৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় – ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চাট

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন। অনেকেই আছে যারা ওজন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে আবার অনেকে আছে তাদের ওজন কমানোর জন্য অনেক ধরনের কাজ করে যাচ্ছে । অর্থাৎ যাদের ওজন বেশি তারা নিজেদের ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে আর যাদের ওজন অনেক কম তারা আবার এই ওজনটাকে বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য অতিষ্ট হয়ে আছে । তো আজকের পোস্ট তাদের জন্য যারা খুব ভালোভাবে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় জানতে চান । আমরা অনেকেই আছি যারা এক সপ্তাহ বা সাত দিনের মধ্যে আমাদের ওজন অনেক কমিয়ে নিতে চাই তাদের জন্য অবশ্যই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়া জরুরী ।

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় – ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চাট

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় - ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চাট

মানুষের ওজন বাড়ানো যতটা সহজ তার থেকে অনেক বেশি কঠিন এই ওজন কমিয়ে নেওয়া । কারন আপনার শরীরের কোষগুলো আগের থেকে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে সেগুলোকে আবার কমাতে হবে । যাই হোক আমরা সব সময় চাই আমাদের ওজন কমিয়ে ঠিক থাকতে যাতে করে আমাদেরকে অনেকটা সুদর্শন দেখা যায় । এই কাজটা যদি আপনি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে ডায়েট মেইনটেইন করে চলতে হবে এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে হবে।  আপনি কিভাবে এই সাত দিনে দশ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলবেন সেগুলো আমি সম্পূর্ণ এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত বলে দেব । পোস্টটি যদি আপনি শেষ পর্যন্ত পরেন তাহলে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় জানা সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন জানতে পারবেন যেগুলো জানলে আপনি আপনার শরীরকে আগের থেকে বেশ ভালো ফিট রাখতে পারবেন । চলুন বন্ধুরা তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা আমাদের আজকের পোষ্টের মূল টপিকে চলে যাই ।

পড়ুনঃ মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট দেখে নিন

৭ দিনে 10 কেজি ওজন কমানোর উপায়

বন্ধুরা যদি কারো ওজন খুব বেশি হয়ে থাকে অর্থাৎ যাদের অস্বাভাবিক ওজন রয়েছে তাদের এই ওজন কমাতে একটু কষ্ট হবে তবে যদি সঠিকভাবে কষ্ট করা যায় তাহলে খুব সহজেই ওজন কমিয়ে নিতে পারবে । তবে ওজন গুলো কমানোর জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই নিয়ম মেনে সেই কাজগুলো করতে হবে যেগুলো আজকের পোস্টে আমি আপনাদেরকে বলবো ।

সকালে উঠে যা করতে হবে

আমারটা যদি আমাদের শরীরের কোন অংশকে পরিবর্তন করতে চাই তাহলে আমাদেরকে এই সকালের কাজটাকে খুব মনোযোগ সহকারে নিয়ম নীতি মেনে করতে হবে । কারণ এই সকাল বেলার কাজগুলোর ওপর ভিত্তি করেই সারাদিন আমাদের শরীর প্রাকৃতিকভাবে আচরণ করে থাকে। যদি সকাল বেলা আমরা আমাদের শরীরকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারি তাহলে এই শরীর থেকে সারাদিন আমরা ভালো আউটপুট পাব । তো ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও আপনাকে এই বিষয়টা মেনে চলতে হবে। সকালে উঠে আপনি কি কি করবেন সেটা পয়েন্ট আকারের নিচে দেওয়া হল।

  • প্রথমে আপনাকে অবশ্যই সূর্য উদয় হওয়ার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
  • এরপর কিছু পরিমাণ পানির মধ্যে এলাচ, আদা , সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পানি গুলোকে পাতিলের মধ্যে নিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে । এমনভাবে গরম করতে হবে যেন এই উপাদানগুলো পানির মধ্যে থেকে সিদ্ধ হয়ে যায় ।
  • এরপর এগুলোকে নামিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে যাতে করে পানি ঠান্ডা হয়ে যায়।
  • ঠান্ডা হয়ে গেলে এখান থেকে আপনি দুই গ্লাস পরিমাণের পানি খুব ভালোভাবে পান করে নিবেন ।
  • এরপর ১০ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করবেন এবং তারপর ব্যায়াম করতে হবে।  ( কি কি ব্যায়াম করবেন সেটা আমি পোস্টের শেষে বলে দেবো)
  • অবশ্যই ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মত আপনার কাঙ্খিত ব্যায়াম করবেন এবং তারপর বাসায় আসতে হবে ।
  • বাসায় এসে ৯:০০ টা থেকে দশটার মধ্যে আপনার সকালের নাস্তা সেরে ফেলতে হবে ।

উপরে আমি যে কাজগুলোর কথা বললাম এগুলো আপনাকে সকালে উঠেই করতে হবে তারপর দুপুরের কাজ আপনাকে বলব এবং রাতের কাজও খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দেব।  ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চাট

যদি আপনার ওজন বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিশ্চয় আগে খুব ভালো ভালো মুখ রোচক খাবার গুলো বেশি খেতেন । আর এগুলো বেশি খাওয়ার জন্যই আপনার ওজন খুব বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু যদি সত্যিই আপনি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই খাবারগুলো ত্যাগ করে আমি যেভাবে খাবারের ডায়েট চার্ট আপনাকে দিয়ে দেবো সেটা মেনে চলতে হবে । যদি আপনি এই ডায়েট চার্ট মেনে চলতে পারেন এবং আমার কথাগুলো ভালোমতো শুনতে পারেন তাহলে অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি আপনার ওজন আগের থেকে কমে যাবে।

পড়ুনঃ মেদ কমাতে জিরা খাওয়ার নিয়ম – মেদ কমানোর উপায়

দুপুরে কিভাবে কি খাবেন?

উপরের পয়েন্টে আমি সকালে কি করবেন বা কি খাবেন সেটা খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি।   কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দুপুরের খাবারটাতেও বেশ ভালোভাবেই নজর দিতে হবে , না হলে আপনার ওজন কোনভাবে কমানো যাবে না।  হয়তো আপনি আগে ফাস্টফুড বা স্বাদ বেশি আছে এমন খাবার খেতেন কিন্তু এগুলো আপনাকে ত্যাগ করতে হবে এবং আমি যেগুলো বলবো সেগুলো গ্রহণ করা শুরু করতে হবে ।

  • দুপুরে চেষ্টা করতে হবে ভাত কম খাওয়ার জন্য। কারণ ভাতের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যেটা শরীরের মধ্যে গিয়ে চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।
  • যদি আগে প্রচুর পরিমাণে রুটি বা মাছ গোস্ত খেতেন, সেগুলোকে বর্তমানে ত্যাগ করতে হবে।
  • আপনাকে এই দুপুরবেলায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে এবং ভাতের পরিমাণ কিছুটা কমাতে হবে।
  • আপনি চেষ্টা করবেন ভাত কম খেয়ে সেই জায়গায় সবজি খাওয়ার , অর্থাৎ ভাতের ক্ষুধাটা সবজি দিয়ে নিবারণ করার তাহলে আপনি বেশি উপকার পাবেন।

 রাতে যা করতে হবে

বন্ধুরা রাতের কাজগুলোর ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। কারণ রাতে খাবারের পরেই আমরা ঘুমাতে যাই আর ঘুমের মধ্যে আমাদের শরীরের যাবতীয় কার্যক্রম গুলো হয়ে থাকে। জানলে অবাক হবেন আমাদের শরীরের কোষগুলো বৃদ্ধি পায় এই ঘুমের মধ্যে থাকলেই। তো ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিভাবে খাবেন বা কি করবেন সেটার তালিকা নিচে দেওয়া হলো ।

  • সবসময় চেষ্টা করতে হবে রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে ফেলার পরে দুই এক ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে এবং তারপরেই ঘুমাতে যাওয়ার জন্য।
  • যদি আপনি রাতের খাবারগুলো খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে সেগুলো আপনার শরীর খুব ভালোভাবে হজম করতে পারবে না এবং এগুলো শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারবেনা যার কারণে সেগুলো আপনার শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হবে।
  • আর হ্যাঁ যথেষ্ট পরিমাণে কম খাবার চেষ্টা করবেন এই রাতে ।
  • আপনারা চাইলে শাকসবজি দিয়ে অল্প পরিমাণে ভাত খেয়ে রাতের খাবারটা সেরে ফেলতে পারেন ।
  • যখন আপনি রাতের খাবারগুলো খেয়ে ফেলবেন অবশ্যই তারপর দুই থেকে তিন ঘন্টা বিশ্রাম নিয়ে ঘুমাতে যাবেন।
  • যদি আপনি পারেন রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমাতে যেতে তাহলে সেটা আপনার জন্য আরো ভালো।
  • পারলে সকালবেলা বেশি করে খাবেন যাতে করে রাত্রে কম খেতে হয় ।
  • যদি সকালে ঘুমাতে যান তাহলে তার অনেকক্ষণ আগে রাতের খাবার সেরে ফেলবেন ।
  • আর হ্যাঁ রাতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে অর্থাৎ সেটা হতে পারে সাত থেকে আট ঘন্টা বা ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ।

রাতের এই কাজগুলো করলে আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আপনি আপনার ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন। মনে রাখবেন ওজন কমানো কিংবা বাড়ানোর ক্ষেত্রে রাতের কাজটা বা রাতের খাবারটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে ।

পড়ুনঃ চিকন হওয়ার উপায় কি – চিকন হওয়ার ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত

মেয়েদের ওজন কমানোর উপায়

ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা ওজন কম হওয়া এই সমস্যাটার মধ্যে বেশিরভাগ সময় মেয়েরা ভুগে থাকে । অর্থাৎ দেখা যায় অনেক মেয়ে আছে , যারা অনেক মোটা এবং তারা তাদের ওজন নিয়ে বেশ বিরক্ত এবং ওজন কমাতে চায় । আবার এমনও অনেক মেয়ে আছে যারা খুবই চিকন এবং তারা আবার ওজন বাড়িয়ে নিতে চায় । যদিও ছেলেদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা অনেক কম দেখা যায় কারণ বেশিরভাগ ছেলেই ফিট থাকে ।

তো যেহেতু মেয়েদের দেহের মধ্যে এই সমস্যাটা বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করা যায় তাই এখন আমার মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় নিয়ে কিছু কথা বলবো । আমাদের দেশের মোটা মেয়ে গুলো খুব বেশি পরিমাণে মিষ্টি খেতে পছন্দ করে । যদি আপনি মোটা হয়ে থাকেন এবং ওজন কমাতে চান কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে মিষ্টি খান তাহলে এখন থেকেই আপনাকে এই অভ্যাস চিরতরের ত্যাগ করতে হবে ।

আবার অনেক মেয়ে দেখা যায় যারা ফুচকা বা এই ধরনের ফাস্টফুড গুলো প্রচুর পরিমানে খায়। যার ফলে তাদের শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দেখা যায় এবং ওজন ও বেড়ে যায় । তো যদি আপনি আপনার ওজন কম রাখতে চান তাহলে অবশ্যই এই ফাস্টফুটগুলো ত্যাগ করে নরমাল ফুল গুলো বেশি পরিমাণে খেতে হবে এবং আপনার খাদ্য তালিকায় আমিষ জাতীয় খাদ্য গুলো বেশি রাখার চেষ্টা করতে হবে ।

আর হ্যা সকালবেলা আমি ওপরে যে খাবার গুলোর কথা বলেছি বা যেভাবে কাজগুলো করতে বলেছি সেগুলো আপনারা সকাল ,সন্ধ্যা ,রাত মেনে চলবেন এবং অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করবেন তাহলে আপনি মেয়ে হোন কিংবা ছেলে হোন অবশ্যই আপনার ওজন কমে যাবে । ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর খাবার তালিকা

অনেকেই অনলাইনে বিভিন্নভাবে ওজন কমানোর খাবার তালিকা খুঁজে থাকেন । কিন্তু বন্ধুরা ওজন কমানোর খাবার তালিকা বা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট চার্ট কিন্তু আমরা পোস্ট এর মধ্যে খুব ভালোভাবে উল্লেখ করে দিয়েছি । যদি আপনারা পোস্টটি ভালোভাবে পরে থাকেন তাহলে কিন্তু এই ওজন কমানোর খাবার তালিকাটি পেয়ে যাবেন ।

যদিও আমাদের ওয়েবসাইটের মধ্যে আরেকটি পোস্টে আমরা মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আপনার চাইলে সেই পোস্টটিও পরতে পারেন ।

ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম

আমরা অনেকেই জানি যে গ্রিন টি খাওয়ার ফলে আমাদের ওজন কমে যায় বা আমরা খুব সহজে ওজন কমাতে পারি । কারণ এই গ্রীন টির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিন যেটা শরীরের মধ্যে ঢুকে শরীরে থাকা চর্বিগুলোকে ছাঁটাই করে ফেলতে পারে । তবে এই গ্রীন টি যদি আমরা সঠিক নিয়ম মেনে না খেতে পারি তাহলে কিন্তু কখনোই এটি ভালো ফলাফল দিতে পারবে না । এর জন্য সবাইকে অবশ্যই ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম ভাল মত বুঝতে হবে । তো এই ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম আপনাদেরকে এখন ভালোভাবে বুঝিয়ে দেব।

  • বন্ধুরা যদি আপনি গ্রিন টি খেতে পছন্দ না করে থাকেন তাহলে এটা অনেক বড় ভুল একটি কাজ।  কারণ ওজন কমাতে গ্রিন টি বেশ কার্যকরী একটি উপাদান ।
  • প্রথমে আপনাকে শপ থেকে ভাল কোম্পানির গ্রীনটি নিয়ে আসতে হবে।
  • এরপর বাড়িতে এনে এই গ্রিন টি কে খুব ভালোভাবে বানিয়ে নিতে হবে এবং চেষ্টা করবেন সেখানে চিনি কম মেশাতে।
  • চিনি কম ব্যবহার করলে সেটা আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে কারণ বেশি চিনি শরীরের মধ্যে গিয়ে অনেক সমস্যা করে তলে ।
  • গ্রিন টি বানানো হয়ে গেলে সেটা আপনারা পরিমাণ মতো সেবন করবেন।
  • গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে গ্রিন টি পান করার সাথে সাথে অন্য কোন খাবার খাওয়া যাবেনা।
  • অর্থাৎ গ্রিন টি পান করার এক থেকে দুই ঘন্টা পরে আপনারা ভারী কোন কিছু খাবেন অথবা কোন কিছু খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পরে এই গ্রিন টি পান করবেন ।
  • এইভাবে কেউ গ্রীন টি সেবন করলে আশা করি তার ওজন অনেক হ্রাস পাবে।

ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করার নিয়ম

বন্ধুরা যদিও আমরা উপরে বেশ কিছু ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় আপনাদেরকে বলেছি কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বা শারীরিক কোন পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে ব্যায়াম সব থেকে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।  যদি আমরা ভালোমতো ব্যায়াম না করি বা একদমই ব্যায়াম না করি তাহলে কখনোই শরীরের বাহ্যিক কোন কিছু পরিবর্তন সাধন করতে পারবো না।  যাইহোক নিচে আমি বেশ কয়েকটি ব্যায়ামের কথা আপনাদেরকে উল্লেখ করে দিলাম।

ইয়োগা করা : ওপরে আমি সকালে উঠে যে কাজগুলো আপনাকে করতে বলেছি সেই কাজগুলোর মধ্যে যখন আপনি ব্যায়াম করবেন তখন ব্যায়ামের শুরুতেই ইয়োগা করে নিবেন। ইয়োগা আমাদের শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধিতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে । ইয়োগা করার ফলে আমাদের শরীরের এমন কিছু পরিবর্তন হবে যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না । তাই অবশ্যই প্রতিদিন আপনাকে ইয়োগা করতেই হবে ।

দৌড়ানো: ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন দৌড়ানোর টিপস দিবে । কারণ যদি কেউ নিয়মিত কয়েক কিলোমিটার করে দৌড়াতে পারে তাহলে সে নিশ্চিত ভাবে খুব কম সময়ের মধ্যে তার ওজন অনেক গুণ কমাতে সক্ষম হবে । তাই সকালে উঠে অবশ্যই আপনাকে কিছু কিলোমিটার করে দৌড়াতে হবে ।

অন্যান্য ব্যায়াম: এগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম আছে যেমন পুশ আপ আরো যে ধরনের ব্যায়ামগুলো আছে সেগুলো সকালে উঠে করার চেষ্টা করবেন । অবশ্যই প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ মিনিট রেগুলার ব্যায়াম করবেন। যদি আপনারা এভাবে কিছুদিন কন্টিনিউ করতে পারেন তাহলে নিশ্চিত ভাবে আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনাদের ওজন আগে থেকে কয়েক গুণ নিচে নেমে যাবে ।

পরিশেষে:

আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় এর ব্যাপারে বেশ কিছু পয়েন্ট আলোচনা করেছি। তো অনেকেই আছে যারা প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমানো বা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা না করে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এই কাজগুলো করার চেষ্টা করে থাকে । তাদের উদ্দেশ্যে বলি আপনারা কখনোই এই ধরনের ঔষধ গুলো সেবন করতে যাবেন না ।

হয়তো ঔষধ সেবন করার পর কিছুদিনের জন্য আপনার শরীর ভালো থাকবে। কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদী আপনার শরীরকে অসুস্থ করে ফেলবে যেটার চিকিৎসা পরবর্তীতে আর করতে পারবেন না । তাই অবশ্যই সবসময় চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমানোর জন্য বা অন্যান্য কাজগুলো করার জন্য আর অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।

ভালো লাগতে পারে

Back to top button