চিকন হওয়ার উপায় কি – চিকন হওয়ার ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত

আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। যদি আপনার স্থূলতা অনেক বেশি থাকে অর্থাৎ যদি আপনি মোটা হয়ে থাকেন তাহলে এটা আপনার অস্বস্তিবোধের প্রধান কারণ হবে । কারণ যে সমস্ত ব্যক্তিগুলো মোটা রয়েছে তাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।  কিন্তু বন্ধুরা আপনি চাইলে আপনার ওজন কমিয়ে খুব সহজে চিকন হতে পারবেন এজন্য আপনাকে অবশ্যই কিভাবে চিকন হওয়া যায় এই সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে । এই কারণে আজকের পোস্টে আমরা চিকন হওয়ার ব্যায়াম এছাড়াও চিকন হওয়ার উপায় কি বা কিভাবে চিকন হওয়া যায় সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করব ।

চিকন হওয়ার উপায় কি – কিভাবে চিকন হওয়া যায় – চিকন হওয়ার ব্যায়াম – chikon howar upay

আপনি চিকন হবেন কি মোটা হবেন এটা সম্পূর্ণ আপনার হরমোন এবং DNA এর ওপর নির্ভর করে থাকে । যদি আপনার হরমোন চায় আপনাকে মোটা বানাতে তাহলে অবশ্যই আপনি মোটা হবেন আর যদি আপনার হরমোন চায় আপনাকে চিকন বানাতে তবে আপনি অবশ্যই চিকন হয়ে যাবেন । কিন্তু যদি কেউ খুব বেশি মোটা হয়ে যায় তাহলে এটা তার স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন চলাতে অনেক বাধা প্রদান করে । মোটা হলে যে শুধুমাত্র শারীরিকভাবে অস্বস্তি বোধ হয় এমনটা নয় মোটা ব্যক্তিরা মানসিকভাবে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।  যাই হোক আজকের পোস্টে আমরা খুব সুন্দর ভাবে আপনাদেরকে মোটা হওয়ার উপায় কি বিষয়টা ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবো তাই পোস্টটি  অবশ্যই পুরোটা পড়বেন ।

চিকন হওয়ার উপায় কি - চিকন হওয়ার ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত

চিকন হওয়ার উপায় কি – chikon howar upay

আপনি বিভিন্নভাবে আপনার ওজনকে কমিয়ে চিকন হতে পারবেন কিন্তু যদি আপনি ভুলভাল কোন কাজ করতে যান তাহলে এতে করে আপনার শরীরের অন্য ক্ষতি হতে পারে।  ঠিক এই কারণে আপনাকে অবশ্যই সঠিক ভাবে চিকন হওয়ার উপায় জেনে নিয়ে তারপর এই কাজে যেতে হবে।  তো আমরা এখন আপনাকে বেশ কিছু পয়েন্ট বোঝাবো এই পয়েন্ট গুলো যদি আপনি ঠিকভাবে মেনে চলেন। তাহলে অবশ্যই খুব সহজে আপনি আপনার ওজনকে কমিয়ে আগের থেকে বেশি চিকন হতে পারবেন ।

যারা ইতিমধ্যে অনেক বেশি চিকন আছে তারা চায় মোটা হতে কিন্তু তারা কোনভাবেই মোটা হতে পারে না। আবার যারা ইতিমধ্যে অনেক বেশি মোটা হয়ে গেছে তারা আবার চায় চিকন হতে কিন্তু তারা কোনভাবে চিকন হতে পারছে না । এখানে দুই দিক থেকে সমস্যা হচ্ছে কিন্তু আজকের পোস্টটা আমরা শুধুমাত্র চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো ।

১. ওজন কমানোর ডায়েট প্লান তৈরি করুন

মনে রাখবেন আমাদের শরীর তখনই বৃদ্ধি হতে পারে যখন তাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন প্রোটিন বা অন্যান্য উপাদানগুলো যোগান দেওয়া হয় । যদি আপনি আপনার শরীরকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য দেন তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার শরীর গ্রহণ করবে এবং আপনার শরীর তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠবে । ঠিক এই কারণে আপনাকে অবশ্যই এই খাদ্য আগে ঠিক করতে হবে যদি আপনি খাদ্য সঠিকভাবে ঠিক করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার ওজন কমিয়ে চিকন হতে পারবেন ।

যদিও বিভিন্ন ধরনের ডায়েট প্লান আছে কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে কোন ডায়েট প্লান্টটি সঠিকভাবে কাজ করবে সেটা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ ডায়েটিশিয়ানের এর কাছ থেকে পরীক্ষা করে জেনে নিতে হবে । তবে হ্যাঁ আপনি চাইলে নিজে থেকেও এই কাজটি করতে পারবেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই bmr ক্যালোরি হিসাব করে সেটা জানতে হবে । তবে নিচে আমি বেশ কয়েকটি ডায়েট প্ল্যান এর তালিকা আপনাদেরকে দিয়ে দিলাম ।

  • লো কার্ব ডায়েট প্লান
  • জিএম প্লান
  • kiTO ডায়েট প্ল্যান
  • ইন্টারমিডিয়েট ফাস্ট ডায়েট প্ল্যান
  • ক্র্যাশ ডাইট প্ল্যান

অনেক ধরনের ডায়েট প্লান থাকলেও আমি উপরে যে কয়েকটি ডায়েট প্ল্যান এর কথা আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম এগুলো চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী । আপনি এই ডায়েট প্ল্যানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত youtube এবং google থেকে জেনে নিতে পারবেন।

পড়ুনঃ পেঁয়াজ দিয়ে চুল লম্বা করার পদ্ধতি – কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা

২. প্রোটিন বেশি গ্রহণ করুন

দেখা যায় যারা অনেক বেশি মোটা রয়েছে তারা প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্যগুলো খেয়ে থাকে । কিন্তু এই কার্বহাইড্রেট আমাদের ওজন বাড়াতে বেশ কাজ করে থাকে তাই আমাদেরকে অবশ্যই এই কার্বোহাইড্রেট ত্যাগ করে প্রোটিন বেশি করে গ্রহণ করতে হবে । কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য যেমন ভাত আলু রুটি এ ধরনের চর্বি যুক্ত খাদ্য গুলো খাওয়া যাবে না।  এগুলোর পরিবর্তে আমাদেরকে মাছ ডিম মুরগির মাংস এই ধরনের খাদ্যগুলো বেশি বেশি গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে ।

যদি আপনি প্রচুর পরিমাণে চর্বি যুক্ত খাদ্য বা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্যগুলো গ্রহণ করে থাকেন তাহলে এগুলো আমাদের পেশী কে বৃদ্ধি করে ফেলবে এতে করে আপনি আরো বেশি মোটা হয়ে যাবেন । আর প্রোটিন যুক্ত খাদ্যগুলো শুধুমাত্র আমাদের শরীরের শক্তি যোগান দিয়ে থাকে এগুলো আমাদের মাংসপেশী বৃদ্ধির জন্য দায়ী নয় । তাই বন্ধু যদি আপনি সত্যি মোটা থেকে চিকন হতে চান তাহলে আপনাদেরকে এই কার্বোহাইড্রেট পরিহার করে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য খেতে হবে ।

৩. সঠিক পরিমাণে পানি খান

বন্ধুরা আমাদের কে চিকন হতে হলে অবশ্যই ফ্যাট পরিষ্কার করতে হবে এবং আমাদের শরীরের ভিতর যে ক্ষতিকর ফ্যাট বা রাসায়নিক পদার্থগুলো রয়েছে সেগুলোকে বের করে দিতে হবে । এছাড়াও যদি আমরা আমাদের খাদ্যের চাহিদাকে কমিয়ে দিতে পারি তাহলেও আমরা আগের থেকে বেশ চিকন পারব।

কিন্তু এই কাজ গুলো সম্পন্ন হওয়ার জন্য আপনাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে । যদি আপনি দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস বা ১২ গ্লাস পানি পান করতে পারেন তাহলে এগুলো শরীরে প্রবেশ করে আপনার শরীর থেকে বজ্র পদার্থ এবং যেগুলো অপকারী উপাদান আছে সেগুলোকে বের করে দেবে । এছাড়াও পানি পান করলে আমাদের শরীরের ভিতরে থাকা খাদ্যের চাহিদা কমে আসে। তাই অবশ্যই আপনাকে সঠিক পরিমাণে পানি পান করতে হবে যদি আপনি চিকন হতে চান । আমি বলব এই পানি পান করা চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ যাদু করি একটি উপায় ।

৪. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো

ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যদি আমরা ঠিকভাবে ঘুমাতে না পারি তাহলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে থাকবে। এখানেও আপনার মোটা হওয়ার বিষয়টি চলে আসবে যদি আপনি ঠিকভাবে ঘুমাতে না পারেন তাহলে আপনার শরীরের ভিতরে থাকা চর্বি বহু গুণে বেড়ে যাবে যেটা আপনার ওজন বাড়ানোর প্রধান কারণ ।   সারারাত ঘুমানোর পরে আমরা পরের দিন কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তিগুলো পেয়ে থাকি ।

আপনাকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে । এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে আপনি দিনে কখনো ঘুমাতে যাবেন না । কারণ যদি আপনি দুপুরের খাওয়ার পর ঘুমাতে যান তাহলে এই ঘুমের কারণে আপনার খাওয়াগুলো শরীরের ভেতর চর্বি হিসেবে জামাতে থাকবে যেটা আপনাকে আরো মোটা করে ফেলবে । আর হ্যাঁ অবশ্যই রাত এগারোটার আগে ঘুমিয়ে যাবেন এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করবেন ।

৫. চিন্তামুক্ত থাকতে হবে

আমরা যারা মোটা আছি তারা সব সময় চিকন হওয়ার চিন্তা করি এতে করে আমাদের মানসিক প্রেসার পড়ে যায় । কিন্তু আপনাকে কখনো এই দুশ্চিন্তা করা যাবে না যদি আপনি দুশ্চিন্তা করতে থাকেন তাহলে চিকন হওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি করে ওজন বেড়ে যাবে । তাই যদি আপনি চিকন হতে চান তাহলে যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা মুক্ত থেকে জীবন যাপন করবেন ।

আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে যদি আমরা বেশি বেশি চিন্তা করতে থাকি তাহলে এটি আমাদের হজম কার্যকে বেশ খানিকটা থামিয়ে দেয় । আর এই খাদ্যগুলো যখন আমাদের শরীরের ভিতরে গিয়ে ঠিকভাবে হজম হতে পারে না তখন সেগুলো আর শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে না এবং অপাচ্য অংশগুলো শরীরের ভিতর চর্বি হিসেবে জমা হয়ে যায় । ঠিক এই কারণে আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্যকে কমিয়ে আগের থেকে বেশ ভালো চিকন হতে চান তাহলে অবশ্যই নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখতে হবে ।

৬. খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাবেন না

বন্ধুরা রাতে যখন আমরা ঘুমাতে যাই তখন যদি খেয়ে সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়ি সেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর । আবার যদি আপনি মোটা হয়ে থাকেন তাহলে সেটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আরো মারাত্মক ক্ষতিকর । এর প্রধান কারণ হচ্ছে যখন আমরা খাই এবং সাথে সাথে ঘুমাতে যাই তখন আমাদের শরীরের ভিতরে হজম কার্যগুলো আর চলতে থাকে না । এখানে যেহেতু আমাদের খাওয়া খাদ্যগুলো হজম হতে পারে না তাই সেগুলো সম্পূর্ণরূপে শক্তিতে রূপান্তরিত না হয়ে বাকি অংশগুলো আমাদের শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হয়ে যায় । ঠিক এই কারণে যদি আপনি আপনার খাদ্যগুলোকে সঠিকভাবে হজম করাতে চান তাহলে অবশ্যই খাওয়ার পরে অন্তত দুই ঘণ্টা বিশ্রাম নিবেন এবং তারপরে আপনি ঘুমাতে যাবেন ।

৭. ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্য পরিহার করতে হবে

যদি আপনি সত্যিই চিকন হতে চান তাহলে আপনাকে সম্পূর্ণরূপে এই ফাস্টফুড জাতীয় এবং কোমল পানীয় খাদ্যগুলো পরিহার করতে হবেই। দেখবেন যারা মোটা রয়েছে তারা এই খাদ্যগুলো বেশি বেশি গ্রহণ করে যার ফলে তারা আগের থেকে আরও বেশি মোটা হয়ে যায় ।  যদিও এই ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্য এবং কমল পানীয় খাদ্যগুলো বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে কিন্তু বন্ধুরা এগুলো আমাদের শরীরের জন্য একদম বিষ হিসেবে কাজ করে ।

জানলে অবাক হবেন ফাস্টফুড খাদ্য গুলো এমন কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি হয় যেগুলোতে সম্পূর্ণরূপে চর্বি থাকে আর চর্বি আমাদের শরীরে গেলে শরীরে আরো বেশি চর্বি হয়ে যাবে । আর কমল পানীয় গুলোতে শুধুমাত্র চিনি এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড থাকে যেটা আমাদের শরীরে গেলে আমরা আগের থেকে আরও বেশি মোটা হয়ে যাব । এছাড়াও এই সমস্ত ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্য খেলে শুধুমাত্র মোটা হয়ে যাব এমনটা নয় এগুলো দীর্ঘদিন খেলে আমাদের শরীরের ভিতর হার্টের রোগ ডায়াবেটিস টাইপের রোগ গুলো মারাত্মক আকার ধারণ করবে ।

পড়ুনঃ কোন ফল খেলে রক্ত বাড়ে – শরীরে রক্ত কম হওয়ার লক্ষণ

৮. তাড়াতাড়ি সকালের নাস্তা সেরে ফেলা

আমাদের মাঝে এমন কিছু ব্যক্তি আছে যারা চিকন হওয়ার জন্য সকালের নাস্তা পর্যন্ত বাদ দিয়ে দেয় । কিন্তু বন্ধুরা আপনাকে এই কাজটি কখনোই করা যাবে না কারণ সকালের নাস্তা বাদ দিলে যদিও সাময়িকভাবে কিছু ওজন কমে যাবে কিন্তু কিছুদিন পর আবার সেই ওজন ফিরে আসবে । আর হ্যাঁ আমাদের ওজন কমাতে হলে শরীরের মেটাবলিজম রেট বাড়াতে হবে । কিন্তু যদি আপনি সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে দেন তাহলে কখনোই শরীরের মেটাবলিজম রেট বাড়বে না । তাহলে বুঝতেই পারছেন সকালের নাস্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাই অবশ্যই সকাল আটটা বা নয়টার মধ্যে আপনার কাঙ্খিত নাস্তা সেরে ফেলতে হবে ।

বন্ধুরা কিভাবে চিকন হওয়া যায় এই সম্পর্কে আমি উপরে মোট আটটি পয়েন্ট আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি এই আটটি পয়েন্ট যদি কেউ সঠিকভাবে মেনে চলতে পারে তাহলে অবশ্যই সে তার ওজন কমিয়ে চিকন হতে পারবে । কিন্তু আমি এখানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট বাদ দিয়েছি যারা নাম হচ্ছে চিকন হওয়ার ব্যায়াম । চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যায়াম আপনার 80% কাজ করবে তাই নিচের পয়েন্ট আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পরতে হবে কারণ নিচে আমরা চিকন হওয়ার ব্যায়াম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ।

চিকন হওয়ার ব্যায়াম

মন রাখবেন যদি আপনি নিয়মিত সকাল বেলা ঠিকমতো ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে অন্য কাজ না করলেও আপনি আগের থেকে চিকন হয়ে যেতে পারবেন । এ কারণে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই সকালবেলা করে নিয়মিত ব্যায়ামের কাজটা সেরে ফেলতে হবে । নিচে আমি এই চিকন হওয়ার ব্যায়াম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বললাম।

চিকন হওয়ার ব্যায়াম এর মধ্যে আপনি বেশ কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। এই ব্যায়ামগুলা আপনি চাইলে ঘরে বসেও করতে পারেন কিংবা বাহিরে জিমে গিয়েও করতে পারবেন ।

পুশআপ: বন্ধুরা পুশআপ আমাদের দেহের জন্য চর্বি কমাতে যেমন সাহায্য করে তেমনি আমাদের শরীর ও মন ভালো রাখতে ও বেশ ভূমিকা পালন করে। কারণ যখন আমরা পুশ আপ দেই তখন এটি আমাদের সম্পূর্ণ শরীরকে চাঙ্গা করে দেয় । এজন্য প্রতিদিন সকালে উঠে আপনি কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ বার পুশ আপ দিবেন ।

সকালে উঠে দৌড়ানো: চিকন হতে চাইলে আমাদেরকে এমন কাজগুলো করতে হবে যেগুলো করলে আমাদের শরীর থেকে চর্বি ঝরে পড়বে । ঠিক এই কাজ এর জন্য সকালে উঠে দৌড়ানো আপনার জন্য ফরজ । দেখবেন যারা নিজেদের ওজন কমাতে চায় তারা প্রতিদিন সকালে উঠে বেশ কিছু পথ দৌড়ায় ।

ঠিক একই রকম ভাবে আপনি প্রতিদিন সকালে উঠে এক থেকে দুই কিলোমিটার বা তারও বেশি পরিমাণে দৌড়াবেন যাতে করে আপনার শরীর থেকে ঘাম ঝরে যায় । এভাবে যদি আপনি টানা দুই থেকে তিন মাস করতে পারেন তাহলে আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনার ওজন কমে যাবে এবং আপনি যেকোনো হয়ে যাবেন ।

উপরের এই চিকন হওয়ার ব্যায়াম গুলো ছাড়াও আপনি আরো নিজে নিজে বেশ কিছু ব্যায়াম করতে পারেন । তবে হ্যাঁ নিজের শরীরের সাধ্যের বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করার দরকার নেই । আপনাকে ব্যায়াম করে যে সিক্স প্যাক বানাতে হবে এমনটাও দরকার নেই শুধুমাত্র যেটুকু ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের চর্বি ঝরে যাবে ঠিক সেটুকুই করার চেষ্টা করবেন ।

চিকন হওয়ার ঔষধ

অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন হকার বা দোকানে অনেকেই চিকন হওয়ার ঔষধ বিক্রি করে । এমনকি কলকাতা হারবাল লিমিটেড এও চিকন হওয়ার ঔষধ পাওয়া যায় । কিন্তু বন্ধুরা যদি আপনি ওষুধ খেয়ে চিকন হতে চান তাহলে এটা আপনার শরীরের জন্য উপকার এর থেকে থেকে অপকার বেশি হবে । কারণ এই ঔষধ গুলো আপনার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে আপনার শরীরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার কার্যক্রম গুলো সম্পন্ন করবে ।

অর্থাৎ ঔষধ গুলো ভিতরে গিয়ে জোর করে আপনার চর্বিগুলোকে কমিয়ে দেবে । এমনকি এই সকল ঔষধ খাওয়ার ফলে আপনার খাওয়ার রুচি অনেক কমে যাবে।  এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে যেটা পরে আপনার শরীরে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে । এই ঔষধ গুলোর মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক খারাপ । তাই অবশ্যই আপনাকে এই ঔষধ গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে ।

আরো একটি কথা বলে রাখা ভালো এই ধরনের চিকন হওয়ার ঔষধ গুলো যখন আপনি গ্রহণ করা শুরু করবেন তখন দেখবেন এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই আপনি চিকন হয়ে গেছেন। কিন্তু যখন আবার এই ঔষধ গুলো খাওয়া ছেড়ে দিবেন তখন দেখবেন আবার আপনার শরীর আগের অবস্থায় ফিরে গেছে । তাহলে মাঝখানে আপনার শরীরের উপর বেশ খারাপ একটা প্রভাব চলে গেল । ঠিক এই কারণে আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিক ভাবে ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করেই চিকন হওয়ার । আমি আপনাদেরকে উপরের যে সমস্ত চিকন হওয়ার উপায় গুলো বলে দিলাম শুধুমাত্র এগুলো যদি আপনি নিয়মিত কয়েক মাস চর্চা করেন। তাহলে স্বাভাবিকভাবে আপনার ওজন কমে যাবে এতে আপনার শরীরের উপরও কোন খারাপ প্রভাব পড়বে  না বরং আপনার শরীরের জন্য শতগুণ ভালো হবে ।

পরিশেষে

আপনারা এমন কোন কাজ করবেন না যেটা শরীরের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয় । সবসময় চর্বিযুক্ত খাদ্যগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন এবং লবণ জাতীয় খাদ্যগুলো কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। মিষ্টি জাতীয় খাদ্যগুলো তো খাওয়াই যাবেনা । কারণ মিষ্টি আমাদের শরীরের ভিতর মেটাবলিজম রেট অনেক কমিয়ে দেয় ।

একটা কথাই বলতে চাই সবসময় প্রাকৃতিকভাবে চিকন হওয়ার বা মোটা হওয়ার চেষ্টা করবেন কখনোই কোন ঔষধ আপনার শরীরে প্রবেশ করাবেন না । আশা করতে পারি আজকের পোস্টে বলা chikon howar upay গুলো আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন সবাই ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম ।


You have to wait 53 seconds.

Generating next Post Link…(6 No. Post)


ভালো লাগতে পারে

Back to top button