বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ (PDF সহ)

আসসালামু আলাইকুম আপনি কি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ এর মধ্যে খুঁজছেন? আজকের পোস্টে আপনি ১০০০ শব্দের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনাটি পেয়ে যাবেন ।

১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়। আর এই দিন উপলক্ষ্যে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের রচনা খুঁজে থাকেন। এই কারণেই আজকের পোস্টে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ আপনাদেরকে দিয়ে দেবো ।

ভূমিকা

আজ যে শিশুটি জন্ম নিলো সেই তো একদিন বড় হয়ে দেশের ভবিষ্যৎ ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার সাহিত্যিক বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্ব পালন করবে।

[su_quote]আরোও সহজ ভাষায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ[/su_quote]

কিন্তু বর্তমানে আমাদের চোখে এগুলো কি পড়ছে, এখনকার তৃতীয় শ্রেণীর শিশুরা ভালোমতো খেতে পারেনা তারা চিকিৎসার জন্য কোন ধরনের ঔষধ পায় না।

শুধু এটুকুই নয়, নিচু শ্রেণীর শিশুরা বিভিন্ন ধরনের মৌলিক অধিকার থেকেও বর্ধিত রয়েছে। এমনকি এই শিশুরা বিভিন্ন পরিশ্রমে নিযুক্ত হয়ে অর্থ উপার্জন করার চেষ্টা করছে।

আর কিছু কিছু শিশু রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে যাদেরকে আমরা টোকাই বলেই চিনি, অনেকেই ক্ষুধা এবং বিভিন্ন পুষ্টিহীনতায় ভুগছে তাদের দিকে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ 

জাতীয় শিশু দিবস কি এবং কবে পালন করা হয়?

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ

১৯৫৪ সালে জাতিসংঘ থেকে এই শিশু দিবস টি ঘোষণা করা হয়। আর প্রতি বছরের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের সোমবারে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

[su_quote]আরোও পড়ুনঃ ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ভাষণ ও বক্তৃতা (PDF সহ) [/su_quote]

কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনেই এই শিশু দিবস টি পালন করা হয়। আর এই দিবসটি পালন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুদের ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের দিকে গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতে ভালো পথের দিকে চালিত করা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। আর এই ১৭ ই মার্চ তারই জন্মদিন। তবে তিনি শিশুদের প্রতি শুরু থেকেই অনেক বেশি দয়াবান এবং সচেতন ব্যক্তি ছিলেন।

১৭ ই মার্চ 1920 সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আমাদের এই দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে অনেক পরিশ্রম করে গেছেন এবং মানুষের মৌলিক অধিকার আদায় এর ক্ষেত্রে কখনোই আপোষ করেন নি।

আর তিনি তার জন্মদিন ১৭ মার্চ এ এই বিশ্ব শিশু দিবসটিকে বাংলাদেশে পালিত করেছেন । আর এই কারনেই ১৭ মার্চ একসাথে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়।

জাতীয় শিশু দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশ এর অনেক শিশু মৃত্যুবরণ করে এবং শিশুদের অনেক ধরনের ক্ষতি হয় । আর এই করুন ইতিহাসই জাতীয় শিশু দিবস এর জন্ম দেয়।

এই যুদ্ধে অনেক নিষ্পাপ শিশু বিকলঙ্গ হয়ে যায়, কেউ পা’হারায় কেউবা হাত হারায় আর অনেকেই তাদের মা-বাবাকে হারিয়ে ফেলে। অনেক বড় বড় শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ 

আর এই সময়ে জাতিসংঘ তাদের তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করে শিশুদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। এবং এই দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এই দিনে বিভিন্ন মানুষ জন শিশুদের সমস্যাবলি খুঁজে বের করেন এবং সেগুলো ফোরামে তুলে ধরেন। এ কারণেই এই ১৯৫৪ সালে এই দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সন্ধানের জন্য।

শিশু দিবসের তাৎপর্য

জাতীয় শিশু দিবসের তাৎপর্য অনেক গভীর এবং ব্যাপক। তাই সারা বিশ্বে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে সোমবারে সকল মানুষের সচেতনতাকে বৃদ্ধি করতে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।

এই দিবসটি পালন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুদের সমস্যা গুলো খুঁজে বের করা এবং তাদের মৌলিক অধিকারগুলো আদায় নিশ্চিত করা। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে দেশের অধিকাংশ মানুষই এই শিশু দিবস সম্পর্কে অবগত নয়।

এই কারণে এই শিশু দিবসটি এমন ভাবে পালন করতে হবে যাতে সবাই এর ব্যাপারে অবগত হয় এবং এই শিশু দিবসের তাৎপর্য বুঝতে পারে। শুধুমাত্র খাতা-কলমে শিশুদের অধিকারের কথা না লিখে বাস্তব জীবনে সেটার অগ্রাধিকার দিতে হবে।

আর এই অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে সরকারি এবং বেসরকারি কর্মস্থানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং এগিয়ে আসতে হবে আমাদের জনসাধারণের কে।

শিশু সনদ

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ

যদিও প্রতিবছর জাতীয় শিশু দিবস খুব ভালোভাবেই পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু জাতিসংঘ থেকে ১৯৫৯ সালে একটি শিশু অধিকার সনদ প্রকাশ করে । আর এটি “শিশু অধিকার সনদ ৯০” নামে পরিচিত। এই অধিকার সনদের বেশ কিছু বিষয় বস্তু রয়েছে যেগুলো নিয়ে সে উল্লেখ করা হলোঃ

  1. শিশুর সংজ্ঞা
  2. বৈষম্যহীনতা,
  3. শিশু স্বাস্থ্র প্রাধান্য,
  4. শিশু অধিকার বাস্তবায়ন,
  5. মাতা-পিতার অধিকার ও দায়িত্ব,
  6. জীবনধারণ ও রক্ষা,
  7. নাম ও জাতীয়তা,
  8. পরিচয় সংরক্ষণ,
  9. মাতা-পিতার সঙ্গে অবস্থানের অধিকার,
  10. পারিবারিক পুনর্মিলন,
  11. অবৈধ স্থানান্তর,
  12. মত প্রকাশের স্বাধীনতা,
  13. তথ্য আদান-প্রদানের স্বাধীনতা,
  14. ধর্ম পালনের অধিকার,
  15. মেলামেশায় স্বাধীনতা,
  16. ব্যক্তিগত জীবন
  17. তথ্য ও গণমাধ্যম ক্ষ্যাতি
  18. অনাচার ও অবহলা রোধ,
  19. মাতা-পিতার অবর্তমানে বিকল্প যত্ব,
  20. উদ্যোগ গ্রহণ,
  21. উদ্বাস্তু শিশু,
  22. অক্ষম শিশু,
  23. স্বাস্থ্য পরিচর্যা,
  24. সামা্িক পর্যালােচনা,
  25. সামাজিক নিরাপত্তা,
  26. জীবন-যাপনের মান,
  27. শিক্ষা।

শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ

আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ । এটা কথার সম্পূর্ণ সত্য যে আজকের শিশুটা একদিন আগামীতে দেশকে শাসন করবে বা দেশের বড় কোন দায়িত্ব গ্রহণ করবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ 

আজকে পৃথিবীতে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করলো আগামীতে সে বড় ডাক্তার, বিজ্ঞানী বা বড় সাহিত্যিক হয়ে যাবে। শিশুরাই আগামীতে দেশের আদর্শ নাগরিক হবে।

তবে এর জন্য তাই শিশুদের সঠিক পরিচর্যা এবং তাদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার সুস্থ পরিবেশ। আর তাদেরকে ছোট থেকে পরিপারেশ্বিক আচার-আচরণ এবং সঠিক শিক্ষা দিয়ে ভালো মানুষ বানাতে হবে।

শিশুর মন নরম এবং তাদের মন ফুলের মতো পবিত্র তাই তাদেরকে যেভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় বড় হয়ে তারা সেগুলোরই প্রতিফলন ঘটিয়ে থাকে।। যদি ছোটবেলায় তাকে ভালো শিক্ষা দেওয়া হয় তাহলে বড় হয়ে তারা অবশ্যই ভালো হয়। কিন্তু যদি ছোটবেলা থেকে ভুল শিক্ষা দেওয়া হয় তাহলে বড় হয়ে সে ভুল পথেই পরিচালিত হয়।।

এ কারণেই একটা শিশু জন্মের পর থেকে তার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং তাকে ভালো শিক্ষা দিতে হবে। তাকে যদি ছোটবেলা থেকেই খারাপ কাজের সাথে জড়িয়ে ফেলা হয় তাহলে সে বড় হয়ে কখনোই ভালো হতে পারবে না।

যদি আমরা ছোট থেকেই তাদেরকে সঠিক শিক্ষা দেয় তাহলে দেশ ও জাতি ভবিষ্যতে একজন আদর্শ নাগরিকভাবে। এ কারণে অবশ্যই প্রত্যেক শিশুদের অভিভাবকদেরকে তাদের শিশুর প্রতি যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে।

আর আমাদের চারদিকের মানুষজন এবং সরকার মহল থেকেও এই শিশুদের প্রতি যথেষ্ট নজর দিয়ে তাদের কে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

শিশুদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে 25 শতাংশই হচ্ছে শিশু। আর এটা ধ্রুব সত্য যে আজকের শিশুরাই একদিন রাষ্ট্রনায়ক হবে। তারা একদিন দেশের আদর্শ নাগরিক হয়ে এই দেশকে নেতৃত্ব দিবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ 

আর ছোটবেলা থেকেই আমরা যদি শিশুদের প্রতি সঠিকভাবে পরিচর্যা না করি তাহলে আমাদের দেশ ও জাতি ভবিষ্যদের মুখ থুবড়ে পড়বে। এ কারণে আমাদের সবারই শিশুদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।

কিভাবে একজন শিশুর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে তোলা যায় । কিভাবে একটা শিশুকে সুশিক্ষিই শিক্ষিত করা যায় এই সকল বিষয় সম্পর্কে সকলের সচেতন থাকতে হবে । আর কিভাবে এদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যায়।

এই সকল বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে এবং শিশুদের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে সেগুলো যথাযথ সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

পৃথিবীতে শিশুদের অবস্থান

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ

যদিও আমরা শিশু দিবসে শিশুদের নিয়ে অনেক কথা বলি এবং জাতিসংঘে শিশুদের প্রতি অনেক অধিকার পাশ হয়েছে কিন্তু বাস্তবে এগুলোর কোন প্রয়োগ সঠিকভাবে দেখা যায় না।

পৃথিবীর এক অংশের শিশুরা যে ধরনের অধিকার পাচ্ছে অন্য অংশের শিশুরা কোন অধিকার পাচ্ছে না। বিশেষ করে আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশে শিশুরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

তারা ক্ষুধার সময় কোন ধরনের অন্ন পাচ্ছে না এবং চিকিৎসার সময় পাচ্ছে না কোন ধরনের ঔষধ বা সু চিকিৎসা। এমনকি কিছু কিছু শিশু তাদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও হারিয়ে ফেলছে।

বিশ্বে প্রায় 100 কোটির মত রয়েছে শিশু এবং তার বেশিরভাগই অনেক অবহেলিত এবং অধিকার থেকে বঞ্চিত। আর সারা বছর অপুষ্টিতে ভোগার ফলে প্রায় তিন লক্ষ শিশুর মত মৃত্যুবরণ করে এই সংখ্যাটি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশে শিশুদের অবস্থান

জাতিসংঘ থেকে পাস হওয়া শিশুদের অধিকারগুলো সব দেশ মেনে নিলও কিছু কিছু ছোট এবং গরিব দেশ তাদের অর্থনৈতিক কারণে সেই অধিকারগুলো এখনও বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হচ্ছে না।

বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি শিশু ও কিশোর। কিন্তু তাদের যে মৌলিক অধিকার খাদ্য ,বস্ত্র ,বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এগুলো তারা সঠিক ও যথাযথভাবে পাচ্ছে না।বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ 

শুধু যে বাংলাদেশে এমনটা হচ্ছে তা নয় ভারত, নেপাল , মালেশিয়া শ্রীলঙ্কা বার্মা ইত্যাদি দেশেও এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে শিশু অধিকারগুলো কার্যকরী হয়নি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে দেশের দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং প্রচুর পরিমাণে জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া।

তবে বেশ খুশির সংবাদ হচ্ছে এখন অনেক সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা গড়ে উঠছে যেগুলো রাস্তায় কাজ করা শিশুদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।

এ ছাড়াও শিশুদের বেশ কিছু পত্রিকা এবং প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে যেটা অবশ্যই প্রশংসনীয় এবং ভালো বিষয়।

উপসংহার

যদিও ১৭ ই মার্চ আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শিশু দিবস পালিত হয় কিন্তু এই শিশুদের অধিকারগুলো কি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে যেটা একটা ভাববার বিষয়। তবে আমাদের সকলেরই উচিত এই শিশুদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের মৌলিক অধিকার গুলো তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া।

নিচের আর্টিকেল গুলো পড়তে পারেনঃ

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

FAQ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

নিচে আমরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বেশকিছু প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরলাম। এগুলো আপনারা সাধারন জ্ঞান হিসেবে মনে রাখতে পারেন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দের মধ্যেও যুক্ত করতে পারবেন।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর জন্ম কত সালে এবং কোথায়?

উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে ১৭ই মার্চ (৩রা চৈত্র ১৩২৭ বঙ্গাব্দ) রাত ৮টায় তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের বাইগার নদী তীরবর্তী টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর প্রথম সন্তান কে?

উত্তরঃ বঙ্গবন্ধুর প্রথম সন্তান হচ্ছে শেখ হাসিনা। যিনি এখন বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

✅ প্রশ্নঃ শেখ মুজিবের মা বাবার নাম কি ?

উত্তরঃ শেখ মুজিবের মা এর নাম সায়েরা খাতুন ও বাবার নাম শেখ লুৎফর রহমান।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু কত বছর বেঁচে ছিলেন ?

উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫৫ বছর ৪ মাস বেচে ছিলেন।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর ভাই বোন কত জন ?

উত্তরঃ বঙ্গবন্ধুরা ৪ বোন ও ২ ভাই ছিলেন।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর জন্ম কোথায় ?

উত্তরঃ ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের বাইগার নদী তীরবর্তী টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেন।

✅ প্রশ্নঃ শেখ মুজিবুর রহমানকে কোথায় সমাহিত করা হয়?

উত্তরঃ তার মৃত্যুর পরদিন টুংগিপারায় তাদের পারিবারিক কবর স্থানে তার মা ও বাবা’র পাশে শেখ মুজিবুর রহমান কে সমাহিত করা হয়।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর সন্তান কত জন?

উত্তরঃ বঙ্গবন্ধুর সন্তান মোট ৪ জন। শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহেনা।

✅ প্রশ্নঃ শেখ মুজিবের মাতার নাম কি?

উত্তরঃ শেখ মুজিবের পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর বড় সন্তান কে?

উত্তরঃ শেখ হাসিনা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বড় সন্তান।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর প্রথম জেল কত সালে?

উত্তরঃ বঙ্গবন্ধুর প্রথম জেল ১৯৩৮ সালে। তিনি তখন ছাত্র ছিল।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কি?

উত্তরঃ বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম কি?

উত্তরঃ বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম ছিল খোকা।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যু কত সালে?

উত্তরঃ বঙ্গবন্ধুর জন্ম ১৯২০ সালে এবং মৃত্যু ১৯৭৫ সালে।

✅ প্রশ্নঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বয়স কত ছিল?

উত্তরঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বয়স ছিল ৫৫ বছর ৪ মাস।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর জেল জীবন কত বছর?

উত্তরঃ হিসাব করলে পাওয়া যায় বঙ্গবন্ধুর জেল জীবনই ছিল ১১ বছর।

✅ প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু মোট কতবার গ্রেফতার হন?

উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মোট ২৬ বার গ্রেফতার হন।

✅ প্রশ্নঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু কত মাস কারাগারে ছিলেন?

উত্তরঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু টানা ১৪ মাস কারাগারে থাকার পর তাকে মুক্তি দিলেও জেলের ফটক থেকে তাকে আবার ও গ্রেফতার করা হয়।

পরিশেষেঃ আজকের পোস্টটি আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ আপনাদেরকে দিয়ে দিয়েছি। আজকের দেওয়াই এই শিশু দিবস রচনাটি আপনাদের কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

চাইলে আমাদের আজকের এই পোস্ট আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ১০০০ শব্দ টি জানার সুযোগ করে দিতে পারেন।

ভালো লাগতে পারে

Back to top button