্তী টপিকে ইয়া মানিউ এর ফজিলত সম্পর্কে বিশ্লেষণ করি ।
ইয়া মানিউ এর ফজিলত
বন্ধুরা আল্লাহ তায়ালার প্রত্যেকটি নামের অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। আল্লাহতালার একটি নামের ফজিলত যদি সারা জীবন বর্ণনা করা যায় তবুও শেষ হবে না । তবুও আমরা সাধারন মানুষদের মনের তৃপ্তির জন্য মুহাদ্দিসগণ আল্লাহ তাআলার প্রত্যেকটি নামের কিছু কিছু আলাদা আলাদা ফজিলত এর কথা উল্লেখ করেছেন । তো সেখান থেকে আমরা চলুন ইয়া মানিউ এর ফজিলত সম্পর্কে কিছু টপিক আলোচনা করি ।
১. সংসার করতে গিয়ে প্রত্যেকটা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য কথা কাটাকাটি হতে পারে । তো যদি কোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে হঠাৎ দন্দ লেগে যায় তাহলে তারা যদি ঘুমানোর আগে ১০ / ২০ বার আল্লাহ তাআলার এই ইয়া মানিউ নামটি পাঠ করে এবং তারপর ঘুমাতে যায় তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা তাদের সেই দ্বন্দ্বকলহ কে ঠিক করে দিয়ে তাদের মধ্যে আরো মহব্বত বাড়িয়ে দেবে । আর এখানেই আল্লাহ তায়ালার ইয়া মানিউ অর্থ গুলোর মধ্যে প্রতিরোধকারী এই পারিভাষিক শব্দটি চলে আসে বা এই পারিভাষিক শব্দটির গুরুত্ব বোঝা যায় ।
Related Posts
২. আমরা উপরে ইয়া মানিউ অর্থ পড়তে গিয়ে পড়ে এসেছি আল্লাহ তাআলা এই নামের মাধ্যমে অকল্যাণকর রোধ করাটা বুঝিয়েছেন। তো কোন সাধারণ মানুষ যদি নিয়মিত আল্লাহ তাআলার এই ইয়া মানিউ নামটি তেলাওয়াত করতে থাকে তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা তার ওপর থেকে যাবতীয় বালা মুসিবত দূর করবে এবং তাকে কোন ক্ষতির সম্মুখীন হইতে দিবে না ।
৩. এছাড়াও মুহাদ্দিসগণ এই ইয়া মানিউ এর ফজিলত সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন যে, যদি কোন ব্যক্তি বৈধ উদ্দেশ্য নিয়ে আল্লাহ তায়ালার এই নামটি নিয়মিত পাঠ করতে থাকে আল্লাহ তা’আলা তার মনের সকল বাসনা পূরণ করে দেবে ইনশাল্লাহ।
৪. বড় বড় মুহাদ্দিসগণ আরো বলেন যে সকাল সন্ধ্যা যে কেউ এই নামটি তেলাওয়াত করে থাকলে আল্লাহ তা’আলা সেই মানুষের গুনাহ মাফ করে দেয় এবং তার যাবতীয় কাজে সফলতা দিয়ে দেয় ।
ইয়া মানিউ অর্থ এবং ইয়া মানিউ এর ফজিলত নিয়ে শেষ কথা
আমরা উপরে এতক্ষণ আল্লাহ তাআলার বিশেষ নাম ইয়া মানিউ অর্থ আলোচনা করার পাশাপাশি এই ইয়া মানিউ এর ফজিলত সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেছি । তো বন্ধুরা আপনারা বুঝতে পেরেছেন তাহলে আল্লাহর এই ইয়া মানিউ নামটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম ।
তবে আমি কিন্তু আর্টিকেল এর শুরুতেই বলে দিয়েছি আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নাম এবং এই অসংখ্য নামের মধ্যে প্রত্যেকটি নামের পারিভাষিক অর্থ অসংখ্য অর্থাৎ একটি নামের অর্থ বিশ্লেষণ করতে গেলে সারা জীবন ও শেষ হবে না। এছাড়াও এই নাম গুলোর যে ফজিলত রয়েছে সেগুলো বিশ্লেষিত আলোচনা করতে গেলেও সারা জীবন শেষ হবে না, কারণ প্রত্যেকটির নামের অসংখ্য হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ফজীলত আছে ।
তবুও এত ফজিলত এর মাঝখান থেকে আমরা ইয়া মানিউ এর ফজিলত যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে সেগুলো পাঠকদের উদ্দেশ্যে আলোচনা করেছি। তো এই ইয়া মানিউ অর্থ এবং ইয়া মানিউ এর ফজিলত সম্পর্কে কোনো পাঠক যদি বুঝে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে জিজ্ঞেস করে সেটি বুঝে নিবেন।
আল্লাহ তাআলা তার যেকোনো নামে বান্দার থেকে ডাক শুনলেই তিনি খুশি হন । তবে তাহার সর্বশ্রেষ্ঠ নাম হচ্ছে ‘আল্লাহ’ এই নামের উপর আর কোন নাম নেই । তো আপনি যে কোন নামে ডাকলেই তিনি আপনার উপর সন্তুষ্ট থাকবেন । যাইহোক বন্ধুরা আপনারা আল্লাহ তায়ালার নামগুলো বেশি বেশি স্মরণ করার চেষ্টা করবেন, এবং প্রতিনিয়ত আল্লাহ তাআলার জিকিরের মশগুল থাকবেন তাহলে ইনশাল্লাহ আপনাদের জীবনের সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং আল্লাহ তা’আলা আপনাদের উপর খুশি থাকবেন এবং আপনারা ইহকাল এবং পরকালে প্রত্যেকটা কাজের সফলতা পাবেন ইনশাল্লাহ ।