এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় | চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম | চুলকানি দূর করার ক্রিম
![এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় | চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম | চুলকানি দূর করার ক্রিম](https://banglablogspot.com/wp-content/uploads/2023/01/এলার্জি-চুলকানি-দূর-করার-উপায়-চুলকানির-ট্যাবলেট-এর-নাম-চুলকানি-দূর-করার-ক্রিম.webp)
আসসালামু আলাইকুম সবাই ভাল আছেন। আজকের পোস্টে আমার এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সহ দাদ চুলকানি দূর করার উপায় এবং এর সাথে চুলকানি দূর করার ক্রিম পর কেউ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমাদের আজকের মূল আলোচনায় চলে যাই।
এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় | চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম | চুলকানি দূর করার ক্রিম
এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়
এলার্জি দূর করার জন্য বিভিন্ন ট্যাবলেট এবং উপায় রয়েছে। তবে অন্য যায়গায় চুলকানি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এবং পরামর্শ ব্যতীত কোন অন্য নিয়ম অনুসরণ করলে চলবে না। তবে সাধারণত শরীরের যেকোন অংশে চুলকানি হলে সেক্ষেত্রে নিন্মুক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে। এ নিয়ম অনুসরণে জানতে পারবেন এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে।
১. এলোভেরা এবং এলোভেরার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে মুখের চুলকানি এবং এলার্জি দুটোই নিরাময় হয়ে ওঠে।
২. মূলত এলার্জি হয়ে থাকে ধুলোবালি থেকে। আর তাই যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন আপনি যে স্থানে থাকবেন সেখানে ধুলো পরিষ্কার করার। অর্থাৎ বাড়িতে থাকলে সেই বাসার আপনি যেসব স্থানে অবস্থান করেন সেই সব স্থান পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন।
৩. এলার্জি জাতীয় বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে। আর এইসব খাবার যদি আপনি খান সে ক্ষেত্রে অ্যালার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন এসব খাবার না খাওয়ার। এতে করে যদি আপনার এলার্জি থাকে তার পরবর্তীতে আর বৃদ্ধি পাবে না।
৪. মিমের পাতা: মিমের পাতার ব্যবহার বেশ কয়েক মাধ্যমে করা যেতে পারে। আর তার সাহায্যে সহজেই অ্যালার্জি চুলকানি দূর হয়ে যায়। তবে এর জন্য কিছু সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় এর মাঝে এটি অন্যতম।
এই নিয়ম অনুসরণ করতে হলে সবার প্রথম দিনের কথা জোগাড় করুন। প্রথমেই পাতা পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে দিতে হবে। তারপরে একদম শুকিয়ে গেলে তা দিয়ে একটি পাউডার তৈরি করতে হবে। এবং এই পাউডারটি কোন একটি সুরক্ষিত জায়গায় গচ্ছিত রাখতে হবে।
এরপরে সেই নিম পাতার পাউডারটিকে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘন্টার মতন সময় দিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপরে একটি পরিষ্কার চামচ দিয়ে তা একটু ঘেঁটে দিতে হবে। এরপরে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।
অবশ্যই আপনি একটি ছোট গ্লাসের মাঝে প্রাণে পূর্ণ করবেন। আর তার মাঝেই মূলত এই পাউডারটিকে দিতে হবে। তবে স্বল্প পরিমাণে দিবেন যতটা পানিতে চিনি মিশিয়ে খান। এরপর মিশ্রনটি আপনাকে প্রতিদিন পান করতে হবে। আপনি সকালে দুপুরে এবং রাতে তিন সময় খাবেন। ১৫ থেকে ২০ দিন এই মিশ্রণটি খেলে আশা করা যায় অনায়াসে আপনার চুলকানি দূর হয়ে যাবে।
দাদ চুলকানি দূর করার উপায়
দাদ হচ্ছে এক ধরনের ভাইরাস জনিত রোগ। যাদের এক জায়গাতে হলে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এর মাধ্যমে দেহে চুলকানির সৃষ্টি হয়। সে সময় জরুরি অবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এমন অবস্থাতে ঘরোয়া কিছু উপায়ে এ চুলকানি দূর করতে পারেন। নিন্মুক্ত উপায় মেনে চলুন দাদ চুলকানি দূর করতে। তাছাড়া দাদ চুলকানি দূর করতে পূর্বে জানতে হবে এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়। কেননা এই দুইয়ের মাঝে পার্থক্য একটুখানি।
মধু ব্যবহার করুন: সহজেই দাদ চুলকানি দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন মধু। আর মধু সরাসরি ব্যবহার করতে হবে না। এক্ষেত্রে একটি নরম কাপড় কিংবা তুলাই করে মধুর প্রলেপ তৈরি করতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট সেই স্থানটিতে এটি আলতো করে লাগাতে হবে। এভাবে নিয়মিত করে সেই দাদ চুলকানিযুক্ত স্থানে লাগালে অনায়াসে ভালো হয়ে যাবে। এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় এর মধ্যে এটি সবচেয়ে সেরা।
তুলসীর পাতা ব্যবহার করুন: তুলসী পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগের উপশম মিলে। তাছাড়া সর্দি কাশি হলে এই পাতার ব্যবহার লক্ষণীয়। তবে দাদ চুলকানির ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার বিরল। ব্যবহার বিরোধ হলেও কার্যকরিতা কিন্তু অসাধারণ। তুলসীর রস নিয়মিতভাবে ভাইরাসযুক্ত স্থানে লাগালে তা দ্রুত সেরে উঠবে। এলার্জি চুলকানি দূর করার একটি অন্যতম উপায় এটি।
অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন: অ্যালোভেরা একটি জেলে যুক্ত পদার্থ। এটি ব্যবহারের লক্ষ্য শত কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। এরই মধ্যে দাদ জনিত যেসব চুলকানি রয়েছে, তা দ্রুত ছেড়ে তুলতে সহযোগিতা করে। এর জন্য এর ভেতরের থলথলে অংশটি বের করতে হয়। এবং তা ব্লেন্ড করার মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়।
চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম
নিন্মুক্ত ওষুধগুলো নিয়মিত খেলে চুলকানি ভালো হয়ে যাবে। তবে অতিরিক্ত খেলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চুলকানি ট্যাবলেট গুলো খাওয়া জরুরী। এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় আপনাদের জানানো হয়েছে। তবে এজন্য কিছু ওষুধ রয়েছে, রয়েছে কিছু মলম। এগুলো ব্যবহারের দ্রুততার সঙ্গে চুলকানি সেরে ওঠে।
drama 50: এই ট্যাবলেট ব্যথা নিরাময়ের জন্য কাজ করে। হালকা এবং শক্ত ব্যথা দূর করার জন্য ড্রামা পঞ্চাশ উল্লেখযোগ্য। একই সঙ্গে চুলকানি নিরোধকারী ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
Sedno: এই ট্যাবলেট ব্যবহার করলে ঋতুকালীন এবং বর্ষাকালীন বিভিন্ন ধরনের এলার্জি থেকে মুক্ত হওয়া যায়। এটি পাঁচ গ্রামের একটি ট্যাবলেট। ইউনিক মূল্য ২.৫২ টাকা।
Loratadine: গরমের সময় যখন অতিরিক্ত চুলকানি হয় অনুভূত হয় তখন চাইলে এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি শুধুমাত্র একবার খেলেই আপনার চুলকানি একদম হারিয়ে যাবে।
Cetrizine: উপরে তো ট্যাবলেট এর মত মেয়েটি ও একটি উন্নত মানের ট্যাবলেট যা গরমের সময় চুলকানির থেকে রক্ষা করে।
Desloratadine: এটি চুলকানির পাশাপাশি চুলকানির স্থানে ভাইরাস দূর করে দেয়। মূল্য কম হয় সহজেই যে কোন স্থানে পাবেন।
fexofenadine: আমাদের তালিকা সর্বশেষ একটি ট্যাবলেট এটি। এবং এই ট্যাবলেট একটুখানি খুঁজতে কষ্ট হবে। মূলত এই ট্যাবলেটটি বাজারে খুব কমই দেখা যায়। তবুও এটি কিন্তু আমাদের চুলকানি রোধ করতে খুবই সহযোগিতা করে।
চুলকানি দূর করার ক্রিম
এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় অবলম্বনের পাশাপাশি ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। চুলকানি দূর করার জন্য বেশ কিছু ক্রিম রয়েছে। নিয়মিতভাবে এসব ক্রিম ব্যবহার করলে আপনার শরীর থেকে চুলকানি দূর হয়ে যাবে। বিশিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিন্মুক্ত ক্রিম সমূহ ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
কর্টিকোস্টেরয়েড ক্রিম
এমন একটি ক্রিম যা আপনার ত্বকের মধ্যে থাকা সকল ধরনের চুলকানি ঠিক করে দিবে। এর জন্য নিয়মিত আপনাকে এটি ব্যবহার করতে হবে। নিয়ম ভঙ্গ করে একদিন পর বা দুইদিন পর করলে হবে না। সঠিক নিয়মে আলতো করে আপনার ত্বকে এই ক্রিম গুলো লাগাবেন। ত্বকের যে অংশটিতে আপনার চুলকানি হচ্ছে সে অংশে লাগাবেন।
রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
এ ধরনের চুলকানি গুলো রোধ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় অবলম্বন করতে হয়। সাধারণত নারী-পুরুষ সকলেরই চুলকানি হয়ে থাকে। আরে চুলকানি যখন হয় তখন আমাদের অতিরিক্ত জ্বালা করতে শুরু করে। যার ফলে আমরা অন্যান্য কাজ করতে মনোযোগী হতে পারি না।
ক্যালেন্ডুলা অয়েল
আামাদের এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় এর মাঝে ক্যালেন্ডুলা অয়েল অন্যতম। ক্যালেন্ডুলা হচ্ছে একটি ফুল। সেই ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি হয় অসাধারণ একটি তেল। এই তেল ব্যবহারে অনায়াসে আপনার রানের চিপার চুলকানি দূর হবে। এছাড়া এই ফুলটি দেখতে সূর্যমুখীর মতন। হলুদ আকৃতির এই ফুলটি হতে উৎপাদনকৃত তেলের নামই ক্যালেন্ডুলা অয়েল। আর এই তেল ব্যবহারে নিরাময়ী হবে আপনার সকল চুলকানি।
চা গাছের তেল
চা গাছের তেল ব্যবহারের মাধ্যমে ফাঙ্গাল ইনফেকশন খুব দ্রুত সেরে ওঠে। আর রানের চিপায় চুলকানি দূরের এটি অন্য একটি অসাধারণ উপায়। তবে এটি নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করে আরও উপকৃত হতে পারেন। এর জন্য যে পরিমাণ নারকেল তেল নিবেন তার দ্বিগুণ চার তেল নিবেন। এবং তা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে অনায়াসে রানের চিপার চুলকানি দূর হবে। এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় এর মাঝে চা গাছের তেল সর্বশেষ।
এছাড়াও রানের চিপায় চুলকানি এড়াতে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। রানের চিপায় চুলকানি হয়ে থাকে অতিরিক্ত চিপা আন্ডারওয়ার পড়ার জন্য। তাই অবশ্যই হালকা-পাতলা নরম এবং মোটামুটি ধরনের আন্ডারওয়ার ব্যবহার করুন।
পরিশেষে: আশা করি আজকে দেখানো এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় গুলো আপনাদের কাজে লাগবে এবং আমরা যে এলার্জির ঔষধ গুলো আপনাদের কে জানিয়ে দিয়েছে সেগুলো খেলে আপনারা অবশ্যই উপকৃত হবেন। এছাড়া আমরা বেশ কয়েকটি চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে আপনাদেরকে বলেছি আশা করি সেগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
You have to wait 53 seconds. Generating next Post Link…( 3 no. Post)
|