মাইটোসিস ও মিয়োসিসের মধ্যে পার্থক্য একদম সহজ ভাষায়

উদ্দিপকের ধরনঃ A বিভাজনের মাধ্যমে উদ্ভিদের পাতা ও ফুল সৃষ্টি হয় এবং B বিভাজনের মাধ্যমে পরাগরেণু জন্ম হয়। উদ্ভিদের জীবনে এই দুই ধরনের বিভাজনের গুরত্ব অসীম ।

মাইটোসিস ও মিয়োসিসের মধ্যে পার্থক্য একদম সহজ ভাষায়

অর্থাৎ এখানে ইন্ডিরেক্টলি মাইটোসিস ও মিয়োসিসের মধ্যে পার্থক্য জানতে চাওয়া হয়েছে। তাহলে চলুন আমরা এই মাইটোসিস ও মিয়োসিসের মধ্যে পার্থক্য গুলো সহজ ভাষায় দেখে নেই। 

মাইটোসিস ও মিয়োসিসের মধ্যে পার্থক্য

সমাধানঃ উদ্দীপকে উলিখিত A ও B দ্বারা যথাক্রমে মাইটোসিস ও মিয়োসিস কোষ বিভাজনকে নির্দেশ করা হয়েছে।

নিচে মাইটোসিস ও মিয়োসিসের মধ্যে পার্থক্যগুলো আলোচনা করা হলোঃ

✓ মাইটোসিস জীবের হ্যাপ্লয়েড, ডিপ্য়েড বা পলিপয়েড দেহকোষে ঘটে, ফলে জীবের দৈহিক বৃদ্ধি হয়। মিয়োসিস সাধারণত ডিপয়েড জীবের জনন মাতৃকোষে ঘটে ।

✓ মাইটোসিসে একবার বিভাজিত হয়ে দুটি নিউক্লিয়াস সৃষ্টি করে । মিয়োসিসে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি দুবার বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য নিউক্লিয়াস সৃষ্টি করে।

✓ মাইটোসিসে সৃষ্ট প্রতিটি অপত্য কোষে ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের সমান থাকে.।মিয়োসিসে প্রতিটি অপত্য কোষে ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের অর্ধেক হয়ে যায়।

✓ মাইটোসিসে সৃষ্ট অপত্য কোষের গুণাগুণ মাতৃকোষের সমগ্ুণ সম্পন্ন হয়। মিয়োসিসে সৃষ্ট অপত্য কোষের গুণাগুণ মাতৃকোষ হতে ভিননগুণ সম্পন্ন হয়।

✓ মাইটোসিসে ক্রোমোসোমে কায়াজমা সৃষ্টি বা ক্রসিংওভার ঘটে না। মিয়োসিসে ক্রোমোসোমে কায়াজমা সৃষ্টি বা ক্রসিংওভার ঘটে।

✓ মাইটোসিসে ক্রোমোসোম জোড়বদ্ধ হয়ে বাইভ্যালেন্ট সৃষ্টি করে না। মিয়োসিসে ক্রোমোসোম জোড়বদ্ধ হয়ে বাইভ্যালেন্ট সৃষ্টি করে।

✓ জীবের প্রকরণ, বৈচিত্র্য সৃষ্টি ও অভিব্যক্তিতে মাইটোসিসের কোনো ভূমিকা নেই। জীবের প্রকরণ, বৈচিত্র সৃষ্টি ও অভিব্যক্তিতে মিয়োসিসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ।

এগুলোই ছিলো মাইটোসিস ও মিয়োসিসের মধ্যে পার্থক্য আশা করি পোস্ট টি আপনাদের ভালো লেগেছে।

বাংলা ব্লগস্পট
বাংলা ব্লগস্পট

বাংলা ব্লগস্পট একটি মাল্টি নিশের বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম। এখানে বাংলা ভাষায় জ্ঞান বিতরণের চেষ্টা করা হয়।

Newsletter Updates

Enter your email address below to subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *