কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় বিস্তারিত জানুন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ । আপনার মনে কি, কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় এরকম প্রশ্ন ঘুরপাক খায়?  বা আপনি কি ভালবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার আমল ও দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? তাহলে আজকে আপনি সঠিক পোস্টে চলে এসেছেন। 

কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় | ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া

কারণ বন্ধুরা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় এই প্রশ্নটির বিস্তারিত উত্তর সহ ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া সম্পর্কে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবে আলোচনা করব । তাহলে বন্ধুরা চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই। 

পোষ্টের সূচিপত্র: কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায়

কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় | ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া 

আমরা অনেক সময় কোন ছেলে কিংবা মেয়েকে মনে মনে ভালোবেসে ফেলি কিন্তু বিভিন্ন বাধার কারণে আমরা আমাদের মনের কথাটিকে তার সাথে শেয়ার করতে পারিনা । যার কারণে আমরা আল্লাহর কাছে এই ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া করতে চাই। 

তাই অনেকেই ইন্টারনেটে বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজি করে থাকে যে কোন ছেলে কিংবা মেয়ে পারস্পরিক কথা না বলে কাউকে বিয়ে করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারবে কিনা। তো আমরা এই বিষয়বস্তুগুলো সহ এই কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় প্রশ্নটির উত্তর ভালোভাবে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করব। 

পোস্টটি আশা করি শেষ পর্যন্ত পড়বেন যদি শেষ পর্যন্ত পারেন তাহলে ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন । 

ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া করা জায়েজ কিনা

বন্ধুরা কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় এই টা জানার আগে আপনাকে অবশ্যই এই ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া করা জায়েজ কি না জায়েজ সেই সম্বন্ধে জ্ঞান রাখতে হবে।   কারণ আপনি যদি আল্লাহর কাছে এমন কোন বিষয়বস্তু সম্পর্কে দোয়া করেন যা কোরআন হাদিস থেকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে তাহলে কিন্তু আপনি অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন এবং অনেক বড় গুনাহ হয়ে যেতে পারে। 

এই কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় এটার বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য আমরা মুসলিম শরীফের একটি হাদিসকে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি সেটা হচ্ছে – রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেছেন যে আল্লাহ তাআলা তার কোন বান্দার দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করেন যতক্ষণ পর্যন্ত না সে কোন পাপ পাপ কাজের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছে । এছাড়াও এখানে আরো দুইটি কথা বলা হয়েছে সেটা হচ্ছে কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার জন্য এবং তাড়াহুড়ো করে দোয়া করলে সেটা হারাম হয়ে যাবে । (মুসলিম, অধ্যায় – জিকির ও দোয়া , ২৫ পরিচ্ছেদ )

আমরা উপরে উল্লেখিত হাদিস থেকে বুঝতে পারি যে, দোয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলা নিজেই তিনটি বিষয়কে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন সেটা হচ্ছে- প্রথমত কোন হারাম কাজের জন্য দোয়া করা যাবে না দ্বিতীয়তঃ কারো সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার জন্য দোয়া করা যাবে না এছাড়াও তাড়াহুড়ো করে দোয়া করা যাবে না তাহলে আপনি অবশ্যই গুণাহগার হয়ে যাবেন। এই তিনটি ছাড়া আমরা আমাদের যে কোন দোয়া আল্লাহর কাছে করতে পারব সে ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। 

পড়তে পারেনঃ দূর থেকে ভালোবাসার মানুষকে কাছে আনার উপায় বা আমল নিয়ে বিস্তারিত

সুতরাং উপরের এই হাদিসটি থেকে আমরা বুঝতে পারি যে সুনির্দিষ্টভাবে যদি আমরা কোন ব্যক্তিকে মনের মানুষ হিসেবে পাওয়ার জন্য বা বিবাহ করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি তাহলে সেটা শরীয়তের মৌলিক বিষয় থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসবেনা।  অর্থাৎ আমরা চাইলে আমাদের ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া করতে পারব। এবং আমরা বুঝতে পারলাম যে ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার আমল ও দোয়া করা জায়েজ আছে ।

কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় 

বন্ধুরা আমরা উপরে ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া জায়েজ কিনা সেটা আপনাদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি তো চলুন এখন আমরা কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় এই বিষয় সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেই। 

আমরা চাইলে কোন মানুষকে বিবাহ করার সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি তবে এক্ষেত্রে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যদি কোন শর্ত জুড়ে দিয়ে আমাদের মনের মানুষকে পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি তাহলে সেটা বেশি উত্তম হয় । অর্থাৎ ধরুন দোয়া করার সময় আমরা উল্লেখ করলাম যে আল্লাহ যদি সেই ব্যক্তিটা আমার ভাগ্যে লেখা থাকে তাহলে আপনি তাকে পাওয়ার রাস্তা সহজ করে দেন অন্যথায় যদি সেই ব্যক্তি আমার ভাগ্যে না লেখা থাকে তাহলে আমার মন থেকে তার জন্য আকর্ষণ উঠিয়ে নিন।

যদি আমরা এইভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করি তাহলে আশা করি আমাদের দোয়া আল্লাহ তা’আলা কবুল করে নেবেন এবং এই দোয়ার ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা আসবেনা । তো এখন কথা হচ্ছে কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় । নিচে আমরা একটি দোয়া উল্লেখ করে দিলাম ।

কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় | ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া

ফটোতে উল্লেখিত দোয়াটি পড়লে আশা করি আল্লাহ তাআলা আপনার মনের মানুষকে পাওয়ার রাস্তা সহজ করে দেবে। এছাড়াও সহি বুখারিতে ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি উল্লেখ করেছেন যে আমরা দুনিয়াবী যে কোন বৈধ কাজের কল্যাণের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি । অর্থাৎ আপনারা চাইলে ইস্তেখারার সময়ের দোয়াটিও পরতে পারেন। 

এই ইস্তেখার সময়ের দোয়াটি আপনারা বুখারী শরীফ হাদিস নাম্বার 6382 এ পেয়ে যাবেন। গুগলে এই হাদিস নম্বরটি লিখে সার্চ করলেই আপনারা হাদিসের বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া

ওপরে আমরা কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় এই নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি তো এখন আমরা ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া নিয়ে পাঠকদের উদ্দেশ্যে কথা বলব। এই ভালবাসার মানুষ বা মনের মানুষকে কাছে পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল নেই। 

তবে আপনি যদি আল্লাহর আদেশ এবং নিষেধ ঠিক ঠিক ভাবে মেনে চলেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আপনার পছন্দের মানুষটিকে বিবাহ করার জন্য আল্লাহর কাছে নিয়মিত চাইতে থাকেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ আপনার মনের আশা পূরণ করবে।

পড়তে পারেনঃ ভালোবাসার মানুষকে ফিরিয়ে আনার উপায় গুলো জেনে নিন

তবে হ্যাঁ যদি দেখেন যে সেই ব্যক্তির জন্য আপনারা দোয়া কবুল হচ্ছে না তাহলে বুঝে নিতে হবে আল্লাহ তাআলা সেই মানুষটিকে আপনার জন্য রাখেনি বরং তার থেকে ভালো কাউকে আপনার জন্য রেখে দিয়েছে। এ বিষয়গুলো বুঝে শুনে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের জন্য ইবাদত করুন এবং আল্লাহর কোন নিষেধ করা কাজ করবেন না এবং অবৈধ পথে চলবেন না তাহলে অবশ্যই আল্লাহ আপনার জন্য কল্যাণকর কিছু নিয়ে আসবে।

পরিশেষে কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় 

বন্ধুরা আশা করি আপনারা পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন আমরা মূলত আজকের পোস্টে ভালবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া এবং কোন দোয়া পড়লে মনের মানুষকে পাওয়া যায় এই বিষয়গুলো নিয়ে পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করেছি । তবে আলোচনা করলেও পরিশেষে আপনাদেরকে কিছু কথা না বললেই নয় ।

এই কথাগুলোর হচ্ছে আপনারা কখনোই কাউকে পাওয়ার জন্য অবৈধ পথ ( যেমন: কালো যা**দু বা টো **টকা ) অবলম্বন করবেন না। তাহলে আপনার দুনিয়া ও শেষ এবং আখেরাতেও অনেক শাস্তি পেতে হবে। আর হ্যাঁ অবশ্যই হারাম সম্পর্কে জড়ানোর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা যাবে না। এবং কোন হারাম সম্পর্কে জড়ানো যাবে না। 

যদি আমরা কোন হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি তাহলে অনেক বেশি গুনাহ হয়ে যাবে যা মৃত্যুর পর আমাদেরকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেবে। তো বন্ধুরা আশা করি আপনারা ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার আমল ও দোয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে এই সকল দোয়া অবশ্যই জায়েজ নিয়তে করতে হবে এবং হালাল নিয়তে করতে হবে আর হ্যাঁ কখনোই তাড়াহুড়ো করা যাবে না কারণ তাড়াহুড়ো হচ্ছে শয়তানের কাজ। দোয়া করার পর যদি সেই মানুষটি আপনার না হয় তাহলে বুঝবেন আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য এর থেকে আরো ভালো কিছু রেখে দিয়েছে যা আপনি কখনো কল্পনাও করেননি। সবাই ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম ।

ভালো লাগতে পারে

Back to top button