আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ অর্থ ও মিলাদ পড়ার নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম, আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ এই দরুদ শরীফ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত করুন । কারণ বন্ধুরা আমরা আজকের এই Banglablogspot এর মূল্যবান পোষ্টের মাধ্যমে পাঠকদের উদ্দেশ্যে এই আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ এর অর্থসহ এই আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ দরুদ শরীফ পড়ার নিয়ম খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দেব।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করার ফজিলত যে কতটা তা আরো বলে শেষ করা যাবে না ।‌ এমনকি মহান আল্লাহ তায়ালা ও আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করতেন । যে ব্যক্তির উপর স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ দরুদ শরীফ পাঠ করতেন তাহলে বুঝতেই পারছেন তার ওপর আমরা দরুদ পাঠ করলে কতটা সওয়াব পাব ।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ এর অর্থ ও মিলাদ পড়ার নিয়ম

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ওপর অনেকেই আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ ওয়ালা আলি সাইয়েদেনা মাওলানা মোহাম্মদ এই দরুদ শরীফটি নিত্য দিনে পাঠ করে আসেন । তো বেশিরভাগ বাংলাদেশসহ আশেপাশের দেশগুলোতে এই দরূদটি অনেক বেশি প্রচলিত আছে । যারা জানেন না তাদেরকে বলি এই দুরুদ শরীফ টিকে মিলাদে মোস্তফা ও বলা হয়ে থাকে ।  এছাড়াও আমরা আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ , ওয়ালা আলি সাইয়েদেনা মাওলানা মোহাম্মদ পাঠ করার পাশাপাশি ইয়া নবী সালামু আলাইকা এই দরুদটিও পাঠ করে থাকি ।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ পাঠ এর আগে যা পড়তে হবে

আমরা যখন দরুদ পাঠ করি তখন অবশ্যই একজন ইমাম থাকে । তো এই ইমাম আমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে যে কখন আমরা কোন অংশটি পাঠ করব । যাই হোক আপনাদের সুবিধার্থে আমি এই আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ দরুদ পড়ার নিয়ম এ দরুদ শরীফ এর অংশটি তেলাওয়াত করার আগে কি পাঠ করতে হবে সেটা বলে দিচ্ছি । এখানে অনেক ইমাম কোরআন শরীফ থেকে বিভিন্ন আয়াত তেলাওয়াত করে থাকে এছাড়াও আরো বিভিন্ন কিছু তেলাওয়াত করতে পারে তো আমি কোরআন শরীফের আয়াত নিচে তুলে ধরলাম।

দরুদ শরীফ তেলাওয়াত করা শুরুর আগে অনেক ইমাম সাহেব সূরা তওবা এর শেষ দুই আয়াত পাঠ করে থাকে যা নিচে বাংলা উচ্চারণসহ পাঠকদের উদ্দেশ্যে লিখে দেওয়া হল ।

পড়তে পারেনঃ তিন ও জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম ও ফজিলত

বাংলা উচ্চারণ: লাকদ যা’আকুম রসুলিন মিন আংফুচিকুম আজিজুন আলাইকুম মা আনিত্তুম হারিসুন আলাইকুম বিল মু’মিনিনা রউফুর রহিম। ওয়া ক্বল্লাল্লাহু তায়ালা ফি শানি হাবিবিহি ওয়া মাহবুবিহি ওয়া মাশুকিহি

তো এই আয়াত অংশ তেলাওয়াতে এর আগে অবশ্যই আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ,বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এটি অংশটি তেলাওয়াত করে নাওয়া অবশ্যক। তারপর সবাই মিলে আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ, ওয়ালা আলি সাইয়েদিনা মাওলানা মুহাম্মদ দরুদ শরীফ তেলাওয়াত করতে থাকবে । যাইহোক আমরা নিচে এই আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ দরুদ শরীফ এর বাংলা অর্থ গুলো এবং কোথায় কখন কিভাবে পড়বেন সেটা তুলে ধরলাম ।

মিলাদ শরীফ পড়ার নিয়ম

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ এটা পাঠ করার আগে যে অংশটি পাঠ করতে হবে তা আমরা উপরে আলোচনা করে এসেছি । তো এখন এই মিলাদ শরীফ কিভাবে কিভাবে পাঠ করতে হয় তা বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে ।

উপরের আয়াত অংশ ইমাম সাহেব তেলাওয়াত করার পর সকলে মিলে আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ , ওয়া আলা আলি সাইয়েদেনা মাওলানা মোহাম্মদ পড়তে হবে।  এরপর আবার আটকে থাকতে হবে তখন ইমাম সাহেব কিছু আয়াত অংশ অথবা বাংলা কিছু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর শানে তেলাওয়াত করবে ।

১. কোথায় থাকলেন হে আমাদের প্রিয় নবীজি, আমাদেরকে ছেড়ে দিয়ে, আপনি ছাড়া আমাদের কি লাভ হবে এই মিছে মায়ার দুনিয়ায় বাঁচিয়া।

এরপর আবার সকলে মিলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করতে থাকবে আর সেটা হচ্ছে আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ, ওয়ালা আলী সাইয়েদিনা মাওলানা মোহাম্মদ । এরপর আবার ইমাম সাহেব কিছু তেলাওয়াত করবে ।

পড়তে পারেনঃ ইয়া মানিউ এর অর্থ ও এর ফজিলত

২. সেই কঠিন হাশরের দিনে আমাদের কেউ তো আপন হবে না । শুধুমাত্র উম্মতি ইয়া উম্মতি বলে কেদেই যাবেন আমাদের সকলের প্রিয় নবী দিওয়ানা ।

আবার আমরা সকলে মিলে আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ , ওয়ালা আলে সাইয়েদেনা মাওলানা মোহাম্মদ পাঠ করবো এবং দুই বার পাঠ করতে থাকবো ।

৩. এই প্রেমের আগুন এর মধ্যে আমরা জ্বলে মরি,  ওহে আমাদের রব্বানা । আমরা যাহার প্রেমে পাগল, সে তো শুয়ে আছে সোনার মদিনা।

 আবার ও আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর শানে তেলাওয়াত করব আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ , ওয়ালা আলী সাইয়েদনা মাওলানা মোহাম্মদ ।

৪. আমরা যারা আছি সবাই আমরা অধম অনেক বেশি পাপি, আপনাকে তো কেহই চিনলাম না। এই কারণে প্রিয় নবী রোজা হাশরের দিন আপনি আমাদেরকে ভুইলেন না ।

যখন এই কথাটি ইমাম সাহেব বলবে তখন আমরা আবার সকলে মিলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে পাঠ করতে থাকবো আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ, সাথে ওয়ালা আলি সাইয়েদেনা মাওলানা মোহাম্মদ ।

৫. সবাই আল্লাহ আল্লাহ জিকির কর, আবার শ্রেষ্ঠ নবীর উপর দুরূদ পড়ো সবজানা  । রোজ হাশরে পাইবেন সবাই দয়াল নবী মোস্তফা।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ এবং ওয়া আলা আলি সাইয়েদেনা শফিয়ানা মাওলানা মোহাম্মদ । এটি তেলাওয়াত করে চুপ থাকলে আবার ইমাম সাহেবে নিচের অংশটি পাঠ করবে।

৬. পশু পাখি জীবজন্তু যা আছে সবাই বলে আজকে আমাদের খুশির দিন , কারণ এই পৃথিবীতে তাসরিফ আসলেন সবার প্রিয় নবী রহমাতুল্লিল আলামিন ।

এইভাবে যখন ইমাম সাহেব পাঠ করবে তখন আমরা আবার সেই প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর উপর কাঙ্খিত দরুদের অংশটি তেলাওয়াত করতে থাকবো ।

৭. আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ছিলেন মাটি পানি, আমাদের সকলের প্রিয় নবী খোদার রাসুল , যার উপর পড়েন দরুদ আমাদের আল্লাহ ও ফেরেস্স্তাকুল।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ ওয়ালা আলী সাইয়েদেনা শাফিয়ানা মাওলানা মোহাম্মদ।

পড়তে পারেনঃ এশার নামাজ ১৭ রাকাত কি কি বিস্তারিত জানুন

৮. দিবানিশ মনের আমার আমাকে আর দিও না কোনো যন্ত্রনা, এই পৃথিবীতে যদি হইতাম ধনী আর দেরি না করে যাইতাম রে সোনার মদিনা ।

আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়ালা সাইয়েদেনা মাওলানা মোহাম্মদ , ওয়ালা আলে সাইয়েদিনা হাবিবা না মাওলানা মাওলানা মোঃ । এটা পাঠ করলে মহানবী সাঃ এর উপর দরুদ পাঠ করা এবং মিলাদ পড়া হয়ে যাবে ।

৯. যারা এখানে উপস্থিত আছে সবার উদ্দেশ্যে বলি , সবার নিজেদের দেহকে কাবা স্বরূপ বানাইয়া , নিজেদের আত্মাকে বানাও মদিনা। তোমাদের সেই দিনের আয়নায় দেখা দিবেন সকলের প্রিয় নবী মোস্তফা।

এখানে আমরা চাইলে আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ এইটা পাঠ করার পরিবর্তে সাইয়েদিনা সাফিয়ানা হাবিবানা মাওলানা মুহাম্মদ এই আয়াতটি তেলাওয়াত করতে পারি।

১০. স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা যার ওপর আশেক হয়ে, বন্ধুত্ব করলেন যার সাথে আবার নাম দিলেন তার নিজের নামের সাথে মিশিয়া , যদি তোদের বিশ্বাস না হয় রে তাহলে দেখ না কালিমা তাইয়্যেবার সাথে মিলিয়া ।

এভাবে আমরা আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ তেলাওয়াত করে আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করে ফেলতে পারি । এই দরুদ শরীফ এর যে কতটা ফজিলত তা আমরা সকলে অবগত আছি তবুও নিচে আমরা দরুদ শরীফ এর ফজিলত সম্পর্কে কিছু আলোচনা করলাম ।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ এই দুরুদ শরিফ এর ফজীলত

এই দরুদ শরীফ সম্পর্কে কিন্তু অসংখ্য সহিহ হাদিস বর্ণিতা আছে । হাদিস বর্ণনার পাশাপাশি মহান আল্লাহ তায়ালা ও এই দরুদ শরীফ তেলাওয়াত সম্পর্কে তার পবিত্র কুরআনে বেশ কিছু আয়াত বর্ণনা করেছেন । তো এই গুলা থেকে আমরা এই দুরুদ শরীফ এর ফজিলত সম্পর্কে কিছু আলোচনা করলাম ।

১. মুসলিম শরীফের ২১৬ নম্বর পৃষ্ঠার ২০৮ নম্বর হাদিসে বর্ণিত আছে: যে ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে সে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে দশটি রহমত এর পাওনাদার হয়ে যাবে । অর্থাৎ যে ব্যক্তি একবার আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ তেলাওয়াত করবে সে ব্যক্তি দশটি রহমত পেয়ে যাবে ।

২. তিরমিজি শরিফের দুই নম্বর খন্ডের ২৭ পৃষ্ঠায় ৪৮৪ নম্বর হাদিসে বর্ণিত আছে: আমাদের সকলের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যে, কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তি আমার সবথেকে নিকটে অবস্থান করবে যে ব্যক্তি দুনিয়ায় বেঁচে থাকাকালীন আমার উপর সবথেকে বেশি দুরুদ তেলাওয়াত করেছে । তাহলে বুঝতেই পারছেন যে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কাছাকাছি থাকতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ দরুদ শরীফ নিয়মিত পাঠ করে যেতে হবে ।

৩. এছাড়াও প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এরশাদ করেন যে: তোমরা যতটা সম্ভব আমার ওপর দুরুদ পাঠ কর , নিশ্চয়ই আমার ওপর দুরুদ শরীফ পাঠ করা তোমাদের জন্য অনেক বেশ পবিত্রতা।

৪. কানযুল উম্মাল শরিফের বর্ণনা এসেছে: মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই হিও সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তিবর্গ পবিত্র জুম্মার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করব । তাই বন্ধুরা আপনারা চাইলে জুমার দিনের ১৫ টি সুন্নত দেখে নিয়ে এই জুমার দিনের আরো আমল সম্পর্কে অবগত হতে পারেন।

পড়তে পারেনঃ জুমার দিনের ১৫ টি সুন্নত ও মহিলাদের আমল

৫. আরো বর্ণিত আছে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে সে আল্লাহর পক্ষ থেকে দশটি রহমত পেয়ে যাবে, এই দশটি রহমত পাওয়ার পাশাপাশি তার আমলনামা থেকে দশটি গুনাহ কেটে যাবে এবং আরো দশটি নতুন সওয়াব যুক্ত করা হবে । এই ফজিলত গুলো পাওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই নিয়মিত আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ সহ আরো যে সকল দরুদ আছে সেগুলো পাঠ করতে হবে ।

শেষকথা:

বন্ধুরা আজকে আমরা সালামের উপর দরুদ শরীফ পাঠ করার নিয়ম সহ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ এর অর্থ আপনাদেরকে বিশ্লেষণ করে দিয়েছি । তো যদি এই পোষ্টের কোন অংশ কোন পাঠকের বুঝতে সমস্যা তাহলে অবশ্যই সে বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন ।

আর একটা কথা আমরা যত বেশি সম্ভব আল্লাহর নবীর উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করব । এতে আমাদেরই মঙ্গল । শুধু যে ইমাম সাহেব কে ডেকে নিয়ে এসে সবাই মিলে একসাথে মিলাদ পড়লে দরুদ পড়া হয় এমনটা নয় , আপনি চাইলে যেকোনো সময় যে কোন অবস্থাতে আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ ওয়ালা আলি সাইয়েদেনা মাওলানা মোহাম্মদ তেলাওয়াত করে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর শানে দরুদ পাঠ করতে পারবেন ।

শুধু যে, আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ এটি পাঠ করে দুরুদ শরীফ তেলাওয়াত করতে হবে এমনটা নয় আপনারা যে দরুদ শরীফ জানেন সেটা পাঠ করার মাধ্যমেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করতে পারেন ।

যাই হোক বন্ধুরা এইরকম আরো নিত্য নতুন ইসলামিক বিষয়ক পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে ফলো করতে পারেন এছাড়াও চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইটের গুগল নিউজে ফলো করে রাখতে পারেন। আসসালামু আলাইকুম ।

ভালো লাগতে পারে

Back to top button