জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে – জান্নাতে স্বামী স্ত্রীর বয়স

আসসালামু আলাইকুম , জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে এই প্রশ্নটির উত্তর আপনি কি সঠিক টা জানতে চান । এবং জান্নাতে স্বামী স্ত্রী প্রথমবার দেখা বা জান্নাতে স্বামী স্ত্রীর বয়স সম্পর্কে কি আপনি বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে বন্ধু আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে আপনার মনে এই জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে প্রশ্নটি আর থাকবে না ।

জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে - জান্নাতে স্বামী স্ত্রীর বয়স

জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে – জান্নাতে স্বামী স্ত্রী প্রথমবার দেখা – জান্নাতে স্বামী স্ত্রীর বয়স

মুসলিম ভাই ও বোনদের অনেকের মনে এই জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে প্রশ্নটি এসে থাকে। এছাড়াও জান্নাতে স্বামী স্ত্রী প্রথমবার দেখা সম্পর্কে ও অনেকে জানতে চাই । কিন্তু অনলাইনে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও তারা সঠিক তথ্য হয়তো জানতে পারে না।

যাইহোক বন্ধুরা আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে অবশ্যই জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে এই প্রশ্নটির উত্তর সঠিকভাবে পেয়ে যাবেন। আমরা যারা মুসলমান আছি আমরা যদি আল্লাহর হুকুম এবং নিষেধগুলো ঠিক ঠিক ভাবে পালন করতে পারি তাহলে যদি আল্লাহ চায় আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো। 

তবে জান্নাতের মধ্যে আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য অসংখ্য নিয়ামত রেখেছে যা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। জান্নাতের মধ্যে যে সকল সুখ-শান্তি রয়েছে আল্লাহ তা’আলা তার সঠিক বর্ণনা আমাদের মাঝে কখনোই তুলে ধরেনি। তবে কোরআন ও হাদিস বিশ্লেষণ করলে জান্নাতের কিছু কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

 এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জান্নাতের স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে । তো এই জান্নাতে স্বামী স্ত্রী থাকা প্রসঙ্গ নিয়ে আমাদের আজকের পোস্ট আমরা পোষ্টের ভিতর ধাপে ধাপে পাঠকদের উদ্দেশ্যে এই জান্নাতে মধ্যে স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে

চলুন বন্ধুরা এখন তাহলে আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে এর উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করি। মনে রাখবেন বন্ধুরা এই জান্নাতের স্বামী স্ত্রী থাকার প্রসঙ্গ নিয়ে বলতে গেলে সংক্ষেপে কিছু বলা সম্ভব নয় বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরতে হবে । নিম্নে বিস্তারিত বলা হলো:

একজন নারী বা একজন পুরুষ , জান্নাতে কিভাবে তার স্বামী কিংবা স্ত্রীকে পাবে তা নির্ভর করবে তার দুনিয়ায় থাকা চারটি অবস্থার উপর। অর্থাৎ এই ছয়টি অবস্থার মধ্যে যে যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে সে সেই ভাবে জান্নাতের ভিতর তার স্বামী কিংবা স্ত্রীকে পাবে। কারণ একজন নারী কিংবা পুরুষ পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় এই ছয়টি পরিস্থিতির বাহিরে কখনোই অন্য কোন পরিস্থিতি তে পারা সম্ভব নয়। যেগুলো নিজালোচনা করা হলো –

  • ১. হতে পারে সেই ব্যক্তি বিবাহ করার আগে মৃত্যুবরণ করেছে ।
  • ২. অথবা সেই ব্যক্তির স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়েছে এবং তার মৃত্যুর আগে আর বিয়ে করেনি। 
  • ৩. এটাও হতে পারে কোন ব্যক্তি বিবাহিত এবং তার স্বামী বা স্ত্রী জাহান্নামে । 
  • ৪. কিংবা কোন ব্যক্তি বিয়ের পরপরই মারা গিয়েছিল ।
  • ৫. এটাও হতে পারে কোন ব্যক্তির স্বামী কিংবা স্ত্রী মারা গিয়েছে এবং সে মৃত্যুর আগে আর কোন বিয়ে করেনি। 
  • ৬. বা এটাও সম্ভব যে তার স্বামী কিংবা স্ত্রী মারা গেল এবং সে অন্য কোন নারী কিংবা পুরুষকে বিয়ে করে নিল ।

উপরের এই ছয়টি পরিস্থিতি ছাড়া কোন ব্যক্তি অন্য কোন পরিস্থিতিতে পড়তে পারে না এই জান্নাতে স্বামী স্ত্রী থাকা সম্পর্ক নিয়ে । তো এই ছয়টি বিষয় সম্পর্কে কোরআন এবং হাদিসের স্পষ্টভাবে বলা আছে যে এই পরিস্থিতি গুলোতে জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে।  চলুন তাহলে এক এক করে আমরা পরিস্থিতি গুলো সম্পর্কে নিয়ে আলোচনা করি।  

১. জান্নাতে গিয়েছে এবং বিয়ের আগেই মৃত্যুবরণ করেছে: যদি এরকম হয় যে কোন পুরুষ কিংবা নারী বিবাহ করার আগেই মৃত্যুবরণ করেছে এবং সে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করেছে। তো এই পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে জান্নাতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা তাকে দুনিয়ার এমন একজন অবিবাহিত নারী কিংবা পুরুষের সাথে বিয়ে দিয়ে দেবে যা সে কল্পনাও করতে পারেনি এবং তাকে দেখে তার চোখ এবং মন দুটোই শান্তিতে ভরে যাবে। এর কারণ হচ্ছে জান্নাতের নিয়ামত শুধু পুরুষ কিংবা নারী ভেদে নয় উভয়ের জন্যই  । আর জান্নাতের নিয়ামত গুলোর মধ্যে একটি নিয়ামত আছে এই বিবাহ । (মাজমু ফাতাওয়া ওয়া রাসায়েলে ইবনে উসাইমিন ২/৩৮)

উপরিউক্ত বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর হাদিস পাওয়া যায় যে , হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন কেয়ামতের ওই দিবসে যে দল সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে আল্লাহ তাআলা তাদের চেহারাগুলোকে পূর্ণিমার চাঁদের  মতো উজ্জল বানিয়ে দেবে । এরপর যে দলগণ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে আল্লাহ তায়ালা তাদের চেহারাগুলোকে আকাশে জ্বলতে থাকা নক্ষত্রের মতো বানিয়ে দেবে  । এবং এই সকল ব্যক্তিদের প্রত্যেকে দুইজন করে স্ত্রী থাকবে এবং এই স্ত্রী গুলোর শরীরের সৌন্দর্য এতটাই হবে যে তাদের চামড়ার ভিতর দিয়ে শরীরের ভিতরে সমস্ত গোস্ত দেখা যাবে এমনকি মগজ পর্যন্ত দেখা যাবে। আর জান্নাতে কোনো ব্যক্তি অবিবাহিত থাকবে না। ( মুসলিম শরীফের ২৮৩৪ নম্বর হাদিস )

পড়তে পারেনঃ জান্নাতের হুরদের নাম ও তাদের পরিচয় জানুন

২. তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর বিয়ের আগে মৃত্যুবরণকরি: যদি কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমন হয় যে তার স্বামী কিংবা স্ত্রী থাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে এবং সে মৃত্যুর আগে আর কোন বিয়ে করেনি। আর সেই ব্যক্তি যদি মৃত্যুর পর জান্নাত লাভ করতে পারে তাহলে তারও ক্ষেত্রে তার স্বামী স্ত্রী এর বিষয়টা এক নম্বরের মত হবে। অর্থাৎ এই ব্যক্তিকও আল্লাহ তা’আলা জান্নাতে এমন এক ( নারী হলে) পুরুষের সাথে এবং (পুরুষ হলে) নারীর সাথে বিয়ে দিবে যা সে ভাবতেও পারেনি। আশা করি তালাকপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে এই বিষয়টা সবাই পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন। 

৩. কোন ব্যক্তি জান্নাতে গিয়েছে কিন্তু তার স্বামী কিংবা স্ত্রী জাহান্নাম: যদি এমনটা হয় যে কোন ব্যক্তি বিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে এবং তার দুনিয়ায় থাকা জীবনসঙ্গী ( স্বামী বা স্ত্রী) জাহান্নামি। তো এই ব্যক্তির ক্ষেত্রে জান্নাতের বিবাহ অবস্থা যেমন হবে তা হল: এরকম ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের ভিতরে এমন অনেক পুরুষ এবং নারীর সাথে দেখা করাবে যারা দুনিয়ায় অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে কিংবা তাদের ও জীবনসঙ্গী জাহান্নামে গিয়েছে। এই ব্যক্তিগুলোর সাথে দেখা করানোর পর সেই ব্যক্তি তার নিজের ইচ্ছামতো জীবনসঙ্গী বাছাই করে নিতে পারবে। ( এই ফতোয়াটি যেখান থেকে নেওয়া হয়েছে তা হল- মাজমু ফাতওয়া রসায়েল ইবনে usaimin : ২/৩৮)

৪. বিয়ের পরেই মৃত্যুবরণকারী দের অবস্থা: এমন ও হতে পারে যে কোন ব্যক্তি অর্থাৎ কোন পুরুষ এবং নারী বিবাহ হয়েছে এবং সে বিবাহর পরেই মৃত্যুবরণ করেছে । তো এই ক্ষেত্রে জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে সেটা বলতে গেলে বলতে হবে যে, দুনিয়ায় থাকা তার জীবনসঙ্গী যদি জান্নাতে প্রবেশ করে তাহলে আল্লাহ তা’আলা তাকে সেই ব্যক্তির সাথে মিলিত করে দেবে। আর যদি দুনিয়ায় থাকা জীবনসঙ্গী জাহান্নামে যায় তাহলে ৩ নম্বর পয়েন্টে যে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে তার ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি প্রযোজ্য হবে। কারণ পবিত্র কুরআন শরীফে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা বলে দিয়েছেন যে ,, ”তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে জান্নাতে সানন্দে প্রবেশ করো।” ( সূরা জুখরুফ এর আয়াত নাম্বার ৭০ )।

এ বিষয়ে একটি হাদিস পাওয়া যায় সেটা হল – হুজাইফা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণিত তিনি তার স্ত্রীকে বলেন, ‘মৃত্যুর পর জান্নাতে তুমি আমার সঙ্গেই থাকবে যদি তোমাকে এই বিষয়টি আনন্দিত করে তাহলে তুমি পরবর্তীতে আর কোন বিবাহ করিও না।’ কেননা জান্নাতের ভেতর নারী কিংবা পুরুষ তার দুনিয়ায় সর্বশেষ জান্নাতি স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গেই থাকবে । ঠিক এই কারণে দুনিয়ায় থাকা নবী-রাসূলদের মৃত্যুর পর তাদের স্ত্রীদেরকে অন্য কারো সঙ্গে বিবাহ করা হারাম করা হয়েছে । ‘কেননা জান্নাতের ভিতর নবী রাসূলগণের স্ত্রী তাদের সাথেই থাকবেন। ’ (বায়হাকি, সুনানে কুবরা, হাদিস নম্বর – ১৩৮০৩)

৫. দুনিয়ায় জীবনসঙ্গী মারা গেল এবং সে আর বিবাহ করল না: যদি কোন নারী কিংবা পুরুষের ক্ষেত্রে এমন হয় যে , সে দুনিয়ায় থাকা অবস্থায় তার জীবন সঙ্গী মারা গিয়েছিল এবং সে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত আর কোন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়নি। তাহলে এই পরিস্থিতির ক্ষেত্রে জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে , এটা বলতে গেলে বলতে হবে তার অবস্থাটাও চার নম্বর এর মত হবে। অর্থাৎ যদি সে জান্নাতে চলে যায় এবং দুনিয়ায় থাকা তার স্বামী কিংবা স্ত্রী ও জান্নাতে যায় তাহলে সে জান্নাতের ভেতর তার সঙ্গে থাকবে। 

৬. জীবন সঙ্গীর মৃত্যুর পর যদি কেউ আর এক বা একাধিক বিবাহ করে:  এমনও হতে পারে যে কোন ব্যক্তি জীবিত থাকাকালীন বিবাহ করার পর তার জীবন সঙ্গী মারা গিয়েছে এবং সে পরবর্তীতে আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে । এমন হলে এখানে পরিষ্কারভাবে বলা যাবে যে,  সে এক বা একাধিক বিবাহ করলে সেই জীবন সঙ্গীর সাথেই জান্নাতে বসবাস করবে যে তারা জীবিত অবস্থায় সর্বশেষ জীবনসঙ্গী ছিল। এখন যদি তার প্রত্যেক জীবনসঙ্গীই জান্নাতী হয়ে যায় তবুও তার ক্ষেত্রে এই মাসালাটি প্রযোজ্য হবে । 

উপরী উক্ত বিষয় সম্পর্কিত একটি হাদিস পাওয়া যায় – হযরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , ” জান্নাতের ভিতরে একজন নারী তার সর্বশেষ স্বামীর জন্যই থাকবে । ”  (জামে সাগির : হাদিস নম্বর: ৬৬৯১, সিলসিলা সহিহাহ বইয়ের, হাদিস  নম্বর: ১২৮১)

তবে বন্ধুরা এই হাদিস সম্পর্কে বড় বড় আলেম-ওলামাগণের মতভেদ রয়েছে। বিভিন্ন আলেমগণ ভিন্ন আরেকটি হাদিস কে উঠিয়ে এনে বলেছে যে, কোন জান্নাতি নারীর একাধিক স্বামী জান্নাতি হলে সে নিজের পছন্দের মত যে কাউকে বাছাই করতে পারবে । 

সেই হাদিসটি হল – উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত , তিনি বলেছেন যে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম , হে আল্লাহর রাসূল ! “যদি কোন নারীর দুনিয়ায় থাকা অবস্থায় একাধিক বিবাহ হয় এবং সেই নারী জান্নাতে প্রবেশ করে সাথে সাথে তার দুনিয়ায় থাকা স্বামী গুলো ও জান্নাতে প্রবেশ করে তাহলে সেই নারী জান্নাতের ভিতর তার কোন স্বামীকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাবে ” ? তখন এই প্রশ্নের উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, হে উম্মে সালমা ওই নারী তার তার জান্নাতি স্বামী গুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একজন স্বামীকে বাছাই করে নিতে পারবে । 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আরও বলেন যে অবশ্যই নিঃসন্দেহে সেই জান্নাতি নারী তার উত্তম চরিত্রের অধিকারী স্বামীকে বাছাই করে নেবে । আর সেই নারী আল্লাহর কাছে আরজ করবে , ” হে মহান আল্লাহ ! এই ব্যক্তি দুনিয়াতে থাকাকালীন আমার সাথে সর্বোত্তম সদ্ব্যবহার করেছে আপনি আমাকে এই ব্যক্তির সাথেই জান্নাতে থাকার ব্যবস্থা করে দিন এবং বিয়ে দিয়ে দিন ।”  রাসুল (স.) আরো বলেন হে উম্মে সালমা!  উত্তম চরিত্র দুনিয়া এবং আখেরাতের প্রত্যেক জায়গায় সর্বোত্তম জিনিস ।  (তাবরানি) 

উপরের আলোচনা গুলো পড়ে আশা করি প্রত্যেকেই জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে এই প্রশ্নটির সঠিকভাবে উত্তর পেয়েছেন। আর আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের নিয়ামত গুলোর প্রত্যেকটি দুনিয়ার মানুষের কাছে পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরে নাই । কারণ আল্লাহতালা নিজেই বলেছেন জান্নাতি মানুষদের জন্য এমন কিছু আল্লাহতালা প্রস্তুত করে রেখেছেন যা তারা কখনো কল্পনা করেনি। জান্নাতের সৌন্দর্য দুনিয়ার কোন চোখ আজ পর্যন্ত দেখেনি এবং জান্নাতের আওয়াজ দুনিয়ার কোনো কান আজ পর্যন্ত শোনে নাই, মহা আল্লাহতালা জান্নাতে এমন কিছু নেয়ামত রেখেছেন যা দুনিয়ার মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না। 

আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য এত কিছু প্রস্তুত করে রেখেছেন আমাদের প্রত্যেকের উচিত জান্নাতে যাওয়ার জন্য আল্লাহ কথাগুলো ঠিক ঠিক ভাবে মেনে চলা এবং আল্লাহতায়ালা যে সকল বিষয় নিষেধ করেছেন সেগুলো ছেড়ে দেওয়া। যদি আমরা আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে কাজগুলো করে থাকি তাহলে অবশ্যই মৃত্যুবরণ করার পর আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জান্নাতে পৌঁছে দেবেন ইনশাল্লাহ। 

জান্নাতে স্বামী স্ত্রীর বয়স

উপরে আমরা এতক্ষন যে প্রশ্নটির উত্তর নিয়ে আলোচনা করলাম সেটা হচ্ছে যে জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে। আশা করি পাঠকদের প্রত্যেকে এই জান্নাতে স্বামী-স্ত্রী কিভাবে থাকবে প্রশ্নটির উত্তর পেয়ে গেছেন। পোস্টের এই পর্যায়ে এসে আমরা এখন জান্নাতে স্বামী স্ত্রীর বয়স নিয়ে কিছু আলোচনা করব। চলুন তাহলে জান্নাতে স্বামী স্ত্রীর বয়স নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

জান্নাতে স্বামী স্ত্রীর বয়স নিয়ে বিভিন্ন আলেমগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কোন আলেমগণ বলেছেন যে জান্নাতে যে সকল পুরুষ যাবে তারা প্রত্যেকে ৩০ বছরের যুবক হয়ে যাবে এবং হযরত আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মত ৬০ হাত লম্বা হবে । তবে অন্যান্য আলেমগণ বলেছেন যে জান্নাতে পুরুষরা ৩৩ বছর বয়সের যুবক হয়ে প্রবেশ করবে।

এই দুইটি মতবাদ ছাড়াও হাদিস বিশারদগণের মধ্যে আরও বিভিন্ন ধরনের মতভেদ লক্ষ্য করা যায়। তবে বিভিন্ন আলেমগণ বলেছেন যে জান্নাতে যে সকল নারীরা প্রবেশ করবে তারা 16 বছরের যুবতী ও সুন্দরী নারী হয়ে প্রবেশ করবে । তবে এই বিষয়টির ক্ষেত্রেও আলেমগণের মতভেদ রয়েছে। কারণ অন্য এক জায়গায় পাওয়া যায় জান্নাতের স্বামী-স্ত্রীরা সমবয়সী হয়ে থাকবে। 

শেষকথাঃ জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে 

আলহামদুলিল্লাহ আমরা আজকের পোস্টে জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে এই বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পেরেছি। আপনারাও যারা পোস্টের শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে বন্ধুরা পরিশেষে এসে একটা কথা না বললেই নয়।  

আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় বান্দাদেরকে জান্নাত প্রদান করবেন এবং তার যেমন ইচ্ছা সেভাবেই তিনি জান্নাতের নিয়ামতগুলো প্রদান করবেন। অর্থাৎ সেই মহান আল্লাহতায়ালা যেভাবে চাইবেন সেই ভাবেই জান্নাতে স্বামী স্ত্রী গন থাকবে। এবং আল্লাহ তায়ালা যেভাবে চাইবে সেই ভাবেই জান্নাতে স্বামী স্ত্রী প্রথম বার দেখা হবে।

আশা করি যারা আমার পোষ্টের এই পর্যন্ত পড়েছেন তারা সবাই জান্নাতে স্বামী স্ত্রী কিভাবে থাকবে এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও জান্নাতে স্বামী স্ত্রীর বয়স সম্পর্কেও আপনারা ধারণা পেয়েছেন। আবারও একটা কথা বলছি আল্লাহ যেভাবে চাইবে সেভাবে সবকিছু পরিচালিত হবে সবাই ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম। 

ভালো লাগতে পারে

Back to top button